অবশেষে হেফাজত 'পুরুষ' হয়েছে
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান বিন আনোয়ার ২২ আগস্ট, ২০১৫, ০১:৫৯:২২ দুপুর
খুব আগ্রহভরে তাকিয়ে আছি, দু'বছরেরও বেশি সময় পরে একটি 'পুরুষালী' প্রতিবাদ নিয়ে হেফাজত যে আবার মাঠে নেমেছে, শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয় কিনা- সেটি দেখতে!
৫ই মে ২০১৩'র পর হেফাজত একটি বিলুপ্তপ্রায় দলে পরিণত হয়েছে। মাঝেমাঝে কিছু দোয়া-মাহফিল এবং দেওয়ার আগেই ফিরিয়ে নেয়া কর্মসূচি ছাড়া এর মাঝে তাঁরা কিছুই করেনি। করতে পারেনি। শেষপর্যন্ত তাঁদের লড়াই জেগে উঠল?
একটি সাগ্রহী পতিতার সবচেয়ে বড় সফলতা হল, সে একই সাথে নিজের যৌন-লিপ্সা মিটিয়ে নেয়, বিনিময়ে কিছু অর্থকড়ি উপার্জন করে এবং মানুষের মনে ঘৃণার সাথে হলেও তার জন্য একটি পরিচয় সৃষ্টি হয়। মানে হল, সে পতিতাটি নিজের অকীর্তি-কুকির্তি দিয়েই সহজে বিখ্যাত হয়ে যায়।
বাংলাদেশে হেফাজত একটি অকার্যকর দল। বিভিন্ন সময়ে ইসলামের বিভিন্ন বিধান প্রতিরক্ষায় মাঠে নামলেও সফলতার মুখ তারা দেখেনি বললেই চলে। এখন তাঁদের দুর্ভাগ্য হল, বাংলাদেশের আপামর জনতার পরিবর্তে একটি বেলেল্লা মেয়েকে প্রতিহত করতে হেফাজতকেই সোচ্চার হতে হয়েছে। নীতি-নৈতিকতা ও ইসলামী মূল্যবোধে এটি অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে এ কাজটির জন্য হেফাজতকে কেন নামতে হল সেটি ভেবেই হতাশার অন্ত রইছেনা।
খুব সহজেই ওই অসতী কে ঠেকিয়ে দেওয়া যেত। সরকার অনুমতি না দিলে, অথবা যুব সমাজ ওর অনুষ্ঠান প্রত্যাখান করলে। অথচ এ দু'টোর কোনও একটিও হয়নি। দুঃখজনক ব্যপার হল, বর্তমান বাংলাদেশে সেটি হওয়ার আশাও করা যাচ্ছেনা। পাশের বাড়ির ব্লাউজবিহীন সংস্কৃতি আমাদেরকে এমনভাবে মাতাল করেছে, আমরা এখন 'নোংরা' কম 'প্রগতিশীল' বেশি হয়ে গেছি।
ওপরে ওপরে অনেকে বিরক্তিভাব দেখালেও ভেতরে আসলে কৌতূহলে ফেটে পড়ছে তারা। আহারে, যাকে এতদিন ইন্টারনেটের অপ্রকাশ্য জগতে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে উপভোগ করতে হয়েছে, তাকে এখন চোখের লালসাতে প্রকাশ্য দিবালোকে ধর্ষণের অনুমতি পাওয়া গেল! তা দেবীকে লুন্ঠন করতে সর্বনিম্ন টিকিট ১৫০০০টাকা খুব বেশি নাকি!
হেফাজত মাঠে নেমেছে। প্রয়োজনে তারা রক্ত দিবে। তবে এই রক্ত ঝরানোর ঘোষণা যুব সমাজ থেকে এলেই, বুঝা যেত বাংলাদেশের সমাজ সত্যিই পচে যায়নি। হেফাজতের সাফল্য কামনা করছি।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আবারও সেই হেফাজত বাংলাদেশে আরেকজন নারীর আগমনের সময় যদি এমন বিরোধিতা করে তাহলে তো ৬ই মে ২০১৩ এর ইতিহাস তাদের সামনে এখনও জ্বাজল্যমান ।
পর্ণস্টার সানির আগমন বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য একটা পরীক্ষা আল্লাহর তরফ থেকে , দেখা যাবে কার ঈমান কতটুকু অবশিষ্ট আছে ।
আর গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় নামি দামি নায়করা এসেছে এবং আমাদের মেয়েরা তাদের কাছে চুমু খেয়েছে , জড়িয়ে ধরেছে ।
সুযোগ এখন ছেলেদের সামনে এসেছে ।
প্রতিবাদ জানানো ঈমানদার মুসলমানদের দায়িত্ব, দায়িত্ব পালন করেছে হেফাজতে ইসলাম।
প্রতিবাদ জানানো ঈমানদার মুসলমানদের দায়িত্ব- এটাই আসল সত্য কথা! আল্লাহ যদি সফলতা দেন, সেটা হবে সৌভাগ্য। সফলতা না এলেও প্রতিবাদ তো করে যেতেই হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন