ইসলামে জ্ঞান ও শিক্ষার স্বরূপ ও আমাদের নাস্তিক্যবাদী শিক্ষামন্ত্রীর কর্মখতিয়ান!
লিখেছেন লিখেছেন এহসান সাবরী ১৫ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:১০:৫৪ রাত
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড।জ্ঞানের
প্রতি ইসলামে তাগিদ দেয়া হয়ছে সর্বাধিক।কারণ জ্ঞান অজ্ঞতা দূর করে।কুসংস্কার আর জাহেলিয়াত থেকে মানুষকে মুক্তি দেয় জ্ঞান।
প্রশ্ন হল,ইসলামী জ্ঞানের বৈশিষ্ট কি?
ইসলামী জ্ঞান মানুষকে সবার আগে যে অনুভূতি প্রদান করে তাহল,মানুষের সীমিত পরিসরে জ্ঞানের যত উচ্চায়ন ঘটবে তা এক আল্লাহর অপার কুদরত।যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জ্ঞান আমরা অর্জন করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত তা সৃষ্টিকর্তার বিশাল জ্ঞানের লেশমাত্রও না।আর ইসলামী বিধানমতে,জ্ঞান ও শিক্ষার অন্যতম
বৈশিষ্ট হল জ্ঞান ও শিক্ষা মানুষের কল্যাণেই ব্যবহৃত হবে।খোদাদাদ জ্ঞান ও
বিদ্যা দ্বারা মানুষ খোদাকেই খঁজে ফিরবে তার প্রতিটি সৃষ্টিতে।
আমাদের দেশে বৃটিশ রাজশক্তি আসার পর থেকে ইসলামী জ্ঞানের পরিধি কমে যায় পরিস্থিতির আলোকেই।ঈমান রক্ষার
লড়াইয়ে লিপ্ত একদল আলেম তখন
খোদা প্রদত্ত গ্রন্থ আর মাস'আলা মাসায়েল রক্ষাকল্পেই সংগ্রাম করে গেছেন।ফলে,প্রকৃত জ্ঞানের চর্চা,উদ্ভাবনী ক্ষমতার দিকে নযর কমে যাওয়াটা মোটেই অস্বাভাবিকতা ছিলনা।
ইংরেজ বিদায়ের পর তথাকথিত মুসলিম সরকার(পাকিস্তানি শাসক)প্রকৃত মুসলিম ভাবধারায় শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে ব্যর্থ হয়েছিল।অবশ্য এটাই স্বাভাবিক। তাদের নিজেদের এই মূল্যবোধ কতটুকু বিরাজমান ছিল সেটাও একটা বড়
প্রশ্ন।অদ্যাবধি,এদেশে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার আলোকে শিক্ষা প্রদান সম্ভব হয়নি,কিন্তু একটা ব্যাপার খুব
ভালোভাবে লক্ষনীয়,বৃটিশ,পাকিস্তানি সহ
বাংলাদেশেরও এযাবতকালের কোনো সরকার ইসলামকে নিয়ে,আকী'দা ও বুনিয়াদ নিয়ে খেলা করার সুযোগ পায়নি।
যা করে যাচ্ছে আমাদের শেখের কন্যার সরকার।
এ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে যে ভদ্রলোক মহোদয় এ কুকীর্তির কাজটি সুন্দররূপে আনজাম দিয়ে যাচ্ছে তিনি ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলেন বামপন্থী ধারায়।বয়সকালে জাতির ভবিষ্যত ধ্বংসের কাজটি মাথায় নিয়ে তিনি যে অনেকটাই সফল তা বলতে আমার বুক কাঁপবেনা।আমাদের ধর্ম ইসলামে নীতি নৈতিকতার যে মহান শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে এটা নিয়ে কোনো তর্ক
চলেনা।আর উনি আমাদের এই ইসলাম ধর্মের পুস্তকটির নাম পর্যন্ত পরিবর্তন করে এক অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন।পুস্তকের নাম বদলানোতে কি বুঝালেন?এতকাল ধরে যে সুমহান ধর্মের আশ্রয়ে আমরা নৈতিকতার শিক্ষা পাচ্ছিলাম তা অসম্পুর্ণ??আলাদাভাবে জাতিকে নৈতিক শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন???
আর সকল ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ থাকবে,আমাদের স্কুল লেভেলের সিক্স থেকে সকল ক্লাসের শারীরিক শিক্ষা পুস্তকটি পড়ে দেখার।এই খোদাদ্রোহী জাতির ভবিষ্যতকে আসলে কি শেখাতে চাচ্ছে আপনি বুঝে যাবেন!
কুদরত-ই-খুদার শিক্ষানীতির আলোকে
নাস্তিক কবীর চৌধুরীর শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে এই পঁচে যাওয়া সমাজতন্ত্রী।পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তো এখন শিউরে উঠতে হয়।পানির চেয়ে সহজলভ্য এখন প্রশ্নপত্র।জাতিকে পঙ্গু বানানোর নেশায় লিপ্ত এই বুড়ো মন্ত্রী।আর নকলের কথা আর নাই
বল্লাম।এই পুরোনো ব্যধি আবার
ক্যানসারে রূপলাভ করেছে।বছরের শুরুতে কোটি কোটি পুস্তক বিলালেই
শিক্ষার উন্নতি হয়না ভাই!
শিক্ষামন্ত্রী সমীপে একটাই কথা,
"এই লোকেরা নিজেদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়।অথচ আল্লাহর সিদ্ধান্ত হল তিনি তাঁর নূরকে সম্পূর্ণরূপে বিকশিত ও প্রসারিত কর্বেনই,কাফিরদের পক্ষে তাহা যত
অসহনীয় হোক না কেন!"(আস-সফ,৮)
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন