আল্লাহর সৃষ্টিকৌশল কতইনা চমৎকার!
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ ১৬ মে, ২০১৪, ০২:০৯:৪২ রাত
এখন রাত, বলার অপেক্ষা রাখেনা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, ।আমার মত কিছু রাত জাগা নিশাচর প্রাণী ছাড়া কেওবা সপ্নের ভেলায় চড়ে নক্ষত্রের সাথে ধাক্কা লেগে নিজেকে খাটের নিচে আবিস্কার করছে, কেওবা মরে গেছে, আমি জেগেই আছি, জানিনা আজ কিভাবে পারছি জেগে থাকতে, যেখানে অন্যদিন এই সময়ে মরে থাকতাম ভেটকির মাছের মত। আজ ভাবছি, কর্মব্যস্তময় দিনের শেষে একটু সস্থি, আরামের জন্য রাতের প্রয়োজন অত্যন্ত জরুরী, মানুষের প্রয়োয়জন পূরণ করতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দিনের শেষে রাতের পায়দা করেছেন।
রাত আরামদায়ক হওয়া সত্ত্বেও সবসময় যদি রাত ই থাকত, ভোর না হত, সুর্য না উঠত, তাহলে কেমন হত? সে আরাম কি আরাম থাকত, সমস্ত প্রিথিবীতে টানা চলতে থাকা অন্ধকার রাত্রিগুলো এক বিভীষিকাময় পরিবেশের সৃষ্টি করতনা? অবশ্যই করত, সুর্যের হঠাত নাই হয়ে যাওয়া দেখে সবাই ভয়ে চমকে যেত। কিন্তু মহান আল্লাহ মানুষ কে এমন ভয়াবহ অবস্থায় রাখতে চান নি, বরং ভাল জিনিস যে মানুষের সবসময় ভাল লাগবেনা, এই কথা বিবেচনায় রেখেই রাতের পর দিন দিনের পর রাত সৃষ্টি করেছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত এই রকম ভাবেই চলতে থাকবে। বান্দার প্রতি আল্লাহর এই সুচিন্তিত নিয়ামতের কথা মানুষ ভুলে যায় কেমন করে, কেমন করে এতো বড় বড় নিয়ামত ভোগ করেও আল্লাহর দাসত্ত্বকে অস্বীকার করে!
অথচ আল্লাহর বান্দাকে দেয়া প্রত্যেকটি নিয়ামতের ব্যবহার অতঃপর নিয়ামত দানকারীর প্রতি শুকরিয়া আদায়ের ব্যপারে জিজ্ঞাসা করবেন, শুকরিয়া আদায়কারীদের উত্তম জাজা দান করবেন, আর অস্বীকার কারীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করবেন। আল্লাহ আমাদের তার নিয়ামতের শুকদিয়া আদায় করার জন্য সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন ।
বিষয়: বিবিধ
১১১০ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি। (37:6)
এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে।(37:7)
ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়। (37:8 )
ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি। (37:9)
তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। (37:10)
-------------------------------
আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি। (67:5)
-------------------------------
আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ। (72:8 )
আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে। (72:9)
ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন