সাইমুম সিরিজঃঅতীত,বর্তমান এবং আমাদের আশা ও আক্ষেপ!

লিখেছেন লিখেছেন এহসান সাবরী ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:১৬:১৭ দুপুর

বিভিন্ন গোয়েন্দা সিরিজের সাথে পরিচয় একদম ছোটকাল থেকে। তিন গোয়েন্দা দিয়ে গোয়েন্দা সিরিজ পড়ার হাতেখড়ি।

ধীরে ধীরে অনেকগুলো সিরিজ এর মাঝে পড়েছি। বলতে কোনো দ্বিধা নেই সাইমুম অতূলনীয়। চতুর্থ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা পরবর্তী বন্ধে পড়া শুরু এই সিরিজের। এরপর বাবা মার চোখ ফাঁকি দিয়ে ,পুস্তকের মাঝে লুকিয়ে রেখে চুপিসারে নানা কৌশলে পড়ে আসছি এই সিরিজ। দিনের পর দিন পরবর্টি খণ্ডের অপেক্ষায় বসে থাকা, বারবার গিয়ে লাইব্রেরীতে ঢুঁ

মেরে আসা এগুলা বোধকরি শুধু আমার নয়, সাইমুম ভক্ত সব পাঠকের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ হয়ে উঠেছিল। এত বিপুল জনপ্রিয়তা আর পাঠকপ্রিয়তার কারণ আসলে কি। নিঃসন্দেহে ইসলামী বিপ্লবের চেতনা পরিস্ফুটিত করে তোলাই মুখ্য কারণ। ইসলামকে যৌক্তিক ও দার্শনিক দিক দিয়ে যুগের অবলম্বন করার

মেধাবী প্রচেষ্টা কোনো আধুনিক সিরিজের

মাঝে উঠে আসাকে পাঠক যে সানন্দে গ্রহণ করে সাইমুম তার প্রমাণ। বিশেষত প্রথম খণ্ড থেকে বিশ খণ্ড পর্যন্ত

ইসলামী সংগঠন,বিপ্লবের যে চিত্র দেখা গেছে তার কোনো তূলনা নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এরপর সাইমুমের সেই চিরচেনা স্পিরিটটি হারিয়ে যেতে থাকে ক্রমান্বয়ে। কাহিনী যত সামনে আগাতে থাকে তত যেন

কমার্শিয়াল লেখার প্রাধান্য দেখা যায়। আগের সেই বিপ্লবী চেতনা, সংগ্রামী সংগঠন ও আদর্শের সমন্বয় হারাতে থাকে পর্যায়ক্রমে।

অতি সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া ৫৫ নম্বর পড়ার পর আমার মত হতাশ পাঠকের সংখ্যা কম নয় মনে হয়। যেই সাইমুমকে একসময় আন্দোলনের দাওয়াতী মাধ্যম রূপে ব্যবহার করতাম, সেই সাইমুম

পড়ে নিজের কাছেই মনে হয় লক্ষ থেকে অনেক দূরে সরে আসা এক সিরিজ। আহমদ মুসার অতি নায়োকোচিত ভাব, সারা জেফারসনের উপস্থিতি, ঘুরেফিরে এক ঘটনার পুণরাবৃত্তি এসব এখন আর সাইমুমের জন্য মনকে আগের মত টানে না। হাসান তারিক, কুতাইবা, শামিল, ফারহানা, আয়েশাদের এখন আর সাইমুমে পাওয়া যায়না।

লেখকের ব্যস্ততা হয়তো একটা কারণ। এমনিতেই দীর্ঘদিনের বিরতিতে বের হওয়া সাইমুমে এই ব্যস্ততার অযুহাত কতখানি যুক্তিযুক্ত জানিনা। কিন্তু অতিপ্রিয় একটি সিরিজের এভাবে অপমৃত্যু কষ্ট দেয় অনেক।

এই ক্ষুদ্র আবেগ লেখকের নজরে আসবেনা জানি, কিন্তু কারো পক্ষে সম্ভব

হলে লেখককে জানানো উচিৎ অজস্র পাঠকের এই আবেদন।

বিষয়: সাহিত্য

১৫২০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

271349
০৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:২৮
কাহাফ লিখেছেন :
বড় ভাইয়ের মাধ্যমে'সাইমুম'এর সাথে আমার পরিচয় ছোট থেকেই, সংগ্রহের সীমাবদ্ধতায় সিরিয়াল ঠিক রাখতে না পারলেও অনেক গুলো বই পড়া হয়েছে।
আমার কাছেও আগের মত লাগছে না, আপনার মত এতো নিবিড় ভাবে ধরা না পরলেও কিছু টা খটকায় ছিলাম আমিও।
মুহতারাম লেখকের কাছে ই-মেইল পাঠাতে পারেন।
অনেক ধন্যবাদ উপস্হাপনার জন্যে...... Rose
০৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৩২
215474
ওমার আল ফারুক লিখেছেন : এখানে সবগুলো পড়তে পারেন: http://www.saimumseries.com
271351
০৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৩০
ওমার আল ফারুক লিখেছেন : আজ ৫৫ নম্বরটি শেষ করলাম.আমিও এমনটি ভাবছি.হয়ত এর জন্য যথাযথ প্লেস লেখক পাচ্ছেন না.
271379
০৪ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৯
সুশীল লিখেছেন : জামাতি শীর্ষই
271384
০৪ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
অসহায় মুসাফির লিখেছেন : আমারও তাই মনে হয়। এখনকার প্লটে আগের সেই আপিলটা খুঁজে পাইনা।
271394
০৪ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৭
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আপনার বিশ্লেষণে সহমত
সে আকর্ষণ আর নেই,
কিন্তু বিকল্প কই??

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
ঈদের শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক Rose Big Hug
ত্যাগের আলোয় ব্যক্তি ও সমাজ জীবন আলোকিত হোক Praying



"..স্মরণ করাও, আর স্মরণ করানোটা মুমিনদের জন্য কল্যানকর হয়ে
271397
০৪ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
ফেরারী মন লিখেছেন : সিরিজ পড়ার সময় কৈরে ভাই। Sad ব্লগ পড়তে পড়তেই যায় বেলা।
271399
০৪ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : বেশিরভাগই পড়েছি, কিন্তু কাল্পনিক তাই ত্যাগ করেছি।
271445
০৪ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : একশত ভাগ সহমত। আগে যখন মতামত বিভাগ ছিল, সে সময় কোন এক সংখ্যায় লেখক স্বীকার করেছেন যে, লেখার পর রিভিশন দেয়ার সময়ও হয়ে উঠেনা। সে জন্যই আমার মনে হয় লেখায় গতানুগতিক ধারাটাই চলমান। সেই বিপ্লবী আবেগ, পরিকল্পনার সেই চুলচেরা বিশ্লেষন আর নেই। এক চ্যাপ্টারের সাথে আরেক চ্যাপ্টারের ঘটনা, বক্তব্যের অসংলগ্নতা, অযৌক্তিকতা খুবই নগ্নভাবে ফোটে উঠে। যেমন দাউদ ইবরাহীমদের ওখান থেকে ডেথ ভ্যালি ঘুরে দেখার কথা বলে বের হয়ে পরে তাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়া, এই ডেথ ভ্যালি এলাকায়ই থাকবে তাহলে এখান থেকে চলে যাওয়া, ওক গাছের নীচে ম্যাসাজ আদান প্রদানের কথা বলার কোন হেতু খুজে পাইনি।
০৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
215574
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আরেকবার ভাল করে পড়ুন।
ডেখ ভ্যলি এলাকায় প্রতিপক্ষের ঘাঁটি খুজতে যাচ্ছেন আহমদ মুসা। যেখানে ম্যাগনেটিক ওয়েভ এর কারনে কোন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা কাজ করবে না। তাই মেসেজ এর ব্যবস্থা।
০৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
215702
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : হ্যা ঘাটি খুজবেন, কিন্তু সে জন্য থাকার স্থান ছেড়ে যেতে হবে কেন? এই খুজ কি দিনরাত ২৪ ঘন্ঠা করতে হবে? প্রতিদিন সকাল ১০ টটায় ওক গগাছের নিচে মেসেজ খুজতে বলল, তো এই প্রতিদিন সে থাকবে ঘুমাবে কোথায়? ডেথ ভ্যালির পাহাড়ে? এ ক্ষেত্রে দাউদ ইবরাহিমদে বাড়িইতো ডেথ ভ্যালির সবচেয়ে লাগোয়া স্থান। একদম পাহাড় সংলগ্ন। এখানে থেকেই খোজ ও অপারেশন সব করতে পারত! ঘঠনাক্রমে রবার্ট রবিনসনদের বাড়িতে যাওয়া এবং থাকা। এটাই পেশাদারি লেখার নমুনা। অযথা ঘটনা চক্র সৃষ্টি করে লেখার পরিধি বাড়ানো।
আপনি আরেকবার পড়ুন, দাউদ ইবরাহিমের বাড়ির অবস্থান সম্পর্কে ক্লিয়ার হোন।

আগে এমন ছিলনা। আগেকার কাহিনী এগিয়ে গেছে সাবলীল গতিতে, ঘটনাগুলো ঘটেছে যৌক্তিক ভাবে।
ধন্যবাদ।
০৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
215704
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : আরেকটা বিষয় দেখুন। প্রেসিডেন্টের সিচুয়েশন কক্ষে সাউন্ড মনিটরিংয়ের দুটি শব্দ শুনে সেনা গোয়েন্দা প্রধান বলছে- 'এক্সিলেন্সি এই শীষ দুটি বিশেষ ধরনের গ্যাসগানের'।

অথচ, পরের দৃশ্যপটে দেখুন, আহমদ মুসার পুরো অপারেশনে গ্যাসগানের কোন ব্যবহারই হয়নি।
271469
০৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৪১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পুরাপুরি একমত নই। সময় এর সাথে সিরিজ এর কিছু বিষয়কে আধুনিকায়ন করা জরুরি ছিল। সেভাবেই চলছে। শেষ কয়েকটি খন্ডে খানিকটা সাইন্সফিকশন চলে এসেছে বোধহয় সেই জন্য আপনার আনইজি মনে হচ্ছে।
১০
271535
০৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৩৩
হাকালুকি লিখেছেন : বয়সের সাথে সাথে সবার চিন্তা চেতনা ও আবগের পরিবর্তন হয়, কিশোর বয়সের চোখে দেখা আহমদ মুসা আর পড়ন্ত যৌবনের চোখের আহমদ মুসা কখনো এক হবে না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File