বিশ্ব নারী দিবস এবং ৩ জন বাংলাদেশী নারী; জয় বাংলার আগে বাড়োর গান!
লিখেছেন লিখেছেন নানা ভাই ০৯ মার্চ, ২০১৪, ০৫:০৭:২৫ সকাল
৮ই মার্চ হইলো বিশ্ব নারী দিবস।
আর এইদিনে আমরা বাংলাদেশীরা ৩ জন বাংলাদেশী নারীর খবর পাইছি, যা নাকি সারা দুনিয়াতেই আলোচনা হইছে। নাম্বারটা আমি লাগাইছি, আপনারাও চাইলে নাম্বার আগে পিছে লাগাইতে পারেন।
১/
ইনি হইলেন বাংলাদেশ নামের দ্যাশের প্রধানমন্ত্রী। ইনি কখন কারে যে কি কইবেন, আল্লাহ মাবুদই জানেন। গতকাইল ইনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডাঃ বদরুদ্দোজারে কইলেন " ছবিতে দেখলাম একেবারে লাল টুকটুকে শাড়ি পরে বদু কাকার সঙ্গে কথা বলছেন। আমি ঠিক জানি না, আমাদের বদু কাকা রজনীগন্ধা নিয়ে গিয়েছিলেন কি না ওনার কাছে? একসময় তো এমন তাড়া খেয়েছিলেন যে রেললাইনের তলা দিয়ে পালাতে হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, আমি একগোছা রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে চললাম। আজ দেখি দুজনে বসে কূজনে কী কথা বলে।"-প্রধানমন্ত্রীর পদ তো পুলাপানের এক্কা দোক্কা খেলার পদ না! এইজন্যই এটিএন বাংলার মাহফুচ কিছুদিন আগে কইছিল, "বাচাল"। প্রমান এইখানেঃ http://www.youtube.com/watch?v=liy8RjLD1sg
২/
ইনার নাম হইল মাকসুদা। ইনি নাকি ৪ বছর বয়সে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় যান। বাংলাদেশের মাকসুদা নামটা তো ব্যকডেটেড, তাই ইনি পাল্টে ফেলেছেন নাম। মাকসুদা থেকে হয়েছেন মাকস। আমেরিকান অ্যাপারেলসের হয়ে তিনি একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন। তাতে মাকস তার শরীরের উপরের অংশ একেবারে অনাবৃত করেছেন। তার উন্মুক্ত বক্ষের ওপর ইংরেজিতে লেখা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। বাহ, খালি বাপ মায়ের নাম না কিভাবে দ্যাশের নাম উজ্জল করা যায়, তার খা্ঁটি নমুনা।
৩/
ইনার নাম লুলু ফেরদৌস।প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলে পাড়ি দেয়া প্রথম বাংলাদেশী নারী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। এটা মঙ্গলের উদ্দেশে ওয়ান-ওয়ে যাত্রা।
ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা ফেরদৌস সেই ৬ বছর বয়স থেকে নভোচারী হওয়া আর মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করে আসছেন। বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের প্রথম নারী বিমানচালক হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে বারবার জানিয়েছে একজন মেয়ে কখনও তাদের হয়ে বিমান চালাবে না। পরে কমার্শিয়াল পাইলট হওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানেও নারী হওয়ার কারণে প্রত্যাখ্যাত হন। তার পরও তিনি হাল ছেড়ে দেননি। বিদেশে পাড়ি দেয়ার জন্য দীর্ঘ ১১ বছর কাজ করে অর্থ সঞ্চয় করেন। ২০০৭ সালে বিমানচালনা বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ২০১২ সালে ‘এয়ার ট্রান্সপোর্টেশন এডমিনিস্ট্রেশন’ ডিগ্রি নিয়ে ওমাহার ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাসকা থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। পরে তিনি নেব্রসকাতে নাসার গবেষণা সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি এরোস্পেস সায়েন্সে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনে পড়াশোনা করছেন। ২০২৫ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে মানববসতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে মার্স ওয়ানের নেয়া উদ্যোগে আবেদন করেন। লুলু ফেরদৌস বিশ্বের ১০৫৮ জন আগ্রহী অভিযাত্রীদের মধ্যে একজন যারা বাছাইয়ের পর ২য় রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাল লাগিল। এই মাকস জাতিয় এক নারী বেশ কয়েকবছর আগে বাংলাদেশের নাম নিয়া এই ধরনের ছবি তুলসিল। মরহুম হুমায়ুন আহমদ এই নিয়া লিখেছিলেন যে "মা জননি তোমার যত খুশি দেখাও কিন্তু খালি তুমি যে বাংলাদেশের সেই কথাটা চেপে যাও"।
মন্তব্য করতে লগইন করুন