গাজাঃ ত্যাগের রক্তাক্ত ভূমি

লিখেছেন লিখেছেন এহসান সাবরী ১২ জুলাই, ২০১৪, ০১:১৩:৩৬ রাত

ঈমানী পরীক্ষা কি জিনিস ফিলিস্তিনের গাজা নামক ছোট্ট এই উপত্যকার মানুষদের না দেখলে বুঝা যাবেনা। অত্যাধুনিক অস্ত্রের মোকাবিলায় মান্ধাতা আমলের কিছু রকেট নিয়ে যে ঈমানী জজবার পরিচয় প্রদান করছে হামাস আর গাজার আপামর মুসলিম তার নজীর প্রথমদিকের মুসলিম জামানা ছাড়া পাওয়া যায়না। এটা সত্য কোনো মুসলিম দেশ তথাকথিত সমবেদনা জানানো ছাড়া এগিয়ে যাবার সাহস করবেনা। মৃত্যুই একমাত্র ফলাফল জেনেও নিজের পেটের সন্তানকে কুরবানি করতে ফিলিস্তিনি মায়ের বুক কাঁপবেনা। পড়েছিলাম ভারতবর্ষের এক বালিকার চিঠি হাজ্জাজকে ভারতবর্ষে অভিযান

পরিচালনায় বাধ্য করেছিল। সেদিন আর নেই। ঘরের পাশে রোহিঙ্গা ভাই যখন মৃত্যুযন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছিল তখনো আমরা চুপ ছিলাম আর এখনতো চাইলেও দুয়া ছাড়া কিছু করতে পারবনা। আমরা সবাই যতটা কাতর হয়ে পড়ছি ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য, আমার মনে হয়না তারা এতটা কাতর। তারা তো হাসিমুখেই মৃত্যুকে স্বাগত জানাচ্ছে। অতীতেও জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও জানাবে। তবে প্যালেস্টাইন একটা জিনিস আমাদের খুব ভালোভাবে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। তাহল

স্বাধীনতা কি আর এর জন্য কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে পারে একজন মুসলমান।

আল্লাহ চাহেতো যে ফিলিস্তিনের আকাশ আজ বারুদের গোলায় লাল হয়ে আছে তা আজাদীর সূর্যের বর্ণচ্ছটায় রাঙা হয়ে উঠবে একদিন। একরাশ লজ্জার অনুভূতি নিয়ে আমরা যেন জায়নামাযে বসে ফরিয়াদ করতে পারি, "খোদা ক্ষমা করে দিয়ো আমাদের অক্ষমতাকে, শহীদদের দান কর জান্নাত; জীবিতদের গাজীর মর্যাদা দান কর!"

বিষয়: বিবিধ

১১৪৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

244008
১২ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৮:৩৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : Amin.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File