সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের শর্তসমূহ এবং বদু কাহিনী
লিখেছেন লিখেছেন এস আই সাহেব ০৯ মার্চ, ২০১৪, ০৭:১৬:২১ সন্ধ্যা
"খালেদা জিয়াকে তিনটি শর্ত মানতে হবে !
প্রথমত, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণকে স্বাধীনতার ঘোষণা মানতে হবে ৷
দ্বিতীয়ত, বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মানতে হবে এবং
তৃতীয়ত, এই সরকারকে বৈধতা দিতে হবে ৷" - সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত! এগুলো দেওয়ার খালেদা জিয়া কে। এগুলো দেয়া এবং মান্য করার মালিক জনগন। জনগণের উপর ভরসা না করে এসব আবোল তাবোল বকার কোন মানে হয় না। এভাবে বেশিদিন জনগনকে ধোকা দেয়া যাবে না। (লাল টুকটুকে শাড়ি পড়ে বদু চাচার সঙ্গে দুজনে কূজনে মিলেছেন।) ডঃ ওয়াজেদ মিয়া জীবিত থাকতে আকাশের পানে চেয়ে বলতেন, জীবনটি কেন এমন হলো ? আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা তখন এর ব্যাখ্যায় বলতেন, উনি (ডঃ ওয়াজেদ) দার্শনিক টাইপের মানুষ। কাজেই কী বলতে কখন কী বলে বসেন তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, কিছু চেলা চামচা ছাড়া দেশের বাদবাকী মানুষও এখন ডঃ ওয়াজেদের মত দার্শনিক হতে চলেছেন। ডঃ ইউনূস এবং হিলারী ক্লিনটনের মিটিং সম্পর্কে লন্ডনের আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে কোরাস গেয়েছিলেন, কৃষ্ণা আইলা রাধার কুঞ্জে... এ কেমন খেলা।সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধীদল সরকারের সমালোচনা আর আমাদের দেশে সরকারি দল বিরোধীদলের বিরুদ্ধে কোরাস বাজিয়ে যাচ্ছে। মানীর মান দিতে না জানলে তারও মান থাকবে না।
বিষয়: বিবিধ
৯২৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুব সহজে একটা চিন্তা মাথায় আসে :
উনি যদি ৭ই মার্চ আসলেই স্বাধীনতার ঘোষনাই দিয়ে থাকেন তাহলে তো ইয়াহইয়া - ভূট্টো ৮ ই মার্চ হতে যুদ্ধ শুরু করে দিতেন , ৮-২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনা আলোচনা খেলতেন না ।
বোঝাই যায় যে উনার ভাষনের এমন কিছু একটা অংশ বাংলাদেশের মানুষের বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে লুকানো হয়েছে যে , যদি একেবারে সম্পূর্ণ অংশ শোনানো হয় তাহলে এই ভাষন আর মানুষ খাবে না । এটা স্বাধীনতার ঘোষনা তো নয়ই বরং সমঝোতার আহবান ছিল । কারণ ৮-২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু সাথে ইয়াহ ইয়া-ভুট্টোর আলোচনা তাই প্রমান করে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন