দেশে দেশে জয়ের ব্যাংক একাউন্টে বিপুল অর্থ : আয়ের উৎস বৈধ করতেই বেতনের অংক প্রকাশ? (কপি-পেস্ট)

লিখেছেন লিখেছেন উম্মে আদনান ১৭ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:১৪:২৬ সন্ধ্যা

শেখনিউজ রিপোর্ট : মিসেস হাসিনা মিয়ার অবৈধ সরকারের সাবেক অবৈধ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকির হটাৎ করে এই শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন নিয়ে নানান গবেষণা ও তথ্যানুসন্ধানের প্রেক্ষিতে একের পর এক গোপন খবর বেরিয়ে আসছে। এরই সূত্র ধরে জানা গেছে দেশে দেশে জয়ের ব্যাংক একাউন্টে বিপুল অর্থের উৎস তদন্ত শুরু করেছে একটি বিদেশী তদন্ত সংস্থা। আর সেই তদন্তকে ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্যই এক ঢিলে বহু পাখি মারার নামে লতিফ সিদ্দিকিকে দিয়ে পরোক্ষে এই কাজটি করে ফেলা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও ভারতে জয়ের নামে একাধিক একাউন্টের খোজ পেয়েছে তদন্ত সংস্থাটি। ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই তদন্তের খবর মিসেস হাসিনা মিয়ার কানেও পৌঁছেছে। এই কারণেই জয়ের এই বিপুল পরিমান অর্থ আয়ের উৎস বৈধ করতেই অনন্যোপায় হয়ে জয়ের আয়ের একটি উৎস্য লতিফ সিদ্দিকীকে দিয়ে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়। লতিফ সিদ্দিকী নিয়ে দেশে টালমাটাল অবস্থা চলাকালে অপর একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।



তবে দলের পদ আর মন্ত্রিত্ব খেয়ে আপাতত গণরোষ সামাল দিলেও নতুন করে বিপদে পড়তে যাচ্ছে মহাজোট সরকার। লতিফ কেলেংকারীর নেপথ্য ঘটনা খুজতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে এই সকল গুরুত্বপুর্ণ তথ্য। ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী মিসেস হাসিনা মিয়ার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। জয় অবৈধ প্রধানমন্ত্রী মিসেস হাসিনা মিয়ার অফিসিয়াল আইটি উপদেষ্টা। লতিফ ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, লতিফ সিদ্দিকি ধর্ম এবং জয়ের বিরুদ্ধে যা বলেছেন সেটি পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত। একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জয়ের বিরুদ্ধে চারটি সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় এডভোকেট সাহারা খাতুন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী থাকার সময়। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার শেষ দিকে ২০১৩ সালে একটি বিশেষ সংস্থা নিজ উদ্যোগে এই তদন্ত শুরু করেন।

সূত্রমতে দেশে এনার্জি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একটি প্রভাবশালী পরিবারের একটি মেয়ে এই ব্যাপারে তদন্ত সুত্রকে কিছু তথ্যদিয়ে সাহায্য করেন। ওই মেয়ে এবং তার পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় এবং ব্যবসার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে জয়ের সঙ্গে তীব্র মত বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গোয়েন্দাসূত্র কৌশলের আশ্রয় নেয়। বলা হয়, সরকারের পরিবর্তন ঘটলে ওই পরিবারকে বিব্রত করা হবেনা এমন শর্তেই ওই মেয়ে এবং তার পরিবারের এক সদস্য জয়ের দূর্নীতির কিছু তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেন। এতে দেখা যায়, এনার্জি মন্ত্রনালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের প্রায় সকল প্রকল্পে জয়ের পার্সেন্টেজ নিশ্চিত করার অলিখিত নিয়ম ছিলো।

সাহারা খাতুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে থাকার সময় তার দ্বারা সংঘটিত তিনটি চাঞ্চল্যকর অনিয়মের ফাইল সামনে রেখে তাকে তদন্তে সহায়তা করার কথা বলা হয়। গোয়েন্দা জালে আটকে যাচ্ছেন টের পেয়ে সাহারা খাতুন এক পর্যায়ে বিষয়টি মিসেস হাসিনা মিয়ার নজরে আনেন। ঘটনাটি জেনেই সেই সময় মিসেস হাসিনা মিয়া বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ধামাচাপা দিতে সমর্থ হন। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন তদন্ত কর্মকর্তাদের কমপক্ষে তিনজনকে এখন গুরুত্বহীন জায়গায় রেখে দেয়া হয়েছে। একইভাবে মিসেস হাসিনা মিয়া পুনরায় সরকার গঠন করলে সাহারা খাতুনকে আর টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় দেয়া হয়নি। ওই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বানানো হয় মিসেস হাসিনা মিয়া প্রতি অনুগত লতিফ সিদ্দিকীকে। অপরদিকে এনার্জি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী ওই পরিবারের সদস্যকেও এবার কোন মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়নি। এদিকে পুরো ঘটনাটি দুর থেকে পর্যবেক্ষনকারী সূত্র দাবী করেছে, জয়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে শুরু হওয়া বিশেষ তদন্তের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক একটি কোম্পানীরও আগ্রহ ছিলো।

সূত্র দাবী করেছে, ওই কোম্পানীর কাছে একটি বড় অংক নিয়ে তাদেরকে কাজ দেয়নি জয়। এ নিয়েই মুলত এনার্জি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী পরিবারটির সঙ্গে জয়ের অবিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে একটি বড় অংক দিয়ে কাজ না পাওয়া কোম্পানীটি জানতে পারে জয় মেক্সিকান টেলিকম্যূনিকেশন ব্যাবসায়ী কার্লোস স্লিম হেলুর কোম্পানীর সঙ্গে যোগযোগ গড়ে তুলেছেন। এই যোগাযোগের পরই ২৫ মিলিয়ন ফান্ড লেনদেনের একটি গোপন চুক্তি হয়। কোম্পানীর সেই ২৫ মিলিয়ন ফান্ড ট্রান্সফার এবং গোপন চুক্তি চুড়ান্ত করতে আইসিটি মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর জন্য মেক্সিকোয় আইটি পদকের অনুষ্ঠান বানানো হয়। একই সঙ্গে যে কোন প্রয়োজনে সহযোগিতার জন্য জয়ের বন্ধু একই মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককেও পাঠানো হয় লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে। সবকিছুই পরিকল্পনামাফিক চলে। সূত্র দাবী করেছে নিউইয়র্ক থেকেই বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী কার্লোসের সাথে যোগাযোগ করে ২৫ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড ট্রান্সফার করানো হয় লতিফ সিদ্দিকী ও জয়ের বিভিন্ন একাউন্টে।

সূত্র আরও দাবী করেছে আগে থেকেই একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা জয়ের বিভিন্ন একাউন্ট তদন্ত করছে। উৎস্যবিহীন বিপুল পরিমান টাকা কিভাবে জয়ের একাউন্টে একের পর এক জমা হচ্ছে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থাটি প্রশ্ন তুলেছে। এটি জানতে পেরেইে মিসেস হাসিনা মিয়ার পরিকল্পনায় একটা বৈধ সোর্স প্রতিষ্ঠা করার জন্যই লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, জয় আইটি উপদেষ্টা হিসাবে প্রতিমাসে ২ লাখ ডলার বেতন পাচ্ছেন। তবে প্রসঙ্গটি যেন কম আলোচিত হয় সেই রকম একটি লক্ষ্য নিয়েই ধর্মের ব্যাপারেও কড়া বক্তব্য দেয়ানো হয় লতিফ সিদ্দিকীকে দিয়ে।

সুত্র দাবী করেছে, এই পুরো পরিকল্পনাই করা হয়েছে মিসেস হাসিনা মিয়া জ্ঞাতসারেই। সেই কারনেই লতিফ সিদ্দিকী তার ২ মেয়ে এবং এক পুত্রকে আগেই কানাডায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। সূত্রমতে এতসব করেও শেষ রক্ষা হচ্ছেনা জয়ের। যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র সুইজারল্যান্ড ও ভারতে জয়ের নামে একাধিক একাউন্টের খোজ পেয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি তদন্ত আরো জোরদার করেছে। এই তদন্তে তারা বাংলাদেশ থেকেও সহযোগিতা পাচ্ছে। সাধরনতঃ বিদেশী কোন কোস্পানী কোন দেশে ব্যবসা করতে গিয়ে প্রতারনার শিকার হলে এই সংস্থা নিজেদের মত করে তদন্ত চালিয়ে থাকে। উল্ল্রেখ্য, ফিলিপাইনের একনায়ক ইমেলদা মার্কোসের বিদেশের একাউন্টে অর্থ জমা রাখার ঘটনাও এই সংস্থাটি করেছিলো।

উল্লেখ্য, এনার্জি খাতের লুটপাট নিয়ে গোপন তথ্য জেনে প্রতিবেদন বানানোর অপরাধে সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতি হত্যা হলেও আজো কোন রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। কোন কোন মহলের মতে এটির সাথেও জয় গং এর সংশ্লিষ্টতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ঐ সূত্রটির হিসেব অনুযায়ী এনার্জি খাত সংশ্লিষ্ট পরিবারটির সাথে ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব বেশী দূর এগোলে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তথ্য বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আপাততঃ মিসেস হাসিনা মিয়ার পক্ষ থেকে ঐ পরিবারটির সাথে সকল প্রকার দ্বন্দ্ব মীমাংসারও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর সংসদ সদস্য পদ বহাল রেখে সন্তুষ্ট রাখা হচ্ছে লতিফ সিদ্দিকিকেও।

শেখনিউজ ডটকম

বিষয়: বিবিধ

১২০৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

275339
১৭ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
আবু আশফাক লিখেছেন : লতিফ সিদ্দিকী জাতিসংঘ সফরের উদ্দেশ্যে গঠিত টিমের সদস্য ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রী নাকি নিজেই জিজ্ঞাসা করেছেন যে লতিফ ওই টিমের সদস্য ছিল না। সুতরাং............
১৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:২৫
219417
উম্মে আদনান লিখেছেন : আমার কাছে বস্তুনিষ্ঠ মনে হওয়ায় লিংকসহ শেয়ার করেছি মাত্র!
275370
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৫৩
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : এই ধরনের লেখালেখিতে সরকার ব্লগটা বন্ধ
করে দিতে পারে। যদি ব্যাপারটা সত্য।
১৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:২৫
219418
উম্মে আদনান লিখেছেন : আমার কাছে বস্তুনিষ্ঠ মনে হওয়ায় লিংকসহ শেয়ার করেছি মাত্র!
275449
১৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৪৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকিল্লাহ
১৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:২৬
219419
উম্মে আদনান লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম সালাম।
আপনাকেও ধন্যবাদ,জাযাকাল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File