একটু সাহচর্য অনেক ভালোলাগা
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান বিন আনোয়ার ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:১৪:৫৭ রাত
প্রথম পিরিয়ডের তৃতীয় ক্লাসের শুরুতে খবরটি জানলাম। নাদিল-ই'লাম ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি...?
খবরটি জেনে আর তর সইছিলনা। ক্লাসে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ল। মনে চাইল ডক্টরকে বলি ১০মিনিট আগে ছুটি দিয়ে দিতে। যদি আবার হলে জায়গা না পাওয়া যায়!
ক্লাস শেষ হল যথাসময়ে। 'মেইন মেনস বিল্ডিং' থেকে 'বিজন্যাস এন্ড ইকোনমিক্স' ভবন হাঁটা দূরত্বে পনেরো মিনিটের রাস্তা। আরেক সুহৃদ সহপাঠিকে নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে সে দূরত্ব পাড়ি দিলাম।
সি, ই, এবং ডি সেকশন খুঁজে-খুঁজে ক্যাম্পাসেই এক জনারণ্যে প্রিয় মানুষটির দেখা মিলল! চোখ দুটো তখন বিস্ফারিত আমার! অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। যা দেখছি সেটা সত্যি তো! একটু দূরেই সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলছেন তিনি।
তারপর সবার সাথে কুশল বিনিয়ম শেষে হাঁটা ধরলেন সেমিনার-হলে। পেছনে পেছনে ছাত্র-শিক্ষক ঢল নেমেছে। এরইমাঝে একেবারে কাছাকাছি গিয়ে একটি ছবি তোলার অনুরোধ জানালাম। অনুরোধ উপেক্ষিত হলনা। আমি ও আমার বন্ধু মিলে তাঁর সাথে একটি 'ত্রিফলা' ক্যামেরাবন্দি করলাম। তারপর সবার সাথে অনেকটা দৌড়ে হাজির হলাম মূল সভায়। এক ঘন্টার বক্তৃতায় কেমন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে চেয়ে থেকেছি। ভাগ্য ভাল ছিল, সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত আসনের দু-একটি খালি দেখে সেখানে বসে পড়েছিলাম। তাই একেবারে সামনে থেকে দ্বিতীয় সারিতে বসেই তাঁর কমনীয় ব্যক্তিত্ব আর চমৎকার বক্তৃতা উপভোগের সুযোগ পেলাম। পুরো সময়টা একেবারে ঘোরের মধ্যে ছিলাম। আরব বিশ্বের জনপ্রিয় আলেম তিনি। সুবক্তা, এবং সত্যিকারের ইসলামী চিন্তাবিদ। সমসাময়িক জ্ঞান ও সেটিকে অনুশীলন করায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তিনি ডক্টর মুহাম্মাদ আল-আরিফী।
ভার্চুয়াল জগত আর বিভিন্ন ইলেক্ট্রিনিক-মুদ্রিত পাতায় তাঁকে দেখে দেখে চোখের সামনে প্রত্যক্ষভাবে দেখার একটা উদগ্র বাসনা সবসময়ই কাজ করত। সে ইচ্ছাটি আজ এত সাবলীলভাবে ধরা দিয়েছে দেখে বিশ্বাস হতে চাইছিলনা। পুরো দেড়ঘন্টা তিনি হাতছোঁয়া দূরত্বে অবস্থান করেছেন। সভাশেষে বেরিয়ে যাওয়ার পথে ছাত্র ও ভক্তবৃন্দের আবদার তাঁকে মেটাতেই হল। মুহুর্মুহু ক্যামেরা-ফ্ল্যাশ, একাকী কিংবা গ্রুপ ছবিতে অংশ নেওয়া, সবকিছুতে তিনি হাসিমুখে অংশগ্রহণ করেছেন। সবশেষে আমাদের অপূর্ণ ইচ্ছেটাও জিইয়ে রাখতে দিলেননা। আমার ও আরেক বন্ধুর অনুরোধে বাংলাদেশি ছাত্রদের নিয়ে একটি গ্রুপ ছবিতে অংশ নিলেন। অতঃপর বিদায় নিলেন আপন মহিমায়। যতদূর দেখা যায়, আমাদের বিস্ময় ও ভালো লাগার দৃষ্টি তাঁকে অনুসরণ করে চলল। আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘজীবী করুন
বিষয়: বিবিধ
১১৩৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
.
.
Enjoy your life বইটা যেদিন পড়েছি, সেদিন থেকেই মনেতে স্থান দিয়ে ফেলেছি উনাকে... বাংলাদেশ থেকে আবারো এক ঝুড়ি ভালোবাসা আর দো'আ পাঠানো হল উনার উদ্দেশ্যে...!
.
.
আপনি কোথায় থাকেন ভাইয়া?? আমি শীঘ্রই দেশ ত্যাগ করবো ভাবছি...!
তাঁর জন্য, পাশাপাশি আমার জন্যও দোয়া করলে আরো বেশি খুশি হতাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন