রূপবতী
লিখেছেন লিখেছেন সূর্য্য গ্রহণ ১৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০২:৪৪:০৯ দুপুর
কাঁথা জড়িয়ে সোফায় বসে আছি। সামনে টিভি খানা ছাড়া। তবুও অসুস্থ মাথায় কিছুই ঢুকছে না। বাড়ির সামনে গাড়ি থামার শব্দ। কেউ একজন এসেছে। দরজা খোলা ছিল, তাই সে কোনো বাঁধা না পেয়ে সোজা রুমে প্রবেশ করল। পরিচিত একটা ঘ্রাণ, খুব ই পরিচিত।
-বস। আমি জানতাম তুমি আসবে।
-আমি কেন আসবো? আমি কে হই তোমার?
ঝাঁজালো কথাবার্তা। আমার রুমে প্রবেশকারিটি রেগে আছে বুঝছি। প্রবেশকারিটির নাম সোহা। ধুপ করে আমার পাশে বসে পড়ল। অনেকটা আটার বস্তা পড়ার শব্দ।
-তোমার নাকি শরীর খারাপ?
-না
-কাঁথা গায়ে কেনো বসে আছো?
-এখন তো শীতকাল তাই
-ফেসবুকে তো লিখলে শরীর খারাপ?
-ওটা সিমপ্যাথি আদায়ের জন্য
-সিমপ্যাথি আদায়টাও ভালভাবে করতে ফেরুনা।
-না
এই বলে ওর দিকে ঘুরলাম। মেয়েটি কাজল দিয়েছিলো। চোখের পানিতে তা নরম গালে ছড়িয়ে পড়ে। টিস্যু দিয়ে মোছার বৃথা চেষ্টা করেছিল। টিস্যুটা হাতে রয়েছে।
-তোমার গাটা গরম কেনো?
-এমনি ই
-জ্বর?
-না
-তাহলে?
-রসুন বগলে নিয়ে রোদে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
-উল্টাপাল্টা কথা বলবে না। একদম মাথা ফাটিয়ে ফেলবো।
-আচ্ছা ঠিক কথাই বলব। মাথা ফাটিয়ো না। ওটাই একমাত্র সম্পত্তি।
-তুমি এমন কেনো করছো?
-আমি সুস্থ। এটা সুস্থ মস্তিষ্কের আচরণ, প্রতযোগীটার লক্ষণ।
-ঠিক ভাবে কথা বলঅ। হেঁয়ালী কর না।
-আচ্ছা। বলুন মহারাণী
-এসব "মহারাণী-ঠারানী" তোমার মত বিষাক্ত মানুষের মুখে মানায় না।
-ও আচ্ছা। বলুন টক্সিক মানবী।
-টক্সিক কি?
-আমি বিষাক্ত। তাই বিষ-টিষ নিয়েই কথা বলব, তাই না?
-ঔষধ নিয়েছ?
-না
-কেন?
-তুমি ই তো বললে আমি বিষাক্ত। বিষাক্তদের ঔষধে ধরে না।
-তুমি এমন কেনো করছ?
-এই রুমের তাপমাত্রা বেশি। তুমি এসে এর মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছ। তাই কোলাব্যাঙ্গের মত লাগছে।
-তুমি কোলাব্যাঙ হয়েই থাকো।
রূপবতী নারীটি যেভাবে এল সেভাবেই চলে গেলো। যাওয়ার আগে হাতের টিস্যুটি মাথাতে মেরে গেলো। পুরো রুম জুড়ে ওর সেন্টের ঘ্রাণ। ফুলের মত, ছড়িয়ে আছে। যে নেই, তার চিন্ন রেখে গেছে . . . . .
বিষয়: বিবিধ
১২৫১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন