সেজে বের হওয়া মানে অন্যের চক্ষু শীতল করা.।।
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:০৪:২১ রাত
আলতা চুনু, লিপিস্টিক, চুড়ি মালা কানের দুল, চাকচিক্যময় শাড়ি, অনেক সাজু গুজু করে যখন প্রেমিকের/ স্বামীর হাত ধরে বের হয়, তখন স্বাভাবিক ভাবে মনে প্রশ্ন জাগে, এই সাজ সজ্জা কি প্রেমিকের ভাললাগানোর জন্য, চোখের তৃপ্তি দানের জন্য? নাকি অন্য সব পুরুষদের দৃষ্টি আকরষনের জন্য, রুপের অহংকারের জানান দেয়ার জন্য, ক্ষুধার্ত বাঘের ক্ষুধাকে আরও তীব্র করার জন্য?
যে ছেলে তাকে নিয়ে হাটতেছে, সুন্দরী ললনা তার পাশে থাকায় গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে, সে গর্দব কি বুঝে, তার হাত ধরে থাকা ললনা তাকে নয়, অন্যের চোখের খুধা মেটাচ্ছে, তার হাত থেকে এই হরিনীকে কেড়ে নিয়ে ক্ষুধার্ত বাঘের দল ছেটে ফুটে খাওয়ার জন্য ছটপট করছে, তার হাত থেকে ছারা পাওয়া মাত্রই সুন্দরী ললনা রসনা বিলাসে পরিনত হবে।
হে বিশ্ব প্রেমিক স্বামী মহোদয়, প্রেমিকের দুনিয়া কাপানো সাঝের বাহার দেখে খুশিতে আটখান না হয়ে আসল জিনিস্টা উপলব্দি করুন। কতদিন দেখে রাখবেন, বাঘের খাদ্য যখন হরিন হয়, একদিন তো তাকে বাঘের পেটেই যেতে হবে। তো, প্রেয়সীকে একটু রেখে ঢেকে রাখুন না!
বুঝার চেস্টা করুন ভাই, আপনার প্রেমিকা আপনাকে রুপ দেখানোর জন্য এতো সাজ সজ্জার দরকার নেই। আপনার কাছে সে সাজলেও যা না সাজলেও তা। কিন্তু অন্যের সামনে সেজে গেলে মুগ্ধ দৃস্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকা তাকে বাড়তি আনন্দ দেবে, তার ভাল লাগা শুধু আপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা, সে ভাললাগানো হাজারটা পুরুষ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। তখন সামলাবে কে। আর তাছারা তার যদি আপনাকে দেখানোর নিয়ত থাকে, আপনাকে খুশি করার উদ্দেশ্য থাকে, তার জন্য বাহিরে যাওয়ার দরকার কি?
ঘরে পেত্নীর মত থেকে বাহিরে যাওয়ার সময় হলেই সাহ সজ্জা বেড়ে যায়, তাহলে এইটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, অন্যের চক্ষু শীতল করাই তার প্রধান লক্ষ!
বিষয়: বিবিধ
১১৬৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার হয়ত ছেলেদের কথা উল্লেখ করতে স্মরণ ছিলনা, তবে আপনি যে রকমটা বললেন, ছেলেদেরও টাইট জিন্স, বুক ফুলানো টি-শার্ট, ক্লিনশেভ ইত্যাদি করে বাহিরে যাওয়া অন্য মেয়েদের আকর্ষন করে থাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন