"বেতন নেওয়ার লোক নেই!"- স্যালুট তোমাদের ! হায়েনা আর রক্তচোষার ফা্ঁদে না পড়ার জন্য!!!

লিখেছেন লিখেছেন নানা ভাই ০৬ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৫৩:৫১ সকাল





সকাল সাড়ে ১০টা। কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবনের নিচতলায় দশ দশটি কাউন্টার খুলে বসে আছেন পোশাকমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর কর্মকর্তারা। তোবা গ্রুপের পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের দুই মাসের বকেয়া বেতন দিতে সকাল ৯টা থেকে বসে আছেন তারা। কিন্তু কোনো পাওনাদার শ্রমিকই বেতন তুলতে আসেননি।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘোষণানুযায়ী বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেতন দেওয়ার জন্য বসে আছি। শ্রমিকরা যদি বেতন না নেয় তাহলে বিজিএমইএ এ বিষয় আর কোনো দায় নেবে না। বিজিএমইএ কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয় যে তারা তোবার শ্রমিকদের বেতন দেবে। এটা শুধুমাত্র সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তবে মানবিক কারণে সংগঠনটি বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তোবা শ্রমিকদের দুই মাসের পাওনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।’

বিজিএমইএ ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এখানে দায়িত্বরত রমনা জোনের পুলিশ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন রাইজিংবিডিকে জানান, শ্রমিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বেতন-ভাতা নিতে পারে সে লক্ষ্যে গতকালের চেয়েও আজ বেশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে হোসেন মার্কেটে অনশনরত শ্রমিকনেতা মোশরেফা মিশু বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে কেউ দুই মাসের বেতন আনতে যাবে না। পূর্ণ তিন মাসের বেতন-বোনাস, ওভারটাইম দিতে হবে। এ ছাড়া, এ বেতন বোনাস কারখানায় এসে দিয়ে যেতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শ্রমিকেরা এখানে কাজ করেছে, তাই এখান থেকে বেতন নেবে। বিজিএমইএ ভবনে নিরাপত্তারও অভাব আছে। এখানে আমাদের শত শত শ্রমিক, কোনো সমস্যা নেই।’

জুন ও জুলাই মাসের বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে রাজধানীর বাড্ডার হোসেন মার্কেটে ঈদের আগের দিন থেকে অনশন করে আসছেন তোবা গ্রুপের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। একই সঙ্গে শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানটির এমডি দেলোয়ার হোসেনের শাশুড়ি লাইলী বেগমকে কারখানা ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

৩ আগস্ট বিজিএমইএ অফিসে সরকার, গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ ও বিজিএমইএর নেতাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় সভায় তোবার শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু শ্রমিকেরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। তারা পাওনা তিন মাসের বেতন ও বোনাস একসঙ্গে পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে আসছেন।

বিষয়: বিবিধ

১০০৯ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

251404
০৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
চোরাবালি লিখেছেন : বাংলাদেশে টাকা যার আইন তারই পক্ষে। আজ যদি শ্রমিকেরা দুমাসের বেতন না নেয় তা হলে এ দুমাসের বেতনও আবার আটকে যাবে কিছু দিন পর এই সকল শ্রমিকেরা পেটের দায়ে অন্য জায়গায় ঠিকই চলে যেতে বাধ্য হবে এবং তখন আন্দোলনেরও কেও থাকবে না কারণ ততদিনে ঘরের চাল শেষ হয়ে যাবে।
০৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:২০
195598
দিশারি লিখেছেন : হুম, ঠিকই বলেছেন।
251409
০৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বিজিএমইএ একটি স্বার্থবাদি সংগঠন। শ্রমিক দুরে থাক বেশিরভাগ মালিক এর স্বার্থ ও দেখেনা তারা। প্রতিবছর ভারতিয় নর্তকি এনে অনুষ্ঠান করা ভারতিয় টেকনিশিয়ানদের এদেশের কারখানায় নিয়োগ করার পিছনে ও এদের হাত আছে।
251448
০৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:২০
হতভাগা লিখেছেন : বিজেএমই ভবন না ভেঙ্গে ফেলার কথা ! এটারে এখনও রাখছে কেন ? র‍্যাংগস্‌ ভবনও তো পার পায় নাই । পার পায় নাই মইনুল হোসেন রোডের সেই বাড়িটিও ।
০৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:২২
195599
দিশারি লিখেছেন : আরে আপা আছে না... কার অত বড় সাহস ভাঙ্গার?Surprised
251475
০৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:২২
দিশারি লিখেছেন : ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।।
251565
০৬ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া।আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া। যে দেশে অন্যায় হয়েছে ন্যায়, অসত্য হয়েছে সত্য, প্রকাশ্য খুনিরা হয়েছে রাষ্ট্র প্রধানের প্রিয়ভাজন সেদেশে আমরা আর কী বা ভাল কিছু আশা করতে পারি!! অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগল। লিখাটি ।
251579
০৬ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৪
আহ জীবন লিখেছেন : বিজিএমইএ কেন টাকা দিবে? ফ্যাক্টরি মালিক টাকা দিবে। বিজিএমইএ হচ্ছে শ্রমিক ও মালিক দু জনেরই স্বার্থ দেখার প্রতিষ্ঠান।
256462
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৪৪
মামুন লিখেছেন : We should change the definition of democracy... :( Tks for the nice blog.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File