ফ্রিডম অভ এক্সপ্রেইশন, ব্লাসফেমি, শার্লি হেব্দো এবং ইসলামের অবস্থান - ৪র্থ ও শেষ পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান বিন আনোয়ার ২১ জানুয়ারি, ২০১৫, ১০:০৯:৩৯ সকাল
((কথাগুলো একটি ইংরেজি বক্তব্যের অনুবাদ। একজন সত্যানুসন্ধানী, ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে এগুলো যে কারো জানা থাকা প্রয়োজন))
কোরআনের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করতে গেলে, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়া'লা অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ সাঃ-কে নিয়ে যারা উপহাস করেছে তাদের নিন্দা করেছেন। সুরা তাওবা'র আয়াত নং ৬৫-৬৬, সুরা আহজাবের আয়াত নং ৫৭-এ আল্লাহ বলেন, "যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে গালাগালি করবে, কষ্ট দিবে, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশম্পাত করেছেন। আর তাদের জন্য তৈরি করেছেন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি"। আল্লাহ তায়ালা সুরা আল-ইমরানের ১৮৬ নং আয়াতে বলেন, "অবশ্যই তোমাদেরকে তোমাদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের নিজ জীবন সম্পর্কে পরীক্ষা করা হবে। আর অবশ্যই তোমরা শুনবে তোমাদের পূর্বে যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে এবং মুশরিকদের পক্ষ থেকে অনেক কষ্টদায়ক কথা। আর যদি তোমরা ধৈর্য ধর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর তবে নিশ্চয় তা হবে দৃঢ় সংকল্পের কাজ।" নবীজির জীবনে অনেকেই নবীজিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং তারা নবীজিকে অপমান করেছে। একজন নেতা হিসেবে নবী মোহাম্মাদ সাঃ কাউকে শাস্তি দিয়েছেন আবার কাউকে শাস্তি দেন নি। সুতরাং ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী, সাধারন মানুষ কিছু করতে পারবেনা। বরং একজন নেতাই যে কোনো পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিবেন। একজন মুসলিম শাসকই কিছু করার ক্ষমতা রাখেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার একজন মুসলিম শাসকের উপরই বর্তাবে। নবীজির জীবনে এমন দু'টো ঘটনা আছে। একটি ঘটনা আমাদেরকে জানাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে একজন মুসলিম ক্রীতদাস হত্যা করল। নবীজিকে গালাগাল করার কারণে একজন মুসলিম ক্রীতদাস তাঁর মালিককে হত্যা করেছিল। নবীজি বললেন, "এই ব্যক্তির কোনো শাস্তি হবেনা।" এটা ছিল একটি ঘটনা। কিন্তু এটা কে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? এটা কিন্তু 'শাসক'ই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ঘটনাটি কোথায় ঘটেছিল? এটি ইসলামী রাজ্যে ঘটেছিল। একটি বিষয় গেল। দ্বিতীয়ত আরেকটি ঘটনা হল, বুখারি শরীফের তৃতীয় খন্ডের ২৫১০ নাম্বার হাদিস, এমনিভাবে বুখারি শরীফের ৪র্থ খণ্ডের ৩০৩১-৩০৩২ নাম্বার হাদিস, এবং সহীহ মুসলিমের হাদিস নাম্বার ৪৬৬৪-এ আছে, আল্লাহ'র নবী বলেছেন, "কে আছে এমন যে আমাকে কা'ব বিন আশরাফের (কটুক্তি) থেকে মুক্তি দিবে?" এই কা'ব ছিল একজন ইহুদী। সে নবীজির বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়ে কবিতা লিখত। আল্লা'র নবী তাই ওই কথাটি বলেন। পরে হযরত মুহাম্মাদ বিন মুসাইলামা রাঃ গিয়ে ওই বদমাশকে হত্যা করেন। তবে এখানেও 'শাসক' উপস্থিত আছেন।
তার পর নবীজির জীবনে আব্দুল্লাহ বিন উবাই নামে এক কুলাঙ্গারের উপস্থিতি দেখা যায় যে নবী মুহাম্মাদ সাঃ-এর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত, তখন হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, "হে আল্লাহ'র রাসুল! আমি এই বদমাশকে হত্যা করব। সে আপনার নামে বাজে মন্তব্য করে!" আল্লাহ'র নবী তাকে থামিয়ে দিলেন। আব্দুল্লাহ বিন উবাই- যে ছিল মুনাফিকদের সর্দার- তার ছেলে নবীজির কাছে আসল। এসে বলল, "হে আল্লাহ'র নবী! যদি আপনি মনে করেন যে, আমার পিতাকে শাস্তি দিলে আমি কষ্ট পেতে পারি, আপনি এমনটি ভাববেননা দয়া করে। আপনি আমাকে অনুমতি দেন- আমিই আমার পিতাকে হত্যা করব!" এটাই বুঝাচ্ছে যে, একটি ইসলামী রাষ্ট্রে শাসকের কাছ থেকে বিদ্রূপকারীকে/অপরাধীকে হত্যার অনুমতি নিতে হবে। সে এটা বলেনি যে সে তার পিতাকে হত্যা করতে যাচ্ছে। সে তার 'নেতা'র কাছে এসেছে এবং অনুমতি চেয়েছে। নবীজি বললেন, "না।" এতসব প্রমাণ আমাদের কাছে উপস্থিত। এগুলোর ওপর ভিত্তি করে ইসলামী পণ্ডিতগণ বলেন, "সাধারণ মানুষ কখনোই তাদের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেনা এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে পারবেনা। কারণ এটা আরো বড় সমস্যা তৈরি করবে। এটা ইসলামবিরোধী শক্তিকে আল্লাহ এবং নবীজির বিরুদ্ধে আরো বেশি ব্যঙ্গ-উপহাস করার সুযোগ তৈরি করে দিবে।" আর বর্তমানে এটা ফ্রান্সে বসবাসরত সম্মানিত মুসলিম ভাই-বোনদের জীবন ও সম্পদকে আরো বেশি ঝুঁকির ফেলে দেওয়ার মত একটি ব্যপার হয়ে গেল। সুতরাং ওই মুসলমানেরা যা করেছে, একজন মুসলিম হিসেবে কেউ যখনই এমনটি করতে চায়, যদি সেই মুসলমানেরা এমনটি করে, তাহলে সেই আক্রমণটি ১০০ভাগ কোরআন এবং সুন্নাহ'র বিপরীত হবে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা নিন্দনীয়। এ ধরণের আক্রমণ তিরস্কারযোগ্য।" তবে যে দুষ্টরা নবীজির কার্টুন এঁকেছে তাদের মৃত্যুতে আমার কোনো দুঃখবোধ নেই।... এতটুকুই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আল্লাহ কবুল করুন।” (শেষ)
বিষয়: বিবিধ
১০৫১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নিম্নোক্ত ফতোয়া টি দেখুনঃ
14305: It is essential to respond to those who defame the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him)
________________________________________
There is no one among us who is unaware of what the Christians say defaming the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him), and we are not unaware either of the gheerah (protective jealousy) of the young men of the Muslim ummah towards their religion and their Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him). Is it permissible to respond to those who defame the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) by insulting the speaker, knowing that I insulted one of them and some of my relatives advised me not to do that again, because it will make them defame and mock him even more, so their sin will be on me?.
Praise be to Allaah.
Defaming the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) is a kind of kufr. If that is done by a Muslim then it is apostasy on his part, and the authorities have to defend the cause of Allaah and His Messenger (peace and blessings of Allaah be upon him) by executing the one who defamed him. If the one who defamed him repents openly and is sincere, that will benefit him before Allaah, although his repentance does not waive the punishment for defaming the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him), which is execution.
If the person who defames him is a non-Muslim living under a treaty with the Muslim state, then this is a violation of the treaty and he must be executed, but that should be left to the authorities. If a Muslim hears a Christian or anyone else defaming the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) he has to denounce him in strong terms. It is permissible to insult that person because he is the one who started it. How can we not stand up the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him)? It is also obligatory to report him to the authorities who can carry out the punishment on him. If there is no one who can carry out the hadd punishment of Allaah and stand up for the Messenger (peace and blessings of Allaah be upon him) then the Muslim has to do whatever he can, so long as that will not lead to further mischief and harm against other people. But if a Muslim hears a kaafir defaming the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) and he keeps quiet and does not respond for fear that this person may then defame him even more, this is mistaken thinking. With regard to the verse (interpretation of the meaning):
“And insult not those whom they (disbelievers) worship besides Allaah, lest they insult Allaah wrongfully without knowledge”
[al-An’aam 6:108],
this does not apply in cases where they defame Allaah and His Messenger (peace and blessings of Allaah be upon him) first. Rather what is meant is that it is forbidden to insult the gods of the mushrikeen first, lest they insult Allaah out of ignorance and enmity on their part. But if they insult Allaah and His Messenger (peace and blessings of Allaah be upon him) first, then we must respond and punish them so as deter them from their kufr and enmity. If we leave the kuffaar and atheists to say whatever they want without denouncing it or punishing them, great mischief will result, which is something that these kuffaar love. No attention should be paid to the one who says that insulting or responding to insults will make him more stubborn. The Muslim has to have a sense of protective jealousy and get angry for the sake of Allaah and His Messenger (peace and blessings of Allaah be upon him). Whoever hears the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) being insulted and does not feel any protective jealousy or get angry is not a true believer – we seek refuge with Allaah from humility, kufr and obeying the Shaytaan.
And Allaah knows best.
Shaykh ‘Abd al-Rahmaan al-Barraak, Majallat al-Da’wah, Muharram, issue no. 1933.
http://islamqa.info/en/14305
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : অবশ্য বর্তমানে যেহেতু পৃথিবীর কোথাও ইসলামী রাস্ট্রব্যবস্থা সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠিত নেই,কেন নেই??
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
কেন নেই??
মন্তব্য করতে লগইন করুন