সাতছড়িতে র্যাবের অস্ত্র উদ্ধার এবং বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকীর মূল্যায়ন
লিখেছেন লিখেছেন নানা ভাই ১০ জুন, ২০১৪, ০২:৪২:২৬ রাত
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় র্যাবের বিশ্বস্ততা যখন একবারে শূন্যের কোঠায় তখন চুনারুঘাটের সাতছড়ির গহিন অরণ্যে অত বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করা দেখিয়ে র্যাবের সুনাম বৃদ্ধি না করে আরেকটি জালিয়াতির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওইসব গভীর জঙ্গল থেকে দু-একটি অস্ত্র উদ্ধার করলে না হয় কিছুটা ভাবা যেত। কিন্তু এমন বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার বিশ্বাসযোগ্য নয়। যারাই বিশ্বাস করতে চেয়েছে তারাই হোঁচট খেয়েছে। কারণ ওইরকম কংক্রিটের বাংকার চুপিসারে রাতের আঁধারে করা সম্ভব হয়নি, করতে হয়েছে কোনো সরকারি এজেন্সির চোখের সামনে। তাই র্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্য নিজেদের লুকিয়ে রাখা বিপুল অস্ত্র বের করে আর কতই-বা বাহবা কুড়ানো যাবে। রকেট লাঞ্চার, মর্টার, মেশিনগান_ এগুলো ছিঁচকে চোরের অস্ত্র নয়, সন্ত্রাসীদেরও নয়, এগুলো যে সরকারি মদদে মজুদ করা অস্ত্র সেটা কানার ভাই অন্ধও জানে। আবার এও হতে পারে, ভারতের নতুন সরকারের নজরে পড়ার এটা একটা সরকারি চাল। সবাই জানে কয়েক বছর আগে ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়েছিল। আরও যে কয়শ ট্রাক লুকানো আছে তা কে বলবে? যারা এর সঙ্গে জড়িত শুধু তারাই বলতে পারে। দেশবাসী কেউ বলতে পারে না। কয়েক বছর আগে শেরপুর সীমান্তে মাটির নিচে ১২০০-১৩০০ স্কয়ার ফিটের দালান পাওয়া গিয়েছিল। গোয়েন্দারা বলতে চেয়েছিলেন ওটা ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের কাজ। কিন্তু তা যে নয়, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম তারা জানতাম। বিমান হামলার হাত থেকে বাঁচতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদাররা মাটির নিচে ঘর বানিয়ে ছিল। প্রবেশ পথ ছিল খুবই ছোট, জঙ্গলে ঢাকা। স্বাধীনতার পর ব্যবহার হয়নি তাই যাতায়াত পথ ভরে গিয়ে লোকজনের চোখের আড়াল হয়েছিল। সাতছড়ির ব্যাপারও তাই। এক সময় সরকারি মদদে জামাই আদরে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন সুবিধামতো র্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে উদ্ধার অভিযান চালানো- এমন নাটক দেখে দেখে এদেশের মানুষ ধাতস্থ হয়ে গেছে। '৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে পাকিস্তানি বোমারু বিমানে ভারতীয় বিমানের রঙ মেখে ঢাকায় বোমা ফেলা হয়েছিল। ক'দিন পর তাও ধরা পড়েছিল। সরকারি কারসাজি ধরা পড়তে সময় লাগে না। কারণ এখন সব ‘Open Secret’। আগের মতো কোনো গোপনীয়তা নেই। তাই র্যাবের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা, সংগঠনের স্বার্থে, বাহিনীর সুনামের স্বার্থে দোষীদের শাস্তি এবং নিজেরা কারও পেটুয়া না হয়ে আইনের দ্বারা পরিচালিত হলে সব ল্যাঠা চুকে যাবে।
মূলঃ
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১২৬৫ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
@ শেখের পোলা : সে মেরেছে ফেরেশতা সমতুল্য পাকিস্তানী বাহিনী ও পীরতুল্য রাজাকারদের
০ বিজিবি - যার কাজ করার কথা সীমান্তে, সে কাজ করে শাপলা চত্বরে
০ র্যাব - যার কাজ করার কথা রেপিডলি, দেশের ভেতরে ; সে কিনা সীমান্তের কাছে গিয়ে অস্ত্রের খনি আবিষ্কার করে ।
০ পুলিশ - যার কাজ হচ্ছে মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা , তারাই কি না মানুষকে হয়রানী করে , নির্যাতন করে
০ সামরিক বাহিনী - যাদের কাজ কি না দেশের নিরাপত্তা বিষয়ে এগিয়ে আসা , তারাই কি না মায়ানমারের ব্যাপারে স্পিকটি নট থাকে ।
তাহলে বনের মধ্যে এই অস্ত্র উদ্ধারের পরে বর্তমান বনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কখন গ্রেফতার করা হবে? কেউ বলতে পারবেন কি? না কি এদের জন্য এসব অপরাধ মাফ!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন