‘অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসমিল্লাহ আর শেষে আল্লাহ হাফেজের দরকার নেই"....এরপর বাপরে কইব এরা দুলাভাই!
লিখেছেন লিখেছেন নানা ভাই ২০ জুন, ২০১৪, ০২:৫৮:৩৫ দুপুর
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসমিল্লাহ আর বক্তব্যের শেষে আল্লাহ হাফেজ বলার সমালোচনা করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, এখন বিসমিল্লাহ বলে অনুষ্ঠান শুরুর দরকার নেই। বিসমিল্লাহ শব্দের বিরোধিতা আমি করছি না। উর্দু আর ফারসীর মিশেলে খোদা হাফেজ সংস্করণে আল্লাহ হাফেজ শব্দটা জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ভূত, পাকিস্তানের ভূত আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। পাকিস্তানী ধ্যান ধারণা আমাদের মাথায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মনোজগতে সাম্প্রদায়িকতা ঢুকে গেছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কার্যক্রম শুরুর ৪৬তম দিবসে উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের চেতনা ও আচরণে এখনো পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ভর করছে। জামায়াতের লোকেরা আওয়ামী লীগে ঢুকে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে এখন অনেক কিছু করতে চাইছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জামায়াতকে তারা ফুলের মালা দিয়ে দলে ঢুকাচ্ছেন, আর আমাদের জাতীয় বীরদের মুল্যায়ন করছেন না। শর্ষীনার পীরকে স্বাধীনতার পদক দেয়া হয়েছে। আমাদের জাতীয় বীরদের স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু ও তাদের সহযোগিরা যারা সশস্ত্রভাবে সংগ্রাম করেছে, কেন তাদেরকে আমরা জাতীয় বীরের মর্যাদা দিব না?
আওয়ামী লীগের অর্জনের কথা কখনো সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি মন্তব্য করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ৬৫ বছরের পুরনো দল আওয়ামী লীগের ইতিহাসে অকথিত অধ্যায় বাংলাদেশের বাজারে আওয়ামী লীগ তাদের দলিয় ইতিহাস এখনো প্রকাশ করেনি। কিন্তু কংগ্রেস ভারতে তাদের রাজনৈতিক ইতিহাস প্রকাশ করেছে বিভিন্ন প্রকাশনায়।
আগরতলা মামলা মূল্যায়ন পরিষদের সভাপতি আবু আহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আগরতলা মামলায় ২৬নং অভিযুক্ত ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) এম শওকত আলী এমপি, আগরতলা মামলায় ২৯নং অভিযুক্ত ও জাতীয় বীর ফ্লাইট সার্জেন্ট (অব.) আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সহকারী এটর্নী জেনারেল এ্যাডভোকেট সাহিদা বেগম, মূল্যায়ন পরিষদের সেক্রেটারি আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪১ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বেলালকে ভাগালো , শিবিরের বোনদের হাজতে ঢোকালো । দেখা যাবে রমজান মাসে এমন অনেক ইসলামবিরোধী কাজ করা হচ্ছে যা আগে কখনও করা হয় নি ।
এর সবই করা হবে কট্টর হিন্দুবাদী ও মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপির মনজয় করতে ।
আমার প্রশ্ন হলো মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনাকে উনি পুঁজি করে ব্যবসা করছেন সে চেতনাটা কি? মুক্তিযুদ্ধে উনার সংগ্রামের কোনো স্মৃতি আছে কি? পাঠক, আপনারা আমার কথায় কি ধাক্কা খেলেন? যদি উনার সাথে আপনার পরিচয় থেকে থাকে তাহলে উনাকে জিজ্ঞেস করুন উনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? উনার সহযোদ্ধা কারা ছিল?
এখনও আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধা তথা ফ্রন্ট ফাইটার জীবিত আছেন। তাঁরা বেশ ভালো করেই জানেন যে, উনি মুক্তিযুদ্ধকালীন কোথায় ছিলেন এবং কী করেছেন। কেন তাঁর নাম মুরগী কবির হলো সেটাও বোধহয় অনেকেই জানেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন