১৯৭১-এর মার্চ : স্বাধীনতার পূর্বকাল
লিখেছেন লিখেছেন নানা ভাই ০৮ মার্চ, ২০১৪, ০৩:৫১:৫১ রাত
শেখ মুজিব সম্পর্কে অন্য একটি তথ্য জানিয়েছেন বিবিসির সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত সিরাজুর রহমান। দৈনিক নয়া দিগন্তে (১৫.৮.১০) ‘শেখ মুজিবের তিনবার লন্ডন সফর’ শিরোনোমের উপসম্পাদকীয় নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তি পেয়ে লন্ডন যাওয়ার পর ভারতীয় হাই কমিশনের ব্যবস্থাপনায় শেখ মুজিব ‘ক্যারিজাস হোটেলে’ ওঠেন। সেখানে সিরাজুর রহমানের উপস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার কাছে ফোন করেন। শেখ মুজিব সবার সামনেই কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সিরাজুর রহমান তাকে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার উচিত একাকী কথা বলা। মূলত সিরাজুর রহমানের তাগিদেই শেখ মুজিব বেডরুমে যান কথা বলতে। সেখানে একাকী প্রায় ২০ মিনিট ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে আসার পর শেখ মুজিব সিরাজুর রহমানকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আমাকে এক্সিলেন্সি কইলো ক্যান?’ জবাবে সিরাজুর রহমান জানালেন, ‘আপনি প্রেসিডেন্ট, আপনাকে এক্সিলেন্সি কইবো না তো কী কইবো?’ শেখ মুজিব বললেন, ‘আমি আবার কিসের প্রেসিডেন্ট হইলাম? আমরা না অটোনমি পেলাম?’ সিরাজুর রহমান তখন তাকে জানালেন, ‘আপনি তো ছিলেন না দেশে। আমরা আপনার নামে গোটা জাতিকে এক করে ফেলেছি। আমরা দেশ স্বাধীন করে ফেলেছি।’ অর্থাৎ লন্ডন যাওয়ার পর পর্যন্তও শেখ মুজিব জানতেন না যে, দেশ স্বাধীন হয়েছে। তার ভাবনার মধ্যে স্বাধীনতার বিষয়টি ছিল না বলেই তিনি অটোনমি তথা স্বায়ত্তশাসনের কথা বলেছিলেন।
এভাবে তথ্যনির্ভর বিশ্লেষণে প্রতিষ্ঠিত হবে, শেখ মুজিব অন্তত ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার কোনো ঘোষণা দেননি। ২৫ মার্চের সর্বশেষ বিবৃতিতে তিনি বরং ২৭ মার্চ হরতালের ডাক দিয়েছিলেন। সে খবর ইত্তেফাকসহ প্রদেশের দৈনিকগুলোতে প্রকাশিতও হয়েছিল। স্বাধীনতা ঘোষণাদানকারী কোনো নেতার পক্ষে হরতালের ডাক দেয়া সম্ভব নয়। ঘোষণা দেয়া সংক্রান্ত দাবিটিও তাই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি। ঘটনাপ্রবাহে বরং প্রমাণিত হয়েছে, এক পাকিস্তানভিত্তিক সমাধানই ছিল শেখ মুজিবের লক্ষ্য। এইখানে গুতা মারেন
বিষয়: বিবিধ
১০৯৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
৭ই মার্চ সেই অগ্নিঝরা ভাষনের পর ৮-২৫ তারিখ বঙ্গবন্ধু কি বিষয় নিয়ে / কিসের আশায় ইয়াহইয়া-ভূট্টোর সাথে ঢাকা - লাহোর আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ?
এই ভাষনে তো উনি ষ্পস্টতই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন । স্বাধীনতা ঘোষনা করাই যদি হয় এই ভাষনে তাহলে প্রতিপক্ষ ইয়াহ ইয়া-ভূট্টোর তো বঙ্গবন্ধুর সাথে আর কোন আলাপ-আলোচনারই দরকার ছিল না । একটাই সমাধান ছিল - যুদ্ধ ।
তাহলে ইয়াহইয়া - ভূট্টো এই স্বাধীনতা ঘোষনার সাথে সাথে পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার জন্য ৮ ই মার্চই কেন যুদ্ধ শুরু করে দিল না ?
আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি :
নিশ্চয়ই ভাষনের মধ্যে এমন কিছু বলা ছিল যা এখন আমাদের কাছে ডিলিট করা ভার্সন শোনানো হচ্ছে যেখানে পাকিস্তানীরা তাতক্ষনিকভাবে যুদ্ধ না করে বঙ্গবন্ধুর সাথে আলাপ-আলোচনা খেলা চালিয়ে যাচ্ছিল ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন