চেতনার যাতনা ২ জাতি আলেমদের পথ চেয়ে আছে

লিখেছেন লিখেছেন মু আতিকুর রহমান ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:৩৩:০৬ বিকাল

চেতনার যাতনা ২

জাতি আলেমদের পথ চেয়ে আছে

বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেছেন আলেমরা। এ দেশে দীনের তালিম তারবিয়াত বা শিক্ষন –প্রশিক্ষন যা-ই বলা হোক তা সম্পাদিত হয়েছে আলেমদের মাধ্যমে।হজরত শাহজালাল ইয়ামেনী,শাহ পরান,শাহ মাখদুম,খান জাহান আলী র প্রমুখ এর মত বিশ্বখ্যাত অসংখ্য আলেম ইসলাম প্রচারের মহান দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় এদেশে আগমন করেন।বিষয়টি এমন নয় যে,তাঁরা পৃথিবীর অন্য কোথাও জায়গা পাননি বলে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।এসব মহাত্মা আলেমদের হাত ধরে এ ভূখন্ডের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষ অত্যাচারী শাসকদের কবল থেকে মুক্তি লাভ করে ।জনগন বোদ্ধ বা হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। জালিম শাসকদের হটিয়ে দিতে এ দেশের মানুষ বহুবার আলেমদের পেছনে একতাবদ্ধ হয়েছে। জনরোষে হিন্দু রাজা গৌর গোবিন্দের দেশ ছেড়ে পলায়নের ইতিহাস কারো অজানা নয় ।

আধুনিক বাংলাদেশের অধিবাসী এ দাবি তুলতে পারি না যে,আমাদের পূর্বপুরুষরা বৌদ্ধ বা হিন্দু ছিলেন না এবং তারা এ সকল মহাত্মা আলেমদের কাছে থেকে ইসলাম গ্রহণ করেন নি। তাই অতিত আমাদেরকে আলেমদের কাছে ঋণী করে দেয় ও কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে। অথচ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল, এ দেশে এক শ্রেণির মানুষ আলেমদের কটাক্ষ করে। তিরস্কার করে। ব্যাঙ্গ করে। আলেমদের সম্মান করা মুসলিমদের ইমানী দায়িত্ব। আলেমদের তিরস্কার করা ও অসম্মান করা আল্লাহ ও তার রাসুল সা কে তিরস্কার ও অসম্মান করা নামান্ত র।রাসুল সা বলেন,যে বাক্তি কোন সম্মান করলো সে আমাকে সম্মান করলো।আর যে বাক্তি আলেম ক অসম্মান করলো সে আমাকে অসম্মান করলো।

স্বাধীন – সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের পেছনে আলেমদের রয়েছে ঐতিহাসিক ভুমিকা। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত – পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর যে আচরণের প্রকাশ পায়, তার বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তোলেন কারা?কারা দৃপ্তকন্ঠে পাকিস্তান রাষ্ট্রকে ‘বিদায়ী সালাম’ জানিয়ে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে তোলেন?পূর্ব বাংলার মজলুম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন কারা?কারা এ দেশের আপামর জনসাধারনের কাতারে এসে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে ছন্নছাড়া জীবন যাপন করেন?তারা নিশ্চই বিলাত ফেরত সাহেব ছিলেন না।

বাংলাদেশের আলেমরা তাদের অইতিহাসিক দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। পারেন না হাজী শরীয়ত উল্লাহ,মীর নেসার আলী তিতুমীর ও সাইয়্যেদ আহমদ বেরলভীর উত্তরাধিকারী হওয়ার দায় থেকে নিজেদেরকে আড়াল করে রাখতে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়েছে বলে সূর্য্য আর উদিত হবে না; আশাবাদীরা তা বিশ্বাস করে না।

আজকের বাংলাদেশে মুসলিমদের ভবিষ্যৎ ছিন্তাই করার যে অপচেষ্টা চলছে,আলেমদেরকে তা রুখে দিতে হবে। নবীদের উত্তরসূরী আলেমদের সে সামর্থ অবশ্যই রয়েছে। তোমরা বিচ্ছিন্ন থেকোনা- কোরানের এই নির্দেশ আমল করার এখনই চুড়ান্ত সময়। সকল প্রকার বিভেদ ভুলতে হবে, আমিত্বকে কুরবানী দিতে হবে, নেতৃত্বকে আল্লাহর হাতে সমর্পন করতে হবে, মজলুম মানূষের দিকে তাকিয়ে সকল মতানৈক্য দূরে ঠেলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বাংলাদেশের মুসলিমরা আজ নিদারুন কষ্ট ভোগ করছে,মুসলিমদের এ ক্ষটের দিনে আলেমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভুমিকা পালন করতে ব্যার্থ হন,আল্লাহর দরবারে আলেমরা কি জবাব দেবেন

বিষয়: বিবিধ

১১৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File