জংলাদেশঃ একটি বিরাট গরু-ছাগলের হাঁট -২
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান বিন আনোয়ার ২০ এপ্রিল, ২০১৪, ০২:১৯:৪২ দুপুর
এই বাজারে কিছু ভাল মানুষ আছে। সত্যিকারের না, 'ঠেকায় পড়ে' ভাল মানুষ। মাথার মধ্যে এদের 'গোবরের কারখানা।' সেই কারখানায় হাবুডুবু খেয়ে বসে বসে এরা 'তারা' গোনে শুধু। স্বপ্ন-তারা, ভাগ্যের তারা। আরেকটা কাজ এরা ভাল জানে, "গলা ফাটিয়ে চিৎকার করা"। গরু-কারবারে যুৎ না পেয়ে মাঝেমধ্যে কিছু চিল্লা-ফাল্লা করে, লোকসান খেয়ে বুক চাপড়ায়; তবে দুই-চাইরটা থাপ্পর খাইলে সব ঠিকঠাক! কিল-ঘুষি খাইলে'তো আরো সমস্যা, তখন 'তারা গোনাটা'ও বন্ধ। বাজারের একটা 'কাওয়ালি' আছে, "আমার সোনার গামলা"...। এইটা মূলত ঘুমের বড়ি। খাইলে/গাইলে শুধু ঘুমে ধরে। এটা অবশ্য বাজারি'দের লেখা না। এক হিন্দু সন্নাসী লেখে দিয়ে গেছে। বাজারের এত গাঞ্জা-বাউল থাকতে হিন্দু সন্নাসী কেন 'থিম-সং' লেখল, সেটা অনেকের মাথায় ধরেনা। অবশ্য 'সাধু'র হাত ভাল ছিল। ঘুরাইয়া-প্যাচাইয়া লেখতে পারত। মিছা কথা কইত কিনা কে জানে! কইতেও পারে। সন্নাসী তো... এদের কোনো জাত-পাত নাই! বাজারি'রা তারে বেশ কদর করে। পারলে বেটা'রে বাপ বলে ডাকে! নিজের ঘরে শত বাউল থাকতে তার প্রতি এত মহব্বত কেন, এইডা তেমন স্পষ্ট না। নিশ্চয় কোনো ফায়দা আছে! তবে আন্দাজে বলা কঠিন, ভুল হইতে পারে! তারচেয়ে আসি কাজের কথায়। বাজারে এখন মন্দা চলতেছে। বিশাল মন্দা। জানমাল-স্বস্তি, সবকিছুতেই মন্দা। মোড়লের পেট মোটা। একপা' যদিও কবরে গেছে, লালচামির তবু শেষ নাই। পেটে মনে হয় হাঁসের জ্বালা! তার হুকুমেই সব কুকর্ম হয়। পকেটমার থেকে ছিঁচকে চোরা, সব শয়তানই 'গুরু'র মত। গরু বাজারের গুরুর মত। পেটমোটা মোড়লের মত। এরা 'গোবরওয়ালা'দের ফতুর বানায়! পাপের 'কামাই' নিজেরা গিলে। বড় ভাগ দেয় মোড়লের ঘরে। মোড়লের আবার খুঁটি শক্ত। প্রয়োজনে সে 'ছ্যানা' খেতে রাজি। তবু সে নিজের ধান্দা বাঁচাবে। পোষাকে-আষাকে মানুষ হইলেও, মোড়ল একটা নরকের কীট! বড়ই গরম চলাফেরা তার।...(চলবে)
(এটি একটি কল্পিত গল্প। বাস্তবের সাথে এর কোনো মিল নেই)
বিষয়: বিবিধ
১১৬৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন