স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আমরা…
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ ১৫ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:১৮:২৩ সকাল
আলহামদুলিল্লাহ
স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আমরা…
‘বউ যদি সব স্বামীকে খাওয়ায়, তাহলে রাস্তার পোলাপান খাবে কি? রাত নয়টায় পিকাপ ভ্যানে চড়ে গায়ে রঙ মেখে বৈশাখী সাজে সজ্জিত হয়ে হিন্দি গান বাজিয়ে তরুন তরুণী, ত্রিশের উর্ধ্বে কিছু ভাবী ভাই সহ যখন পুরো আসাদ গেইট এলাকা গরম করে ফেলছিল, জ্যামে ড্রাইভার যাত্রী সবার অবস্থা বেগতিক, তখন আমাদের সি এন জির ড্রাইভারের মন্তব্য এটি।
কেউ বুঝে আর কেউ না বুঝে আবার কেওবা মহা ষরযন্ত্রের অংশ হিসেবে নববর্ষকে বরণ করেছে মহা উতসব উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে।বৈশাখের সাজে পুরো ঢাকার শহর সেজেছে বর্ণিল সাজে, নেচে গেয়ে পরম ও চরম আনন্দে সবাই বছরের প্রথম দিনটিকে বরণ করেছে। আমারাও কিছু তরুন, যুবক নববর্ষকে সাদরে বরণ করেছি, পরস্পরের পতি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছি, মঙ্গল কামনা করেছি। তবে সেসব যুবক যুবতির মত নয় যারা নববর্ষ পালনের নামে নষ্টামী ভ্রষ্টামীর সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
গতকাল সারাদিন কোরআন হাদিসের আলোচনা, বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ঐতিহ্যের আলোচনা, আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব, রাসুলের সুন্নত অনুসরণ অনুকরণের আলোচনার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করলাম। গর্ব হচ্ছে এই জন্য যে, সবাই যেখানে নিজস্ব সংস্কৃতিকে পায়ে মাড়িয়ে বিজাতিয় সংস্কৃতির অন্ধ অনুসরণে ব্যস্ত সময় পার করছে, নারী পুরুষের নির্লজ্জ ডলাডলিতে মত্ত হয়ে আছে, আর কেও কেও বারান্দা শো (রোড শো) দেখে চোখের ক্ষুধা নিবারণ করছে, সেখানে আমরা কিছু যুবক চোখের ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রনে রেখে, অন্ধ অনুসরণে মনের তীব্র টান কে দমন করে আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে কোরআন, হাদিসের আলোচনা, একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলামের আলোচনায় নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পেরেছি।
যেসব কাজ করলে আল্লাহর প্রতি শিরক করা হয়, যেমন মঙ্গল শোভাযাত্রা। নাচ গান, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা( অশালীন পোশাক, অর্ধ্ব নগ্ন পোশাক, পর্দার বিধান কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো, হাত ধরা ধরি, মাখামাখি ইত্যাদি) সম্পুর্ন ইসলামী শরীয়ত বিরুধী কাজ, এমন সব কাজ সারা বাংলার মানুষ করলেও ( আসলে অধিকাংশই না বুঝে করে, যাকে বলে অন্ধ অনুসরণ অনুকরণ, কেনইবা করবেনা, নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি লোভ বেশি থাকে কিনা, তার জন্য) আমরা যারা ইসলাম কে কিছুটা বুঝি বা বুঝার চেষ্টা করি, তাদের অন্যায়ের অথেই সাগরে স্রোতের দিকে না গিয়ে বরং বিপরীত দিকে চলাই দায়িত্ব ও কর্তব্য, স্বয়ং আল্লাহ আমাদের সে দায়িত্ব দিয়েছেন।
সব শেষে বলব, যা কিছু অন্যায় পাপ, তা অধিকাংশ মানুষ করলেই ন্যায় বা পূন্য হয়ে যায়না। এই ছোট্ট কথা টি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে বুঝার তাওফীক দান করুন।
আমিন
বিষয়: বিবিধ
১১৩৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালই বলেছেন! নারী পুরুষের নিলজ্জ ডলাডলি!! কিন্তু নিলজ্জতা বৈশাখে পেলেন কই? যার ঘরে দাসী-বাদী্-নারীগনিমত আর তার উপরে তরতাজা মারিয়া, রিহানা, আয়শা..... ১১ বিবির হেরেম জলসা তার পক্ষেই কেবল ডলাডলি সম্ভব।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০: ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল। মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।
মন্তব্য করতে লগইন করুন