বউ বনাম মা
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ ১৩ মার্চ, ২০১৪, ০৬:৩৪:২৭ সকাল
বিয়ের পুর্বে সব ছেলেরাই জোর গলায় বলে থাকে, মা বাবাকে কখনও কষ্ট দিবেনা এবং এটা গুনাক্ষরেও সম্ভব না। প্রয়োজনে বউ কে তালাক দিবে, তবু মা বাবাকে কষ্ট দিবেনা। আসলে কি তাই, আমার মনে হয়না।
মায়ের জন্য বউকে নয়, বরং বউয়ের জন্য মায়ের জায়গা হয় বৃদ্ধাশ্রমে, নয়ত একসাথে থেকে বউয়ের ঠেলা গুতা সামলাতে হয়।
আমি বিষয়টি নিয়ে ভাবতে গেলে দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যাই। আমার ক্ষেত্রেও কি তাই ঘটবে যা অন্যদের বেলায় ঘটে চলেছে। 'আগের হাল যেমন করে গেছে পরের হাল তেমন করেই যাবে', এই নীতিতে চলব? আল্লাহ ভাল জানেন।
একটি নারী যখন মা, বাবা ভাই বোন এতো দিনের বেড়ে উঠা আবাসভূমি ত্যাগ করে নতুন পরিবেশে আসবে, স্বভাবতই তার মন খারাপ থাকবে, বাড়ির সবার জন্য মন কেদে উঠবে, সে সময়টায় তার পাশে না দারিয়ে হাটতে বসতে দোষ ধরা,বক ঝকা করা খালিখলি কাজের উপরে রাখা তে বউয়ের মনে দারুন ক্ষোভের সৃস্টি হয়, মূলত বউ শাশুরী, ভাবি ননদের মধ্যে কলহের কারণ।
বেচারা ছেলে 'শ্যম রাখি না কুল রাখি' অবস্থায় পরে যায়,বসে বসে হিসেব কষে, ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত মা বাবা অনেক কষ্ট করেছেন আমার জন্য,তা সত্য, কিন্তু এখন কি করছেন? কিছুইনা, বরং আমার গলগ্রহ হয়ে পরে আছেন।আর অন্য দিকে বউ আমার জৈবিক চাহিদা পুরন করছে, আমাকে ভাল ভাল রান্না করে খাওয়াচ্ছে, অফিস থেকে আসলে সাদরে গ্রহন করে নিচ্ছে, সুখে দুখের ভাগিদার হচ্ছে, ঘর সংসার সাম্লাচ্ছে, তো ,মায়ের ছেয়ে বউয়ের হক বেশি। সুতরাং মায়ের জন্য বউকে গাল মন্দ করতে পারিনা!
আবার বউদেরও শাশুরির একটু বকা ঝকাতে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতে হবে তার কোন মানে হয়না। এই রকম বকা ঝকাতো নিজ বাড়িতেও শুনে এসেছে, কই, সেখানেতো মা বাবাকে রাখব কি ছেরে দেব, এই নিয়ে কোন হুলুস্থুল কান্ড হতে দেখা যায়নি।
মায়েরা যদি তাদের ছেলের বউকে নিজের পেটের মেয়েটির মত ক্ষমা সুন্দর দৃষতিতে দেখে, বউয়েরা যদি শাশুরিকে আপন গর্ভধারিনী মায়ের মত সম্মানের চোখে দেখে দু চারটা কটূ কথা হজম করে নেয়, এবং ননদেরা যদি ভাবিকে আপন বোনের মত দেখে তবেতো ছেলেটিকে এই হিসেব কষতে হবেনা, মা ভাল নাকি বউ ভাল!
বিষয়: বিবিধ
৩১৯৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটা মেনে চললে একটা পরিবারে কোনদিনো ঝগড়া হওয়ার সম্ভবনা দেখিনা
তবে লেখক বিয়ে করছেন কিনা জানিনা
করলে হয়তো আরো একটি বিষয় ভাল করে লেখতে পারতো
আর সেটা হল- এই ক্ষেত্রে স্বামীর কী করনীয়,
এখানে বলা হয়েছে স্ত্রী আর শাশুড়ীর ভুমিকা, নিজের ভুমিকাই যে আসল তা কিন্তু একটি লাইনো বলেননি লেখক মহোদয়।
প্রথম ভুমিকা আপনার থাকবে আর সেটা হলো
বাসর রাতেই বিড়াল মারতে হবে
০১। বাসর রাতে বলতে হবে-
হে প্রাণ প্রিয়তমা! আমি জানি আমার গর্ভধারিনা মা কেমন,
সুতরাং নতুন করে আমার মায়ের বিরুদ্ধে নালিশ দেয়ার অধিকার তোমার নেই, কারন তোমার মায়ের বিরুদ্ধে নালিশ কি তোমার বাবাকে বলার অধিকার আমার আছে
ওরা শাসন করবে ওরা যেহেতু বড় শ্রদ্ধেয়, সুতরাং ওদের বিচার আমার কাছে দেয়ার সাহস তুমি কখনো করবেনা। এমনিক ভাল হোক কিংবা মন্দ হোক,
০২। যত দিন আমার মা বাবা এই পরিবারে বেচে থাকবে ততদিন তাদের কর্তৃত্ব থাকবে, তাদের ভুমিকার ব্যপারে তোমার নাক গলার কোন অধিকার থাকবেনা
০৩। হে প্রিয়তমা! আমার মা কিংবা পরিবারকে তুমি যদি আপন নিজের পরিবারের মতো গ্রহন না করো তাহলে মনে কর আমিও তোমার পরিবারকে আমার নিজের মতো গ্রহন করবোনা, অর্থ্যাত তুমি যদি আমার মাকে ঘৃনা কর তাহলে আমিও তোমার মাকে ঘৃনা করবো,
আমার ছোট ভাই যখন স্কুল থেকে আসার পর যদি তুমি খুশি মনে এক গ্লাস শরবত না দাও তাহলে মনে রাখবে তোমার ভাই যখন আমার ঘরে তোমাকে দেখার জন্য আসবে আমিও সেই তোমার মত তোমার ভাইকে এক গ্লাস শরবত দিতে উত্সহী হবোনা
মা মরলে কই পাবা?
মন্তব্য করতে লগইন করুন