একটি বিমানের নিখোঁজ তত্ত্ব ও মানুষের অসহায়ত্ব
লিখেছেন লিখেছেন নানা ভাই ৩০ মার্চ, ২০১৪, ০৩:৫৫:৪৬ রাত
গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান মালয়েশিয়া থেকে চীন যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বিমানটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং আর খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। বিমানটিতে পাইলট এবং ক্রুসহ মোট ২৩৯ মানুষ ছিলেন। এসব মানুষেরও এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এসব মানুষের জীবনে কী ঘটেছে তারও কোনো খবর আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বিমানে যেসব মানুষ ছিলেন তারা কারও বাবা, কারও মা, কারও ভাই এবং কারও বোন। এসব যাত্রীর আত্মীয়স্বজনরা স্বজন হারানোর বেদনায় অস্থির। কান্না এবং শোকে তারা পাথর হয়ে গেছেন। এরই মধ্যে আমরা বিশ্বাস করে ফেলেছি, নিখোঁজ হওয়া বিমানটির ২৩৯ মানুষ সবাই মৃত্যুবরণ করেছেন। এসব মানুষের আত্মীয়স্বজনরাও তাদের মনকে এই বলে সান্ত্বনা দিয়ে ফেলেছেন যে তারা তাদের প্রিয় মানুষটিকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলেছেন। যদি কেউ বেঁচে থাকেন এবং ফিরে আসেন, তাহলে সেটা হবে একটি গ্রেট মিরাকল। আমরা সবাই স্রষ্টার কাছে এসব মানুষের কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করছি। আল্লাহ তাদের সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং জান্নাত দান করুন। আর শোকাহত মানুষগুলোর প্রতিও গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তাদের দুঃখে আমরাও দুঃখিত, তাদের শোকে আমরাও শোকাহত। তারা যেন এই শোক, দুঃখ এবং ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই প্রার্থনাও করছি। বিমান নিখোঁজের এই খবরটি এখন বিশ্বজুড়েই আলোচিত একটি খবর। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষ বিমানটির কী হলো, বিমানটি কোথায় গেল, যাত্রীদের কী হলো—তা নিয়ে কঠিন আলোচনা এবং গভীর গবেষণায় ব্যস্ত। কিন্তু কারও কাছে কোনো সঠিক উত্তর নেই। সবাই গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আর এরই মধ্য দিয়ে মানুষের অসহায়ত্বের বিষয়টি আবারও দিবালোকের মতো ফুটে উঠেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে মানুষের অভূতপূর্ব উন্নতির যুগেও তারা একটি হারিয়ে যাওয়া বিমানকে খুঁজে বের করতে পারেনি। সুতরাং মানুষের উচিত তার অসহায়ত্বের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা এবং গবেষণা করা। তার উচিত অহমিকা, অহংকার এবং দম্ভ পরিহার করা। তার উচিত অন্যায় কাজকে পরিহার করা এবং সত্য-ন্যায়ের পথে চলা। তার উচিত স্রষ্টার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা এবং অতীত ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা। তা না হলে মানুষের জন্য দুঃখ এবং কষ্টই একমাত্র অর্জন।
প্রযুক্তির কল্যাণে বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ মুহূর্তের মধ্যেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটির সন্ধানে তত্পরতা শুরু হয়ে যায়। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশ তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে বিমানটির সন্ধানে নেমে পড়ে। অত্যাধুনিক বিমান, হেলিকপ্টার, নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ—সবই ব্যবহার করা হলো। দিনের পর দিন অভিযান চলল। পাহাড়-সাগর সব জায়গাতেই অভিযান চলল। স্থলভাগ আর জলভাগ—সব জায়গাতেই খোঁজা হলো। বিমানটির সন্ধানে কয়েক কোটি ডলার ব্যয় হলো। কিন্তু নিখোঁজ বিমানটির কোনো সন্ধান পাওয়া গেল না। এমনকি বিমানটির কোনো ধ্বংসাবশেষও পাওয়া গেল না। আবার বিমানটির ২৩৯ যাত্রীর কাউকেও খুঁজে পাওয়া গেল না। তাদের কারও লাশও পাওয়া গেল না। বিমানটি কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে, এমন কোনো তথ্যও পাওয়া গেল না। আবার কোনো গোষ্ঠী বিমানটিকে ছিনতাই করল কিনা এমন কোনো তথ্যও পাওয়া গেল না। কেউ এমন কোনো দাবিও করল না। তাহলে বিমানটি কোথায় গেল? আশ্চর্যজনক হলেও সত্য কথা হচ্ছে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চরম উন্নতির এই যুগে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলো সবাই মিলে তাদের সব অত্যাধুনিক সাজসরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি দিয়ে তল্লাশি চালিয়েও নিখোঁজ হওয়া বিমানটির কোনো খোঁজ পেল না। অবাক হওয়ার মতো বিষয় বটে। এত বড় একটি বিমান নাই হয়ে গেল, আর মানুষরো সেটা খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হলো। হায়রে মানুষের ক্ষমতা? হায়রে মানুষের বাহাদুরি? হায়রে মানুষের দম্ভ? বিমানটি নিখোঁজ হওয়া নিয়ে অনেকেই অনেক তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন। কেউ বলেছেন, বিমানটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। আবার কেউ বলেছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে গভীর কোনো জঙ্গলে পড়ে আছে। আবার কেউ বলেছেন, বিমানটি তালেবানরা ছিনতাই করেছে। আবার কেউ বলেছেন, চীনের উইঘুর মুসলমানরা বিমানটি ছিনতাই করেছে। আবার কেউ বলেছেন, মালয়েশিয়ার রাজনীতিবিদ আনোয়ার ইব্রাহিমের সমর্থকরা বিমানটি ছিনতাই করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনোটাই সত্য প্রমাণিত হয়নি। তাহলে বিমানটির কী হলো? নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর পর বিমানটি আর কতক্ষণ পর্যন্ত আকাশে উড্ডয়ন করেছিল, তাও জানা যায়নি। তারপর কী হলো, যাত্রীদের কপালেই বা কী ঘটল তাও জানা গেল না। এখন উদ্ধারকারী তত্পরতাও আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে এসেছে। অভিযানে নিয়োজিতরা ক্লান্ত এবং হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা বিমানটি পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের বেঁচে থাকার আশাও ছেড়ে দিয়েছে। রাডার ব্যবস্থা কোনো কাজে এলো না। স্যাটেলাইট প্রযুক্তিও কোনো কাজে দিল না। সবকিছুই ব্যর্থ হলো।
একটি বিমান যখন নিখোঁজ হলো এবং সেই বিমানটির খোঁজ পেতে মানুষেরা যখন ব্যর্থ হলো, তখন অন্য একটি বিষয় চিন্তার জগতে প্রবেশ করল। আর তা হলো মানুষের ক্ষমতার সীমা, পরিসীমা এবং অসহায়ত্ব। এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষের আসলে এমন কী ক্ষমতা আছে যার কারণে সে দম্ভ করতে পারে? বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। তার জন্মের ওপর তার কোনো হাত নেই। তার মৃত্যুর ওপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কে কখন মারা যাবে, তা জানার কোনো ব্যবস্থা নেই। মানুষ ইচ্ছা করলে নিজের শরীরটাকে এক ফুট বড়ও করতে পারে না। তার গায়ের রঙটাও পরিবর্তন করতে পারে না। ইচ্ছা করলেই মানুষ আকাশে উড়তে পারে না, সাগরতলে বাস করতে পারে না এবং হাজার বছর ধরে বাঁচতেও পারে না। তবু মানুষের এসব বিষয়ে কোনো ভাবনা নেই—অর্থবিত্ত ও আভিজাত্যের নেশায় মশগুল। ক্ষমতার মোহে অন্ধ। জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। মানুষকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। ঘুষের টাকা আর দুর্নীতি করে কীভাবে সম্পদ বাড়াবে সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। একটি বাড়ি হলে চাই আরও একটি বাড়ি, একটি গাড়ি হলে দরকার আরও একটি গাড়ি। বিলাসিতার শেষ নেই, চাহিদার সীমা নেই। অথচ এসব অর্থ, সম্পদ, আভিজাত্য এবং ক্ষমতার বাহাদুরি—সবই ছেড়ে মানুষকে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। যেই সম্পদ সে অর্জন করে, সেই সম্পদই সে ভোগ করতে পারে না। এটাই অনিবার্য বাস্তবতা। তবু মানুষের চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই, অহমিকার অন্ত নেই। আর এসব নিয়ে একটু চিন্তারও কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আচ্ছা মানুষ তো এই পৃথিবীতে অনেক কিছু বানিয়েছে, অনেক কিছু আবিষ্কার করেছে এবং পৃথিবীকে অনেক উন্নত করেছে। মানুষের এই অবদানকে এক বাক্যে স্বীকার করি এবং সম্মান করি। কিন্তু এসবই মানুষের একক অবদান? নিঃসন্দেহে তা নয়। কারণ মানুষ যা-ই বানিয়েছে তার সবকিছুর উপাদান প্রকৃতিতেই বিদ্যমান। মানুষ কেবল চিন্তা, গবেষণা এবং পরিশ্রম করে সেটাকে ব্যবহারের উপযোগী করেছে। কয়েকটি উদাহরণ দিই। আমরা লোহা দিয়ে বাড়ি, বিমান, জাহাজ তৈরি করেছি। কিন্তু সেই লোহা তো মানুষ তৈরি করেনি। সেটা তো প্রকৃতিতেই ছিল। আমরা জ্বালানি তেল দিয়ে গাড়ি, বিমান, জাহাজ, কলকারখানা সবই চালাচ্ছি। কিন্তু সেই জ্বালানি তেল তো মানুষ বানায়নি। সেটা প্রকৃতিতেই ছিল। মানুষ সেটাকে কেবল ব্যবহার-উপযোগী করেছে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির চমকপ্রদ উপাদান কম্পিউটারের চিপসের মূল উপাদান সিলিকন তো প্রকৃতিরই অবদান। মানুষ গবেষণারের মাধ্যমে সেটাকে কেবল ব্যবহার-উপযোগী করেছে। এভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, প্রতিটি জিনিসই প্রকৃতির অবদান। যে সূর্য পৃথিবীকে আলো দেয়, তা নিশ্চয়ই মানুষেরা সৃষ্টি করেনি। আবার সাগর, নদী, পর্বতও মানুষের সৃষ্ট নয়। যে অক্সিজেন আর পানি নিয়ে আমরা বেঁচে আছি, সেটাও প্রকৃতির দান। যে খাবার আমরা খাই, তাও সব প্রকৃতির অসীম দান। অথচ এই প্রকৃতিটা কার দান তা নিয়ে আমরা একটু চিন্তা করি না। তাই তো বলি—
প্রকৃতির দানে প্রকৃতির মাঝে আমরা বেঁচে আছি
প্রকৃতিটা কার দান তাহা ভুলে গেছি।
এদিকে একদল বিজ্ঞানী আমাদের পৃথিবী ছেড়ে মঙ্গলে বসবাস করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। পৃথিবীটা নাকি ক্রমেই মানুষের জন্য বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। তাই কিছু মানুষকে মঙ্গলে পাঠানো হবে এবং মঙ্গলে মানুষের বসতি গড়ে তোলা হবে। এমন পরিকল্পনা নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। শুধু তা-ই নয়, এরই মধ্যেই অনেক লোক মঙ্গলে পাড়ি দেয়ার জন্য নীতিগতভাবে সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মঙ্গলে মানুষের বসবাস কোনোদিনও সম্ভব হবে না। বিজ্ঞানের চরম উন্নতি সত্ত্বেও তা কখনও সম্ভব হবে না। আজ তো নয়ই, হাজার বছর পরেও সম্ভব হবে না। আমার এই কড়া মন্তব্য শুনে আমাকে আবার প্রগতিবিরোধী এবং ধর্মান্ধ ভাববেন না। একই সঙ্গে বিজ্ঞানবিরোধীও মনে করবেন না। আমি একজন আগাগোড়া বিজ্ঞানেরই ছাত্র এবং একই সঙ্গে একজন প্রগতিশীল, বিজ্ঞানমনস্ক ও মুক্ত মনের মানুষ। কিন্তু এর পরও বলছি, মানুষের পক্ষে মঙ্গলে বসবাস কোনোদিনও সম্ভব হবে না। কারণ বিজ্ঞানের উত্কর্ষতা সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে না। চিকিত্সা বিজ্ঞান একজন মানুষের রোগ নিরাময়ে সক্ষম, কিন্তু তাই বলে মানুষকে অমরত্বদানে সক্ষম নয়। নারীগর্ভে থাকা সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে, তা প্রসবের আগে জানা সম্ভব। কিন্তু তাই বলে ইচ্ছামতো ছেলে অথবা মেয়েশিশুর জন্ম দেয়া সম্ভব নয়। একইভাবে ভূমিকম্প, অতি বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বন্ধ করার উপায়ও মানুষ আবিষ্কার করতে পারেনি। কারণ হচ্ছে, মানুষের জ্ঞান এবং ক্ষমতার একটি সীমারেখা আছে, যা অতিক্রম করা কোনো মানুষের পক্ষে কোনোদিনও সম্ভব নয়। যারা মঙ্গলে বসতি গড়ার কথা বলছেন, তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা আগে উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরুতে বসতি গড়ুন। লক্ষ-কোটি মাইল দূরের মঙ্গল গ্রহ—যেখানে অক্সিজেন নেই, পানি নেই, গাছপালা নেই, কোনো ধরনের খাদ্য নেই, বিদ্যুত্ নেই, বাড়ি-গাড়ি কিছুই নেই, চাকরি নেই, ব্যবসা-বাণিজ্য নেই, ডাক্তার নেই, ওষুধপত্র নেই, সেখানে এত কষ্ট করে যাওয়ার দরকার কী এবং সেখানে বসবাস করার দরকার কী? এই পৃথিবীর অনেক ভূখণ্ডে তো এখনও মানুষের বসতি গড়ে ওঠেনি। হিমালয় অথবা আল্পস পর্বতের চূড়ায় আর আমাজান অথবা আফ্রিকা মহাদেশের গভীর অরণ্যে আগে মানুষের বসবাস গড়ে তুলুন। সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল আর মরুভূমির বালুর রাজ্যে মানুষের বসবাস গড়ে তুলুন। একইভাবে এই পৃথিবীর তিন ভাগ অঞ্চলজুড়ে বিস্তীর্ণ অথৈই জলরাশিকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করুন। লক্ষ-কোটি মাইল দূরের মঙ্গলে যাওয়া এবং সেখানে বসতি গড়ার চেয়ে এই পৃথিবীর বরফাচ্ছাদিত ভূখণ্ড, পাহাড়ি জনপদ এবং মরুভূমির প্রান্তরকে মানুষের বসবাসের উপযোগী গড়ে তোলা বিজ্ঞানীদের জন্য অনেক বেশি সহজ বিষয়। এছাড়া পৃথিবীর যেসব শহরে ও গ্রামে মানুষ এখন বসবাস করছে, সেগুলোকে আরও উন্নত করে আরও বেশি মানুষ কীভাবে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে, সেই প্রচেষ্টায় মনোনিবেশ করাটাই বিজ্ঞানীদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত। কিন্তু তা না করে মঙ্গলে মানুষের বসতি গড়ার স্বপ্ন নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় এবং অসম্ভব একটি বিষয়। মানুষ লক্ষ-কোটি মাইল দূরের মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, অথচ টাইটানিক ডুবে যাওয়ার একশ’ বছর পেরিয়ে গেলেও তারা এখনও সমুদ্রের মাত্র কয়েকশ’ ফুট নিচ থেকে জাহাজটিকেই তুলতে পারেনি। আর মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটিও খুঁজে বের করতে পারেনি এবং বিমানটির যাত্রীদেরও বাঁচাতে পারেনি। এমনকি বিমানটির ধ্বংসাবশেষ এবং যাত্রীদের লাশও উদ্ধার করতে পারেনি। তাই মানুষের উচিত বাস্তবতায় ফিরে আসা, বাস্তববাদী হওয়া এবং এই মহাবিশ্বের স্রষ্টার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করা। সুতরাং আসুন, আমরা সবাই নিজেদের জানি, স্রষ্টাকে জানি এবং তাকে মানি। কীভাবে এই পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব হলো, এই পৃথিবীতে আমাদের কাজ কী এবং মরণের পরে কী হবে, সেসব বিষয় জানা এবং সেই অনুযায়ী পথ চলা। তাহলেই কেবল মানুষের জীবন শান্তিময় এবং সুখের হবে। তা না হলে মানুষের জন্য দুঃখ আর কষ্ট ছাড়া আর কিছুই নেই, যা কারও কাম্য নয়।
জালাল উদ্দিন ওমর
বিষয়: বিবিধ
১১০৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
'এ প্লেনটি নিখোঁজ করার পেছনে ইউ এস প্রতিরক্ষা বিভাগ (কেউ বলেছেন মোসাদ) সরাসরি জড়িত। এর মাধ্যমে তারা মূলতঃ টেস্ট করলো - প্রতিরক্ষা প্রয়োজনে তারা কি যে কোন উড্ডয়নশীল যান/মিসাইলকে স্যাটেলাইট ফাঁকি দিয়ে নিজ নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিতে পারে কিনা এবং সে সাথে এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর ও টেস্ট করে দেখছে।
সে সাথে এ উছিলায় তারা তাদের যুদ্ধ জাহাজ ও সরন্জামাদি স্ট্রেটেজিক লোকেশানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
এ পয্যন্ত মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন নিয়ে যা কিছু প্রমান ও তথ্য পেশ হয়েছে, আর যা কিছু বিশ্বের মানুষ আমেরিকার স্যাটেলাইট ক্যাপাসিটি নিয়ে কথা শুনেছে, আর হারাবার পর হতে আমেরিকার পক্ষ হতে যা কিছু এ নিয়ে বলা হয়েছে - তার বিশ্লেষন এমন ই ইংগিত করে।
সে সাথে কেউ কেউ কমেন্ট করেছেন, আমেরিকা ও তার বন্ধুরা এ পয্যন্ত যা কিছু করেছে তা হলঃ
১। প্রমান লুকোনো কিংবা বিকৃতির চেষ্টা
২। দেরী করার ফন্দি ও ফিকির
৩। দূর্ঘটনাটিকে পলিটিক্যাল পোষাকে আব্বৃত করা।
৪। মালয়েশিয়াকে এ উছিলায় সাইজ করা
৫। আর মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনকে দেওলিয়া ঘোষনা করতে বাধ্য করতেও কোন কোন আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্র কাজ করছে এ উছিলায়।
বিজ্ঞানের লিমিটেশান ও তার আলোকে আপনার বিশ্লেষনের সাথে সিম্পলী একমত।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আল্যাপাকের পাক কোরানে এত বিজ্ঞান ভান্ডার থাকা সত্বেও মালয়েশিয়ার মুমিনরা কেন যে আমেরিকার কাছে ধন্যা দিল!!অশ্লিল মন্তব্যগুলি মুছে দিলে ভাল হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন