কিছু মানা আর কিছু এড়িয়ে যাওয়া
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ ২৮ মার্চ, ২০১৪, ০২:৪০:৩৮ দুপুর
আজ কবরস্থান মসজিদে গেলাম জুমার নামাজ পড়তে, ততক্ষনে মসজিদ মুসল্লি দ্বাঁরা কানায় কানায় ভরে গেছে, ভিতর বারান্দা কোথাও দ্বাঁড়ানোর যায়গা পেলাম না। এমনকি কবস্থানের সরু গলি গুলো পর্যন্ত লোকে লোকারন্ন হয়ে গেছে, যারা জায়নামাজ এনেছে, তারা দ্বাঁড়াতে পেরেছে, আর আমরা পাশে দ্বাঁড়িয়ে ভাবছি কি করা যায়। ঢাকা শহর মসজিদের শহর, তবু জায়গা নেই কোথাও, তার মানে হল মুসল্লি অনেক বেড়ে গেছে। অবশেষে জায়গা হল টাংকির উপর, প্রচন্ড গরম, একজন তার জায়নামাজ টা আমার সাথে শেয়ার করে।
নামাজের প্রতি মানুষের আবেগ আর ভালবাসা দেখে খুব আশাবাদী হই, ভাল লাগে এটা ভেবে যে দেশে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে শীঘ্রই, আমার আশা কাল থেকে আগামী শুক্রুবার পর্যন্ত হতাশায় পর্যবশিত হবে যখন দেখব, হাঁটতে গিয়ে ললনাদের ঠেলা গুতা খেয়ে ড্রেনে পড়ে যাবার উপক্রম হবে। যেমন গাদাগাদি করে নামাজ পড়ে নিলাম, একটু নড়ে গেলে টাংকি থেকে নিচে পড়ে যেতে পারতাম ঠিক তেমনি গাদাগাদি করেই ললনাদের সাথে পথ চলতে হবে।
বউ জি কে ইচ্ছে মত রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর সামনে মাথা নত করে কপালে কালো দাগ ফালালেই জান্নাতে যাবার রাস্তা ক্লিয়ার হয়ে যাবে? এতো সোজা? না এতো সোজা নয়, ইসলামের একটি ফরজ বিধান মানবেন, আর অন্য ফরজ বিধান (পর্দা) এড়িয়ে যাবেন, তাতে লোক দেখানো কিছু করা গেলেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে না।
সারা সপ্তাহ ঘুষ দুর্নীতির মহা উৎসব করে গরিবের হজ্বের দিনে এসে দু রাকাত নামাজ পড়ে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে দায় মুক্তি পেয়েছেন বলে মনে করে থাকলে বড্ড বেশি বোকামি হবে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি কাজের হিসাব কড়ায় গন্ডায় নিয়ে থাকবেন, বিন্দু মাত্র ছাড় দেয়া হবেনা সেদিন, যদি ইচ্ছাকৃত ভাবেই পাপ কর্ম করা হয়ে থাকে।
তাই শুধু একদিন নয়, সপ্তাহের প্রতি দিন নামাজ পড়ি, নামাজ প্রতিষ্ঠা করি, এর থেকে শিক্ষা নিয়ে অপরাপর প্রতিটি ফরজ বিধানের দিকে সমান ভাবে মনোযোগী হয়ে উক্ত বিধান গুলো শতভাগ আন্তরিকতা দিয়ে পালন করি, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাতের যাবার পথ কে প্রশস্ত করি।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন
বিষয়: বিবিধ
১০৫১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন