একটি আলাপচারিতা ও জীবনের বদলে যাওয়ার চিত্র
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান বিন আনোয়ার ২৫ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:৫০:৪২ বিকাল
১- দোস্ত, কী খবর?
২- ভাল আলহামদুলিল্লাহ্। তোর কী খবর রে?
১- আছি ভালোই। কী করছ?
২- বইসা আছি ভাইয়ার বাসায়। কাজের নতুন জায়গা দিয়েছে, পার্মানেন্ট করে! তবে অনেক দূরে।
১- তাই নাকি?
২- হুমম...।
১- বেশি দূরে?
২- হুম...।
১- তাইলে ক্যামনে কী করবি?
২- বলছে, ওইখানে সমস্যা হলে চেঞ্জ করে দিবে- এটাই সান্ত্বনা।
১- ওইখানে কেমন?
২- এখনো যাইনাই। যাওয়ার পর বুঝা যাবে।
১- কখন যাবি?
২- কাল সকালে যাওয়ার ইচ্ছা।... ভার্সিটি খুলতে আর বেশি দেরি নেই।
১- তাইলে ক্যামনে কী?
২- এরমধ্যে একটা ব্যবস্থা করতে হবে। শুনলাম নতুন জায়গায় নাকি দিনে না থাকলেও সমস্যা নেই!
১- তাইলে তো ভালই! সকালে ভার্সিটিতে এসে পড়বি। তারপর সন্ধায় যাবি। কিন্তু তোর গাড়ি নাই যে~!
২- দুপুর বেলাটা মিস দিতে পারলেই হবে। গাড়ির ব্যবস্থা হয়ে যাবে আশা করি।
১- আগের মত ভাড়া করে?
২- হুমম...। কী আর করা!
১- নিজে কিনে ফেল।
২- চালাব কীভাবে?
১- শিখে ফেল।
২- এবার ইনশাআল্লাহ ড্রাইভিং স্কুলে ভর্তি হয়েই যাব! জায়গা পার্মানেন্ট হওয়াতে ভাল হয়েছে। এখন আর ঘুরাবেনা।
১- হ, ভালই হইল।
২- তোর কী খবর?
১- আমি তো আছি আগের মতই।
২- কেমন ঘুরলি?
১- কই?
২- কোন জায়গায় না ঘুরতে যাবি বলছিলি?
১- না যাইনাই তো! আলেক্সান্দ্রিয়া যাওয়ার কথা ছিল।
২- ও... যাসনাই ক্যান?
১- কোনও কিছু ভাল্লাগেনা।
২- আমারও।
১- দিনকালই এমন এসে পড়ছে।
২- হা।
১- আবার স্কুল- জীবনে ফিরে যেতে মনে চায়। শান্তির জীবন। টেনশন নেই। আর এখন কত কিছু মাথায় ঘুরে! সারাদিনই। ঘুমালেও শান্তি নেই। স্বপ্নে এসে পড়ে।
২- আমার অতীতে ফিরে যেতে মনে চায়না। অতীতে যাওয়ার সুযোগ নাই যে! তাই সেটা নিয়ে ভাবিনা।
১- তা-তো অবশ্যই!
২- তবে বন্ধু-বান্ধব ছাড়া ভাল্লাগেনা তেমন। খালি একা একা লাগে।
১- তারপরও কল্পনা করি আরকি! তোর কথা ঠিক। এখন বহু মানুষের সাথে পরিচয় হয়। কিন্তু বন্ধুত্ব হয়না। এমনকি যাদের সাথে পড়ি তাদের সাথেও না!
২- দোস্ত, দারুণ একটা কথা বলছস! কত মানুষের সাথেই ত পরিচয় হয়। কিন্তু বন্ধুত্ব হয়না।
১- আন্তরিকতা নাই। আর এটা আসলে নতুন করে বন্ধুত্ব করার বয়সও না।
২- তারপরও মনে কর, ক্লাসমেট, সহকর্মী; কতজনই তো আছে!
১- হুমম...। কত মানুষজন আছে, কিন্তু আড্ডা দিতে ভাল্লাগেনা। সব উপরে উপরে আন্তরিকতা।
২- হা। ঠিক বলছস।
১- আর অনেক সমস্যাও আছে।
২- অনেক।
১- মিলেইনা কোনোভাবে।
২- হুমম...। দোস্ত, এখনকার লাইফটা সম্পূর্ণ ভিন্নরকম।
১- কেমন?
২- এর একমাত্র কারণ হল, সবাই চাকরি করে এখানে। নিরেট স্টুডেন্ট যারা, তারা হোস্টেলে ভালোই আনন্দ করে। ঘুরতে যায়।
১- স্বাভাবিক। চাকরি করলে সময় কই?
২- চাকরিতে ঢুকলেই লাইফ নিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। সবাই আলাভাবে খুব কম সময়ই মজা করতে পারে।
১- তারপরও, চাইলে কি আর কম মজা করা যায়! এটাও নিজেদের ওপর।
২- তা ঠিক।
১- এছাড়া সারাজীবন তো চাকরি না করে কেউ পারবেনা। এটা জীবনের আরেকটা স্টেপ আরকি!
২- সেজন্যই তো ক্লোজ ফ্রেন্ডদের দরকার। সময়টা ভালোভাবে কাটানোর জন্য। নতুন যাদের সাথে পরিচয় হয় তারা তেমন ক্লোজ হয়না। পুরোনোরাই থাকে ঘনিষ্ঠ হিসেবে।
১- টার্নিং পয়েন্টটা তে খাপ খেতে সময় লাগে। তোর কথা-ই ঠিক।
২- সেজন্যই তো তোকে আমাদের এখানে আসতে বলি! (গালভরা হাসির ইমু)... ( অসম্পূর্ণ )
বিষয়: বিবিধ
১১৩৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন