রোজা সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মাদ কাইয়ুম ২১ জুলাই, ২০১৪, ০৮:৪০:২০ রাত
প্রশ্নঃ নাবালেগ ছেলে মেয়ে যদি রমযানের রোযা রেখে তা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে কাযা করতে হবে কি না?
#উত্তরঃ না, নাবালেগ ছেলে মেয়ের উপর যেহেতু রোযা ফরয নয় তাই তারা রমযানেও কোন রোযা রেখে ভেঙ্গে ফেললে তা কাযা করতে হবে না।
(জামেউ আহকামিস সীগারঃ ১/৫৯, হেদায়াঃ ১/২২৩)
#প্রশ্নঃ রোযা অবস্থায় কেউ যদি টিকা বা ইঞ্জেকশন নেয় তাহলে এতে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে?
#উত্তরঃ টিকা বা ইঞ্জেকশন নেওয়ার কারণে রোযা ভাঙ্গে না। তবে অসুস্থতা ছাড়া গুলকোজ জাতীয় ইঞ্জেকশন যা খাবারের কাজ দেয় নেওয়া মাকরূহ তাহরীমী।
(আলবাহরুর রায়েকঃ২/২৭৩)
#প্রশ্নঃ রোজা রেখে প্রচন্ড পিপাসার কারণে আমি ঘন ঘন কুলি করি। ফলে কষ্ট কিছুটা কমে। আমার জন্য তা করা কি ঠিক?
#উত্তরঃ রোযার কারণে পিপাসায় কষ্ট হলে সওয়াবও বেশি হবে। এ সময় বেশি অস্থিরতা প্রকাশ করা ঠিক নয়। তদ্রুপ রোযা অবস্থায় ঘন ঘন কুলি করা বা বারবার মুখে পানি দেওয়াও অনুচিত অবশ্য এ কারণে গলাতে পানি না গেলে রোযা নষ্ট হবে না।
(মুসনাদে আহমদঃ ১৩৮, সুনানে আবু দাউদঃ ৩/১৫৯)
তবে এরকম না করাই উত্তম ।
#প্রশ্নঃ আমি লোকমুখে শুনেছি যে, রোযা অবস্থায় যদি শরীর থেকে রক্ত বের হয় তাহলে রোযা হালকা হয়ে যায়। এ কথা কি সঠিক? আর সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করলে রোযা ভেঙ্গে যায় কি না?
#উত্তরঃ শরীর থেকে রক্ত বের হলে কিংবা সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করলে রোযা ভাঙ্গে না। তবে ইচ্ছা করে এ পরিমাণ রক্ত বের করা ঠিক নয়, যার কারণে রোযা রাখার শক্তি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়। বা রোযা রাখা বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে।
(বুখারীঃ ১৯৩৮-১৯৪০, সুনানে আবু দাউদঃ ২৩৬৪)
#প্রশ্নঃ অনেকে আযান হতেই সাহরী খাওয়া বন্ধ করে। কিন্তু মুখে যে দু’এক লুকমা ছিল তা গিলে ফেলল তা হলে কি রোযা হয়ে যাবে, না কি কাযা করতে হবে?
#উত্তরঃ আগেই বলা হয়েছে আযান মানেয় সাহরী শেষ সময় নয়, শেষ সময় হচ্ছে সুবহে সাদিক, যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে সুবহে সাদিক হওয়ার পরেই আযান আরম্ভ হয়েছে, তা হলে রোযা হবে না। আর যদি সন্দেহ হয়, তা হলে ঐ সময় পানাহার করা মাকরুহ। কিন্তু রোযা হয়ে যাবে। এ জন্য আযানের দিকে লক্ষ না করে সুবহে সাদিকের দিকে (তথা রোযার সূচির দিকে) লক্ষ করুন।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন