নারীকে যখন যেভাবে দেখি
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ ১৩ মার্চ, ২০১৪, ০৫:৩৮:১৯ বিকাল
রাস্তায় যখন বের হই, যুবতী, মধ্যবয়সী, অথবা বৃদ্ধা, সব বয়সী নারীদের চোখে পড়ে। ষাটের ঊর্ধ্বে কোন নারিকে দেখলে আমার মায়ের কথা মনে পড়ে, চল্লিশের ঊর্ধ্বে কোন নারীকে দেখলে আমার ফুফু খালাদের কথা মনে পড়ে, ত্রিশ/বিশের ঊর্ধ্বে কাওকে দেখলে আমার বড় বোনদের কথাই মনে পড়ে, আর বিশের নিচে কোন মেয়ের দিকে চোখ পড়লে আমার ছোট্ট বোনটির কথাই মনে পড়ে। তাই তাদের সেভাবেই দেখে থাকি।
অনেকে বলে থাকেন, নারীরা মায়ের জাতি, সুতরাং তাদের সেভাবেই দেখা উচিত/দেখলে নারীদের উপর পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি পড়বেনা, আমি তাদের সাথে সম্পূর্ণ একমত। হা এইভাবে দেখলে তারা শুধু ভোগ্য পন্য হিসেবে বিবেচিত হবেনা পুরুষের কাছে। কিন্তু তারপরেও কথা থেকে যায়...
এইবার আসি আসল কথায়, একজন নারী, যুবতী, মধ্যবয়স্কা, যে কিনা অর্ধ নগ্ন খোলামেলা পোষাকে শরীর প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতায় নামবে, হোকনা সে ছোট বোনের বয়সী, অথবা বড় বোনের বয়সী বা মায়ের বয়সী, আমি কেমন করে তাকে মা বোনের আসনে বসিয়ে দেখব! যেখানে তার এই শরীর প্রদর্শনী দেখামাত্রই মনের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা কামনা বাসনা গুলো জেগে উঠে, চোখ নরে চরে উঠে, সমস্ত শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহ খেলে যায়, কারণ আমিওত মানুষ, বিপরীত লিঙ্গ আমাকেও আকর্ষণ করে। তবে কেমন করে তাকে মা বোনের মত করে দেখব?
অনেকে হয়ত বলবেন, তারা যা করে করুক, তুমি নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটবে, তাহলে আর মনে কু চিন্তা আসবেনা। মানলাম, নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বললে মনে কু চিন্তা আসবেনা, কিন্তু এটা কি সম্ভব? গ্রামে হয়ত সম্ভব, রাস্তার এক পাশ ধরে নিচের তাকিয়ে হাঁটলাম, কারও দিকে তাকালাম না। এই লোকে লোকারন্য শহরে ডানে বামে, সামনে পিছনে তাকিয়ে হাটা মুশকিল হয়ে যায়, সেখানে কিনা নিচের দিকে তাকিয়ে হাটা! সম্ভব না
নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটলে যা হতে পারে--- কখনো পিছন থেকে ধাক্কা খেয়ে সামনে কারও গায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন, কারণ সামনেওত জায়গা নেই, কারও গায়েতেই পড়তে হবে আপনাকে, তারপর...... এমনও হতে পারে, যাদের শরীর প্রদর্শনীর থেকে দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে ঘুরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাদের কারও গায়ের উপর পড়লেন, মুখোমুখি সংঘর্ষ! চোখ সামলাতে গিয়ে পুরা দেহটাই ঘষা মাঝা করে নিলেন, রক্ত মাংসের স্পর্শটাও পেয়ে গেলেন আর কি! সাথে সাথে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে কঠিন কিছু ঝাড়ি ঝুরি, কসায়ে এক ধমক, “দেখে চলতে পারনা, সুন্দরী মেয়ে দেখলেই গায়ে পড়তে ইচ্ছে করে” এইসব হজম করতে হবে আর কি! এখন আপনার ইচ্ছা কেমন করে হাঁটবেন।
যে হারে ইভটিজিং, যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা বেড়ে গেছে, তাতে পর্দার অনুশীলন ছাড়া অন্য কোন সমাধান আমি দেখছিনা। এর মাধ্যমে নিজেরা যেমন নারীর পুরুষের লালসার স্বীকার হওয়া থেকে মুক্তি পেটে পারে, তেমনি তাদের পর্দার অনুশীলন পুরুষদেরকেও যিনা, ব্যভিচারের মত জঘন্য কাজ গুলো থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আপনারা আপনাদের মা বোনদেরকে খোলামেলা পোষাকে ছেড়ে দিবেন, তারপর ঘরে বসে আঙ্গুল চুষবেন, আর মনে প্রাণে চাইবেন, ইভটিজিং, যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ রোধ হবে, হবেনা, আপনার এই আশা নিরাশায় পরিণত হবে, যখন কিছু (কেলেংকারি) হয়েই যাবে, তখন আর হা হুতাশ করে বুক চাপড়িয়ে কোন লাভ হবেনা, আসুন না, আগে থেকে সতর্ক হই......!
বিষয়: বিবিধ
১১৭১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন