রমযান-আলোচনা: সত্যের পথে আহবান
লিখেছেন লিখেছেন জাগ্রত চৌরঙ্গী ০৫ জুলাই, ২০১৪, ১২:২৮:০২ দুপুর
বিসমিল্লাহির -রাহমানির রাহিম
আল-হামদু লিল্লাহ। ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। ওয়াআলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন।
প্রিয় টুডে ব্লগের সন্মানিত ভাই ও বোন,
আস্সালামু আ'লাইকুম ওয়া রাহমাতুলাহ্ !
আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ্ সুবহানু তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে ভালই আছেন।
আজ পবিত্র রমযান মাসের রহমতের ৭ম দিন , আমার প্রিয় ব্লগার ভিশু ভাইয়ের আন্তরিক আহবানে আমি আজ সত্যের পথে আহবান বিষয়ক কিছু কথা বলতে এসেছি।আল-হামদু লিল্লাহ।
একজন মুমিন হিসেবে সত্যের পথে আহবান বলতে আমি বুঝি আল্লাহর পথে আহবান অথবা আল্লাহর পথে দাওয়াত।
এই আল্লাহ্ র পথে দাওয়াত দিতে বা আহবান করতেই যুগে যুগে নবী-রাসূলগণের পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে।
প্রতিটি মুমিনের জীবনের অন্যতম দায়িত্ব এই দাওয়াত। কোরআনুল কারিমে এ দায়িত্বকে কখনো দাওয়াত, কখনো সৎকার্যে আদেশ ও অসৎকার্যে নিষেধ, কখনো প্রচার, কখনো নসিহত ও কখনো দীন প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
নিজের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি নিজের আশেপাশে অবস্থানরত অন্যান্য মানুষদের মধ্যে আল্লাহর দীনকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা মুমিনের অন্যতম দায়িত্ব। এ জন্য মুমিনের জীবনের একটি বড় দায়িত্ব হলো -আল আমরু বিল মারুফ অয়ান নাহ্ইউ আনিল মুনকার- অর্থাৎ ন্যায় কাজের আদেশ ও অন্যায় থেকে নিষেধ করা। আদেশ ও নিষেধকে একত্রে আদ-দাওয়াতু ইলাল্লাহ বা আল্লাহর দিকে আহবান বলা হয়।
আর এই দায়িত্ব-পালনকারীকে দায়ী ইলাল্লাহ বা আল্লাহর দিকে আহবানকারী ও সংক্ষেপে দায়ী অর্থাৎ দাওয়াতকারী বা দাওয়াত-কর্মী বলা হয়।
দাওয়াত (الدعوة) শব্দের অর্থ, আহবান করা বা ডাকা। আরবিতে (الأمر) বলতে আদেশ, নির্দেশ, উপদেশ, অনুরোধ, অনুনয় সবই বুঝায়। অনুরূপভাবে নাহই (النهي) বলতে নিষেধ, বর্জনের অনুরোধ ইত্যাদি বুঝানো হয়।
তারমানে আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে, বর্তমান সময়ে আমরা (মুসলমানরা) কিভাবে এই দায়ী ইলাল্লাহ্ র দায়িত্ব পালন করবো ???
সত্য ও ন্যায়ের পথে আহবানের (দাওয়া) বিষয়ে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘তোমার রবের দিকে দাওয়াত দাও হিকমত ও নসিহতের সাহায্যে। আর লোকদের সাথে বিতর্ক করো উত্তম পন্থায়’ (সূরা আন-নহল : ১৩৫)।
মহান সৃষ্টিকর্তার দিকে মানুষকে আহবানের বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে।
সেই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে সফলতা লাভ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সত্য ও ন্যায়ের পথে আহবানের কিছু পদ্ধতি নিম্নে বর্ণনা করা হলো :
১. ব্যক্তিগত আহ্বান : কোনো ব্যক্তিকে আল্লাহর পথে আহ্বান করতে হলে তার সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করতে হবে। যেমন হজরত মুসা আ: ফিরাউনকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে সে বিষয়ে বলেন, ‘ফিরাউনের কাছে যাও। সে তো সীমা লঙ্ঘনকারী’ (সূরা ত্বাহা : ২৪)।
২। সমাবেশে আহ্বান : কোনো সমাবেশে জনগণকে সার্বিকভাবে আহ্বান করা যায়। যেমন : মহানবী সা: পাহাড়ের পাদদেশে সমবেত জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যদি তোমাদের বলি যে, তোমাদের পেছন থেকে শত্রু আক্রমণ করছে, তবে কি তোমরা বিশ্বাস করবে? তারা বলেছিলেন হ্যাঁ। তখন মহানবী সা: বললেন, ‘তোমরা বলো আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই, তবে তোমরা সফলকাম হবে।’
৩. উত্তম কথা ও আচরণ দ্বারা : কোনো মানুষকে দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে ভালো কথা বলতে হবে ও ভালো আচরণ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘তোমরা মানুষের সাথে উত্তম কথা বলো’ (সূরা আল বাকারাহ : ৮৩)।
৪. সুকৌশল বা হিকমত দ্বারা : সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বানের আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে হিকমত বা কৌশল অবলম্বন করা। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করেন ‘আল্লাহর দিকে আহ্বান করো কৌশলে আর উত্তম যুক্তিতর্কের মাধ্যমে’ (সূরা আন-নহল : ১২৫)।
৫. কুরআনের বাণী বা আয়াতের মাধ্যমে : মহান আল্লাহর বাণী শোনানোর মাধ্যমে আল্লাহর বান্দাদের আল্লাহর দিকে আহ্বান করতে হবে। আর মহান আল্লাহর পবিত্র কুরআনের বাণী শ্রবণের মাধ্যমে মুমিনদের ঈমান আরো বৃদ্ধি পায় বা মজবুত হয়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘যখন তাদের কাছে কুরআনের বাণী তেলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়’ (সূরা আল আনফাল : ২)।
৬. দলবদ্ধভাবে বা জামাতবদ্ধভাবে : যেকোনো কাজ একা করার চেয়ে সমবেতভাবে বা জামাতে করলে তা অধিকতর ফলপ্রসূ হয়। তাই মহান আল্লাহর দিকে আহ্বানের কাজটিও দলবদ্ধভাবে করা উচিত। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’ (সূরা আল ইমরান : ১০৩)।
৭. নিঃস্বার্থভাবে আহ্বান করা : পুরোপুরি নিঃস্বার্থভাবেই আল্লাহর দিকে মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে। এ দাওয়াতের বিনিময়ে দুনিয়ার কোনো কিছু পাওয়ার আশা করা যাবে না। দাওয়াতের একমাত্র উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। আর এ অনুসরণ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করেন, ‘তোমরা তাদের অনুসরণ করো যারা দাওয়াতের বিনিময় কোনো কিছু কামনা করে না এবং তারাই হেদায়াতপ্রাপ্ত’ (সূরা ইয়াসিন : ২১)।
৮. উত্তম আমল বা কাজ দ্বারা : উত্তম আমল বা সুন্দর কাজ দ্বারাও মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান করা যায়। এর অর্থ হলো, যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে তার মধ্যে ভালো ভালো গুণ বা সুন্দর আমল থাকতে হবে। আর এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘তাঁর চেয়ে ভালো কথা আর কার হতে পারে, যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে আমি মুসলমানদের মধ্য থেকে একজন’ (সূরা ফুসিসলাত : ৩৩)।
৯. ইসলাম সম্পর্কে জেনে বুঝে দাওয়াত দেয়া : যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে তথা ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করবে, তার ইসলাম সম্পর্কে স্বচ্ছ বা পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল সা:-কে উদ্দেশ করে বলেন, ‘হে নবী আপনি তাদের স্পষ্ট করে বলে দিন, এটাই আমার একমাত্র পথ, যে পথে আমি আল্লাহর দিকে আহ্বান জানাই প্রমাণের ওপর কায়েম থেকে এবং আমার সঙ্গী সাথীরা (সহকারে)’ (সূরা ইউসুফ : ১০৮)।
১০. পরকাল বা আখিরাতের ভীতি প্রদর্শন করা : সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বানের আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে মানুষকে আখিরাতের শাস্তির ভীতি প্রদর্শন করা। মানুষের মধ্যে এ কথা প্রচার করতে হবে যে, এ নশ্বর পৃথিবীর সব কিছু ছেড়ে একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘এগুলো দুনিয়ার (ভোগ্যসামগ্রী) অতি তুচ্ছ বস্তু। বস্তুত আল্লাহর কাছে রয়েছে উত্তম আশ্রয়স্থল’ (সূরা আলে ইমরান : ১১৪)। আবার মহানবী সা: বলেছেন, ‘দুনিয়া হলো আখিরাতের কৃষিক্ষেত্র’।
১১. পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশ করে বা ভালো বই লিখে : কোনো মানুষকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে ভালো বই বা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত লেখা, লিফলেট, পোস্টার প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ বই বা বিভিন্ন ম্যাগাজিন জ্ঞান বিস্তারের উত্তম মাধ্যম। আর একটি ভালো লেখা একটি মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করে আলোর মুখ দেখায়। তাই পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে, ‘পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমায় সৃষ্টি করেছেন’ (সূরা আলাক : ১)।
১২. চিঠিপত্রের মাধ্যমে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান : চিঠিপত্রের মাধ্যমে আল্লাহর পথে আহ্বান করা যায়। রাসূল সা: তাঁর জীবদ্দশায় তিনি অনেক অমুসলিম রাজন্যবর্গের কাছে পত্র পাঠিয়েছিলেন। আবার সুলায়মান আ: রানী বিলকিসকে পত্রের মাধ্যমে দাওয়াত দিয়েছিলেন যার বর্ণনা পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে, ‘বিলকিস বলল, হে পারিষদবর্গ, আমাকে একটি সম্মতিপত্র দেয়া হয়েছে। সে পত্র সুলায়মান আ:-এর পক্ষ থেকে এবং তা এই : অসীম দয়ালু দাতা আল্লাহর নামে শুরু’ (সূরা আন-নমল : ২৯-৩০)
১৩. সৎ কাজে সুপারিশ করা দ্বারা : সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বানের আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে সৎ কাজে সুপারিশ করো। আর এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ভালো কাজে সুপারিশ করবে সে তার সমপরিমাণ (উত্তম) প্রতিদান পাবে’ (সূরা আন-নিসা : ৮৫)।
১৪. বেতার, টিভি, ইন্টারনেট (মিডিয়া) প্রভৃতির মাধ্যমে : আধুনিক যুগে বেতার, টিভি চ্যানেল, ইন্টারনেট, সিডি মোবাইল, পাবলিসিটি প্রভৃতির মাধ্যমেও আল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বান করা যায়। যেমনÑ এ ব্যাপারে বর্তমানকালের ভারত উপমহাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ডা: জাকির নায়েকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহর দিকে আহ্বান করো কৌশলে তার উত্তম যুক্তিতর্কের মাধ্যমে।’ (সূরা আন-নহল : ১২৫)।
আলোচনার শেষপর্যায়ে বলা যায়, মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে অর্থাৎ আল্লাহর পথে আহ্বানের (দাওয়াত) কাজটি যদিও একটি জটিল বা কঠিন কাজ, তথাপি এ কাজটি আমাদের অবশ্যই করতে হবে এবং এ কাজটিতে সফলতা লাভের জন্য কিছু পন্থা অনুসরণ বা অবলম্বন করতে হবে।
কেননা, এর জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে এবং পবিত্র কুরআনেও এ ব্যাপারে জোর তাগিদও দেয়া আছে।
আমার কৈফিয়ত:
প্রিয় ব্লগার ভাই ও বোন,
আজ সারাদিন ব্যাস্ত থাকবো বিধায়, গতরাতে সাহরীর আগে কিছুটা লিখেছি এবং ফজরের সালাহ্ শেষ করেই ব্লগে বসেছিলাম বাকি লিখাটুকু লিখার জন্য। তাই নির্ধারিত সময়ের একটু আগেই রমযান-আলোচনা পোষ্টটি দিয়ে দিলাম।
আপনাদের সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত পেশ করে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
ধন্যবাদ
........ মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন, এখানে আরো অনেকে মন্তব্য করেছেন
বিষয়: বিবিধ
১৮৫৬ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাদের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইলো, আমাকে জেনো মহান আল্লাহ্ সুবহানু তায়ালা
দায়ী ইলাল্লাহ্ র দায়িত্ব পালন করার সৌভাগ্য দান করেন।
দায়ী ইলাল্লাহ্ র দায়িত্ব পালন করার সৌভাগ্য দান করেন।
আপনাদের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইলো, আমাকে জেনো মহান আল্লাহ্ সুবহানু তায়ালা
দায়ী ইলাল্লাহ্ র দায়িত্ব পালন করার সৌভাগ্য দান করেন।
আপনাদের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইলো, আমাকে জেনো মহান আল্লাহ্ সুবহানু তায়ালা
দায়ী ইলাল্লাহ্ র দায়িত্ব পালন করার সৌভাগ্য দান করেন।
আপনাদের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইলো, আমাকে জেনো মহান আল্লাহ্ সুবহানু তায়ালা
দায়ী ইলাল্লাহ্ র দায়িত্ব পালন করার সৌভাগ্য দান করেন।
আপনাদের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইলো, আমাকে জেনো মহান আল্লাহ্ সুবহানু তায়ালা
দায়ী ইলাল্লাহ্ র দায়িত্ব পালন করার সৌভাগ্য দান করেন।
আপনাদের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইলো, আমাকে জেনো মহান আল্লাহ্ সুবহানু তায়ালা
দায়ী ইলাল্লাহ্ র দায়িত্ব পালন করার সৌভাগ্য দান করেন।
আপনাদের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইলো, আমাকে জেনো মহান আল্লাহ্ সুবহানু তায়ালা
দায়ী ইলাল্লাহ্ র দায়িত্ব পালন করার সৌভাগ্য দান করেন।
কষ্ট করে পড়ার জন্য শুকরিয়া ভাইয়া!
রামাদান মুবারক
মন্তব্য করতে লগইন করুন