সিরাজগঞ্জে ৬৪ জন ভুয়া পিএসসি পরীক্ষার্থী বহিষ্কারঃ শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে আর কিছুই বাকী নাই
লিখেছেন লিখেছেন নানা ভাই ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:২৬:১৭ রাত
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৮টি আনন্দ স্কুলের পক্ষে পিএসসি পরীক্ষা দিতে এসে ভুয়া ৬৪ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৬ শিক্ষকের তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যামাণ আদালতে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে এবং পলাতক ২ জনের নামে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে বড়হর ইউনিয়নের অলিপুর জিল্লুর রহমানের বাড়ির আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা মর্জিনা খাতুন, একই গ্রামের আনোয়ার মেম্বরের বাড়ির স্কুলের শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়া, মৈত্রবড়হর গ্রামের নাসরিন আক্তার, ডেফলবাড়ি গ্রামের আবু সাঈদের বাড়ির স্কুলের শিক্ষিকা মুক্তা খাতুন, খামারপাড়া স্কুলের শিক্ষক ইমন ও অলিপুর আমডাঙ্গা বাবুলের বাড়ির স্কুলের শিক্ষিকা সবিতা ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় মোতাবেক ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিয়ে মুক্ত হন। এছাড়া খামারবাড়ি স্কুলের শিক্ষিকা মর্শিদা খাতুন ও খাসচর রুবেলের বাড়ি স্কুলের শিক্ষিকা শারমিন আক্তার পলাতক থাকায় তাদের নামে মামলা হয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আলম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বড়হর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে আনন্দ স্কুলের ৬৪জন ভুয়া পিএসসি পরীক্ষার্থী নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের সকলকে বহিষ্কার করা হয়। আর এ কাজে জড়িত ৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬ জনকে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালতে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। ২ জন শিক্ষক পালিয়ে যাওয়ায় তাদের নামে ফৌজদারী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকারের আর্থিক সহায়তায় আনন্দ স্কুলগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। ঝড়ে পড়া এ সকল শিক্ষার্থী উপ-বৃত্তিও পেয়ে থাকে। শিক্ষকরা নিজেদের স্বার্থের জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ওই সকল ভুয়া শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্ত করে নিজেদের স্কুলের পরিচয়ে পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করিয়েছিল।
ভুয়া তালিকায় পিএসপি পরীক্ষায় অংশ নেয়া মনোয়ারা খাতুন জানান, আমি গত বছর এসএসসি পাস করেছি। আনন্দ স্কুলের শিক্ষকদের কথায় ৬’শ টাকার বিনিময়ে পিএসসির সকল পরীক্ষা দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। গত রবিবার থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শিক্ষাই একটি জাতির মেরুদন্ড, আর সেই মেরুদন্ড যদি ভাংগা যায়; তাহলে সে জাতির ভবিষৎ কি? উনি ওনার প্রতিশোধ নিচ্ছেন সবার উপরে।
প্রধানমন্ত্রী বা ওনার বাবা মা বা তার ছেলে মেয়ের উদ্দেশ্য করে কেউ কিছু লিখুক বা বলুক, তারে "লতিফ সিদ্দিকী" বানানো হবে! কিন্তু এই শিক্ষামন্ত্রীর কার্যক্রম বা প্রশ্ন ফাস, এগুলো উনি দেখেন না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন