সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা নয় বরং মুসলিম নিধন অভিযান
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ ০৩ মে, ২০১৪, ০১:৫২:০১ দুপুর
আমার লিখাটি কেও এড়িয়ে যাবেন না, এটা কোন গতানুগতিক পোস্ট নয়, বাস্তবতার নিরীখে লেখা, সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইল!
আমাদের দেশের হিন্দুরা র্কারো দ্বারা আক্রান্ত হলেই প্রধান্মন্ত্রী থেকে শুরু করে কথিত মানবাধিকার কর্মীরা মুহুর্তে ছুটে যান তাদের সমবেদনা জানাতে, সার্বিক দেখভাল করতে, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণে সারাদেশে তোলপার শুরু হয়ে যায়, ( যদিও যারা সমবেদনা জানাতে যায়, তারাই সংখা লঘুদের উপর আক্রমন করে রাজনৈক পায়দা হাসিল করার চেষ্টা করে)
কিন্তু সে সব মানবাধিকার কর্মীরা আজ কোথায়, যখন তাদের স্বজাতি ভাইদের প্রতিবেশি দেশে কচু কাটা করতেছে, গরু জবাই করার মত চলছে মানুষ জবাই, কি দোষ ছিল তাদের? যতজন লোক হত্যা করা হয়েছে সব কটাই মুসলমান, এখন হয়ত এটাকে অনেকে সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা বলবে, সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা মানে হল উভয় পক্ষে ভিক্টিম এবং আক্রমনকারী থাকবে, কোন পক্ষ যেমন শুধু ভিক্টিম হবেনা, তেমনি কোন পক্ষ শুধু আক্রমনকারী হবেনা। ভারতে গত দু দিন কি হল? সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা? না, মোটেও তা নয়, এটা ছিল সম্পূর্ণ মুসলিম নিধন অভিযান।
মাহমুদুর রহমান যথার্থই বলেছেন, মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই, আমাদের দেশের হিন্দুরা যেমন এই দেশে সংখ্যালঘু, তেমনি ভারতে মুসলমানরাও সংখ্যালঘু, তাহলে সংখালঘু হিন্দু/খৃস্টান আক্রান্ত হলেই সারাবিশ্বে সবার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়, আর বর্তমান বিশ্বে মুসলমানরা যে দেশে দেশে সবচাইতে বেশি জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে, তা নিয়ে বিশ্ববাসীর নীরব থাকা তাদের ভূমিকা কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কাশ্মীর ফিলিস্তিন, মায়ান্মারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, চীনের উইগুর মুসলিম সম্প্রদায়, ভারতে অবস্থানরত সংখ্যালঘু মুসলমান, গুজরাট মুসলিম নিধন অভিযান, চেচনিয়া বসনিয়া , সর্বশেষ ক্রিমিয়া মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানবেতর জীবন যাপনের কথা আমরা জানি।
তাই বিশ্ব সম্প্রদায়ের দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই, তারা কখনই মুসলমানদের প্রশ্নে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেনি, আমাদের দেশীয় মানবাধিকার কর্মীরাও সরকারের পা চেটে খেয়ে গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে দায়সারা কিছু বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে ক্ষান্ত থেকেছে, মানবাধিকার কে সরকার যেভাবে সংজ্ঞায়িত করে দিয়েছে, সে ভাবে তারা কাজ করেছে, তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে, হিন্দু খৃস্টান সংখ্যা লঘুরা নিরীহ, তাদের উপর আক্রমন কোনভাবেই বরদাশ্ত করা যাবেনা, তাদের অধিকার পূরণে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে, আর মুসলমানরা জঙ্গী সন্ত্রাসী, দেশ এবং সারাবিশ্বের নিরাপত্তার জন্য তারা হুমকি, তাই তাদের উপর হামলা কে এতো বড় করে দেখার কিছু নেই, সন্ত্রাসীদের পক্ষে মানবাধিকার কর্মীদের কথা বলা মানায়না। তাছারা ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ, সামান্য ক জন মুসলমানের হত্যাকান্ড নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করে আমরা আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করতে পারিনা। তাই চুপ থাক।
হায়রে মুসলিম জাতি, আজ সবাই আমাদের বিপক্ষে চলে গেছে, আমরা মার খাই, আবার আমারাই দোষী সাব্যস্ত হই, যত দোষ নন্দ ঘোষ। তাই পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে আমাদের একতাবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই, তারা কখনই আমাদের শুভাকাংখী ছিলনা, শুধু তা হওয়ার ভান করেছে, আমাদের দুর্বল জায়গা চিনে নিয়ে আমাদের সর্বনাশ করে চলেছে, আমাদের একতাই পারে তাদের সব কূট চাল রুখে দিতে......
বিষয়: বিবিধ
১৩২৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশে কি এরকম কিছু হয়েছে বা কোন বড় রাজনৈতিক দলের প্রথম স্তরের নেতারা কি সংখ্যা লঘুদের নির্যাতনের জন্য এরকম কোন প্রচ্ছন সমর্থনও দিয়েছিলেন কখনও ?
এত মুসলমান পোড়ানোর পরও কি মোদীদের সে দেশের মানুষ না বলেছে ?
বাংলাদেশের কোন দল প্রধান কি হিন্দুদের বিছানা , বালিশ বেঁধে নিতে বলেছেন ?
বাংলাদেশের হিন্দুদের কপাল ভাল যে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুরা ভারতের সংখ্যাগুরুদের মত নৃশংস নয় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন