কোন দেশে আছি আমরা? শামীম ওসমান, মহসীন, কামরুলরা ইচ্ছা করলেই একজন বিচারপতিকে অপসারণ করতে পারবেন!! খবিশের হাতে দেশ !!!!
লিখেছেন লিখেছেন নানা ভাই ১৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:৩১:৫০ দুপুর
সংবিধানের (ষোড়শ সংশোধন) আইন, ২০১৪ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে বিচারপতিদের অপসারণ বা অভিশংসন (ইমপিচমেন্ট বা অপসারণের অভিযোগ আনা) ক্ষমতা জাতীয় সংসদ ফিরে পাবে। এই আইন কার্যকর হলে বিচারপতিদের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে। জনপ্রতিনিধিদের প্রতি বিচারপতিদের জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
মোশাররাফ হোসাইন বলেন, সংবিধানের (ষোড়শ সংশোধন) আইনে বলা হয়েছে, ৩৫০ সংসদ সদস্যের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের প্রস্তাব এবং রাষ্ট্রপতির আদেশ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারপতিকে অপসারণ করা যাবে না।
১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ বহাল থাকলে বিচারপতিদের অপসারণসংক্রান্ত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানের বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ— নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও জাতীয় সংসদ। এই তিনটি বিভাগের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত ছিল।
সচিব বলেন, সামরিক ফরমান বলে বাহাত্তরের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। ওই সংবিধানে বিচারপতিদের ইমপিচ করার ক্ষমতা ছিল সংসদের হাতে। কিন্তু সামরিক ফরমানের বলে সেটাকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে দেওয়া হয়। সংবিধানের এই বিধান সংবিধানের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ পরিপন্থী।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি, স্পিকারকে ইমপিচমেন্ট সংসদের অর্ধেক সদস্যের প্রস্তাবে স্পিকারের অপসারণ এবং দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতিকে ইমপিচমেন্ট করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রস্তাব আনার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন