একজন মহান ইসলামী লেখক !
লিখেছেন লিখেছেন পদ্ম পাতা ১৭ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:৫৮:৪২ রাত
দেশের মাদ্রাসায় সবচেয়ে বেশি যে লেখকের কিতাব পাঠ করা হয় তাঁর নাম হল কাসেম বিন আবুবকর । তিনি একজন ইসলামী লেখক । তাঁর গল্পে প্রেমিক প্রেমিকারা সালাম দিয়ে কথা শুরু করে,নায়িকারা পরে বোরখা । মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী । তাদের ট্রাংক ঘাঁটলে দেখা যায় ধর্মীয় কিতাবের পাশাপাশি এই লেখকের দু’চারখানা কিতাবের সহাবস্থান ।
ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ার সময় এই মহান কিংবদন্তী লেখকের একখানা কিতাব এই অধমের পাঠ করার সৌভাগ্য হয়েছিল । কিতাবের নাম “বিদেশী মেম” । প্রচ্ছদে এক হিজাববিহীন নারীর ছবি । ঐ বয়সে সেই কিতাবের গূঢ় আধ্যাত্মিক অর্থ পুরোপুরি কলবের মধ্যে আত্মস্থ্ করে নেয়ার সামর্থ্য ছিলনা।তবে এখনো মনে পড়ে গল্পের এক জায়গায় পার্কের মধ্যে ‘নায়কে’র সাথে নায়িকা ‘বিদেশী মেমে’র চেতনার আদান প্রদানের বিস্তারিত শরীয়তসম্মত বর্ণনা ছিল । সদ্য কৈশোরে পা রাখা সেই আদিকালের ভাষা ভাষা স্মৃতিতে যতদূর মনে পড়ে ‘নায়কে’র প্যান্টের জিপার খোলা থেকে শুরু করে “বিদেশী মেম” নায়িকার জিন্স খোলা, মাসের বিশেষ দিনে কিভাবে উপগত হইতে হইবে,তার নিম্নাংগের অন্তর্বাসের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ডিটেইলও লেখকের কলম এড়াতে পারেনি । প্রাক বৈবাহিক সম্পর্কে প্রেমিকার দেহের উপর প্রেমিকের অধিকার কতটুকু সেসব সম্পর্কেও লেখকের ভাষায় নায়কের জবানীতে মাসআলা দেয়া ছিল এ কিতাবে । এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার, জাফর স্যার শুনে খুশি হতে পারেন যে ঐ বয়সেই উক্ত কিতাব পঠনপূর্বক আমি কিঞ্চিৎ হইলেও চেতনায় ভাবালুতার দোলা অনুভব করেছিলাম ।
আমার কাছে ভাল লাগে যখন দেখি কোন দ্বীনদার মুমিন মাদ্রাসিয়ান ভাই জিহাদী-জঙ্গী-কুফুরী কিতাব সমূহের পাশাপাশি কাসেম বিন আবুবকরের কিতাব থেকেও চেতনা উজ্জীবিতকরনের দীক্ষা নিয়ে চলেছেন । মুসলমানদের সর্বক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকা দরকার !
***পুনশ্চ:যেহতু বহুকালপূর্বের স্মৃতি তাই আমার কোনকথা অতিকথন বা স্বল্পকথন দোষে দুষ্ট হয়ে গেলে পাঠকের নিকট বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং যথোপযুক্ত স্থানে সংশোধনের জন্য আমাকে জ্ঞান দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি ।
বিষয়: বিবিধ
১৮১৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকা(কি)আল্লাহ
আমার কাছে ভাল লাগে যখন দেখি কোন দ্বীনদার মুমিন মাদ্রাসিয়ান ভাই জিহাদী-জঙ্গী-কুফুরী কিতাব সমূহের পাশাপাশি কাসেম বিন আবুবকরের কিতাব থেকেও চেতনা উজ্জীবিতকরনের দীক্ষা নিয়ে চলেছেন । মুসলমানদের সর্বক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকা দরকার !
আমার কাছে ভাল লাগে যখন দেখি কোন দ্বীনদার মুমিন মাদ্রাসিয়ান ভাই জিহাদী-জঙ্গী-কুফুরী কিতাব সমূহের পাশাপাশি কাসেম বিন আবুবকরের কিতাব থেকেও চেতনা উজ্জীবিতকরনের দীক্ষা নিয়ে চলেছেন । মুসলমানদের সর্বক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকা দরকার !
টাকা লাগবে না ,পাত্তা লাগায়ে দেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন