কলেজ শিক্ষককে দিগম্বরঃ যোগ্য নেত্রীর ক্যাডার,আওয়ামীর মাংশ আওয়ামীরা খায়;এটা আওয়ামী লীগের দ্বারাই সম্ভব!
লিখেছেন লিখেছেন নানা ভাই ২৪ জুন, ২০১৪, ০৪:৫৬:২৩ রাত
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিবুর রহমান ফকিরের সমর্থকরা মুমিনুনেছা কলেজের অধ্যাপক এবং গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ (৫৯)-কে দিগম্বর করেছে।
এই ঘৃণ্য ঘটনার শিকার শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ময়মনসিংহ মুমিনুন্নিসা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করার অভিযোগ এনে ওই শিক্ষককে এভাবে জনসম্মুখে হেনস্থা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তবে এ ঘটনার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার বিকালে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় উপজেলার কলতাপাড়া এলাকায় তাল্লু স্পিনিং মিলের সামনে প্রতিমন্ত্রীর ২০-২৫ জন লোক তার গতিরোধ করে। এ সময় তার বিরুদ্ধে সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনার অভিযোগ এনে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে শার্ট ও প্যান্ট খুলে নেয়া হয়। পরে তাকে মুজিবুর রহমান ফকিরের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। ফরিদ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ক্যাডাররা আমাকে সবার সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে শার্ট ও প্যান্ট খুলে নিয়ে দিগম্বর করে। পাশাপাশি আমার সঙ্গে থাকা সাড়ে ১১ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। পরে মোবাইল সেট ফেরত দিয়ে দেয়। তিনি বলেন, এমপি’র ক্যাডাররা আমাকে শাসিয়ে বলেছেন গৌরীপুরে থাকলে এমপি’র বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যাবে না। কেউ এমপি’র সমালোচনা করলে এরকম পরিণতি হবে। শিক্ষক আরও বলেন, আমি নিজে ১৯৮৫ সাল থেকে ’৯১ পর্যন্ত গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। নিজের দল এখন ক্ষমতায়। অথচ আমাকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে অপমান-অপদস্থ করা হয়েছে। অথচ আমি যখন গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছি তখন ক্যাপ্টেন মুজিব থানা আওয়ামী লীগের সদস্যও ছিলেন না। তিনি বলেন, স্থানীয় এমপি মুজিবুর রহমান ফকির উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসা থেকে নিয়োগের জন্য টাকা নিচ্ছেন। উপজেলার কিল্লা বুকাইনগর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার দু’জন প্রভাষকের বেতন আটকে রেখে তিনি ৩ লাখ করে টাকা দাবি করেন। আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি। এ কারণেই ক্যাডার লেলিয়ে দিয়ে আমাকে এভাবে হেনস্থা করেছেন মুজিব ফকির।
বিষয়: বিবিধ
১০৭০ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাবাশ বাংলাদেশ এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়,
দিগম্বর হয়েও ধর্ষকলীগের চেতনাবাজি বন্ধ হবার নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন