স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় সংসদ সদস্যের ছেলেকে পেটানোই কাল হল সাকিবের !!!.......সব আওয়ামীকরন। আওয়ামীরা করলে নারায়নগন্জের মত সাত খুন মাপ।
লিখেছেন লিখেছেন নানা ভাই ০৯ জুলাই, ২০১৪, ০৯:৫৭:১২ রাত
সব ধরনের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ ছাড়া আগামী দেড় বছর দেশের বাইরে গিয়ে লীগ খেলার অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে না তাকে।
সোমবার শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) গত বুধবার ক্যারিবিয়ানের বারবেডোজের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন সাকিব আল হাসান। তবে বিদেশি লিগে খেলার জন্য ক্রিকেট বোর্ডের ছাড়পত্র ছাড়াই সেখানে রওনা হন বলে বিসিবি জানায়। বিসিবি ডেকে পাঠালে লন্ডন থেকে রোববার দেশে ফেরেন সাকিব।
সাকিব আগেরদিন বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন আকরাম খানের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে লন্ডনে গিয়েছিলেন।
কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করে আকরাম খান বলেছেন, সাকিব আমাকে ফোন করেছিল, আমি বলেছি সুজনের সঙ্গে কথা বলে যাও। আমি তাকে এটাও বলেছি আমার দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই।
আকরাম খান বলেন, আমি কেন তাকে যেতে বলব, সেই এখতিয়ার আমার নেই। স্বাক্ষর করার ইখতিয়ার শুধু সুজনের।
তবে, বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, সাকিবকে শুধু এই ঘটনার জন্যই নিষিদ্ধ করা হয়নি। ওর (সাকিব) বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো শুনেছি…কতগুলো…এত অমানবিক মনে হয়েছে যে আমরা অনেকে ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম। কীভাবে একটা মানুষ এমন করতে পারে!
ঘটনার নেপথ্যে:
ঘটনার নেপথ্যে আসলেই ঘটনা থাকে। গত ১৫ জুন ভারত ও বাংলাদেশের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের খেলা দেখতে গিয়ে সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরকে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে তার খণ্ডাংশ।
ওই দিন ভিআইপি গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখতে আসা চার জন তরুণ সাকিবের স্ত্রীকে ইভটিজিং করে। নিপীড়নের ঘটনা জেনে বউকে হেফাজত করতে ছুটে যান সাকিব। এক অপরাধীকে ঘটনাস্থলেই কিল-ঘুষি দেন তিনি। এ ঘটনায় চার অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলাও করেন অলরাউন্ডার সকিব।
এটা খুবই শঙ্কার ব্যাপার যে সাকিবের উপর বিসিবির যা কিছু খড়গ হস্ত হওয়া তার মূলে রয়েছে এই ঘটনাটি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সাকিবের স্ত্রীকে নিপীড়ন করার সাথে জড়িত চার তরুণই কথিত অভিজাত পরিবারের সদস্য। তাদের একজন রাহিদ রহমানকে (২৩) গত ১৮ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর ১০ নম্বর রোডের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া তরুণ ইভটিজিংয়ের মত ফৌজদারি অপরাধে জড়িত হলেও তিনি অভিজাত পরিবারের সন্তান। তার বাবা দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বজলুর রহমান।
এছাড়া অন্য তিন জন ইভটিজারও অভিজাত পরিবারেরই সন্তান। তাদের একজন হলেন চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত সরকারদলীয় এক সাংসদের ছেলে।
ঘটনাচক্রে এই অভিজাত টিজারদের একজনের বাবা বিসিবি প্রধান পাপনের বন্ধু। পাপন যেই ক্লাবের হয়ে ক্রীড়া সংগঠক পরিচয়ে বিসিবির সভাপতি হয়েছেন, ইভটিজারের বাবা আবার সেই ক্লাবের একজন পরিচালক।
স্ত্রীর নিপীড়িত হওয়ার ঘটনায় তিনি বিসিবিকে পাশে পাননি। বরং বিসিবির পক্ষপাত ছিল ইভটিজারদের পক্ষে। এই পক্ষপাতের কারণেই জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম হোটেলে গিয়ে ব্যবসায়ী বজলুর রহমান ও তার স্ত্রী সাকিবকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে পেরেছেন।
অবশ্য সাকিব অপরাধীদের চাপ সত্ত্বেও মামলা চালানোর ব্যাপারে অটল থাকেন। এতে তিনি বিসিবির চাপের মুখে পড়েন, পাশে দাঁড়ানোর বদলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে শাস্তি দেয়ার পায়তারা করে বিসিবি।
তবে বাংলাদেশের অভিজাতরা যতখানি অভিজাত হোন না কেন সাকিবকে দেখে নেয়াটা তাদের জন্য রিক্সাঅলাদের চড় মারার মত সহজ ব্যাপার নয় কখনোই। সাকিব বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। দেশ-বিদেশের ক্রিকেটপ্রেমীর অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে তার প্রতি।
সাকিব সিপিএল খেলার অনাপত্তি পত্র (এনওসি) যোগার করতে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান আকরাম খানের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি সাকিবকে বলেছিলেন বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করতে।
নিজামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাকিবকে ফের আকরাম খানের সাথেই যোগাযোগ করতে বলেন। এ দফার যোগাযোগে আকরাম তাকে সিপিএলে খেলতে সমস্যা নেই জানিয়ে মৌখিক অনুমতি দিলেন এবং বললেন দেশে ফিরলে এনওসি সাইন করে দেবেন।
কিন্তু আকরাম খানের আশ্বাসে অনাপত্তি ছাড়াই সিপিএল খেলতে যাওয়াই যে ফাঁদে পা দেয়া তা টেরও পাননি সাকিব।
বিষয়: বিবিধ
১৬২৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 9368
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
অখন ডিজিটাল বাংলাদেশে আওয়ামীর মাংশ আওয়ামী ই খায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন