বিংশ শতাব্দীতে দেশ দখলঃক্রিমিয়া,বাংলাদেশ ও আমাদের করণীয়

লিখেছেন লিখেছেন এহসান সাবরী ১৪ মার্চ, ২০১৪, ০১:৩৭:৫৭ দুপুর

এ সপ্তাহের সর্বাপেক্ষা আলোচিত বিশ্বসংবাদ ছিল মালয়েশিয়ার বিমান নিখোঁজ হবার ঘটনাটি। এর আগে কয়েকসপ্তাহ যাবত রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার কূটকৌশলটি বিশ্বের সকল সংবাদপত্রে লীড নিউজ ছিল। বিংশ শতাব্দীর বিশ্বায়নের যুগেও যে দেশ দখল করা যায় রাশিয়া তা দেখিয়ে ছাড়ল। পৃথিবীর পরাশক্তি সমূহের মাঝে সরাসরি দেশ দখলের এই রোগ আছে রাশিয়া এবং আমাদের তথাকথিত বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনো দেশ দখলে আগ্রহী নয়। তারা আগ্রাসন চালায়,আক্রান্ত দেশটিকে পঙ্গু বানায়, আগামী কয়েকদশকের মাঝে দেশটির উন্নতি ও অগ্রযাত্রা ব্যহত করে দেয়। রাশিয়া এবং ভারত তাদের জন্মলগ্ন থেকেই ভয়াবহ দেশদখল লিপ্সায় আক্রান্ত। সাবেক সোভিয়েত থাকাকালে রাশিয়া দেশদখলের যে খেলায় মগ্ন হয়ে লাখো মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল তা ইতিহাস সাক্ষী দিবে।ক্রিমিয়া সাবেক সোভিয়েতের ইউক্রেন রাষ্ট্রটির একটি প্রদেশ। তুর্কি খিলাফতকাল থেকেই ক্রিমিয়া মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে পরিচিত।রাশিয়ার জার সাম্রাজ্যের আগ্রাসনকালেও দেশটির মুসলিম শাসক বীরবিক্রমে রুখে দিয়েছিলেন জার সম্রাটকে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। সাম্প্রতিককালে ইউক্রেনে অস্থিরতার সুবাদে রাশিয়া প্রথম সুযোগেই দেশটিতে সেনা পাঠায়। তাদের কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাটি দখল নিয়ে নেয়। পাশাপাশি ক্রিমিয়ার উপরেও তার দখল কায়েম করে। ক্রিমিয়ার রুশপ্রভাবিত পার্লামেন্টে রাশিয়ার ফেডারেশনে যোগদানের জন্য গণভোটের ব্যবস্থা করে। গণভোটে কি হবে তা ভবিষ্যতের কথা কিন্তু একথা বুঝার জন্য খুব বেশি বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন নেই যে রাশিয়া এত সহজে ক্রিমিয়া ছাড়ছেনা। এবার ইউরোপ থেকে আমাদের উপমহাদেশে ফিরে আসি। বাংলাদেশের পাশে চারদিক জুড়ে ভারতের রাজ্যসীমা। ভারত বিশ্বদরবারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে দাবি করলেও জন্মদিন থেকেই দেশটি আগাগোড়া আগ্রাসী মনোভাবী। কাশ্মীর দখল গত শতাব্দীর অন্যতম ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বাংলাদেশের উপরেও দেশটির শ্যেনদৃষ্টি অনেকদিনের। লক্ষনীয় বিষয় হল সিকিম দখলে ভারত যেই পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলে একই পথ ধরেছে। সিকিম ও ক্রিমিয়া উভয়টিতে এক বশংবদ সরকার ক্ষমতায় বসেছিল। ভারতের হাতে আমাদের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমাদের দেশের মাননীয় শেখের বেটি যে ভারতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ওপারে আপ্যায়িত হন তা বলাই বাহুল্য। সবচাইতে বড় কথা,অনেকের ভুল ধারণা ছিল বিংশ শতাব্দীতে বুঝি দেশদখল এক অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখানো রাশিয়া কি ভারতের দখলদারি মনোভাবকে উৎসাহিত করল না?? তাই বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনতাকে বলছি, "সাধু সাবধান!”

বিষয়: বিবিধ

১০৭৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

192110
১৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
হতভাগা লিখেছেন : বৃহত একটা শক্তিশালী দেশের মাঝে অন্য ক্ষুদ্র একটা দেশের স্বাধীন দেশ হিসেবে টিকে থাকা বড্ড বেমানান।
192117
১৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমরা এখন মানসিকভাবে এতই আক্রান্ত যে শারিরিক আক্রমন শুরু হলে তাকে উপভোগ করব।
বড় দেশের পাশে ছোট দেশ বেমানান হলে সমগ্রপৃথিবীই এক রাষ্ট্র হত। কিন্তু তা হয়নি কখনও এবং হবেও না। যখন সমগ্র মুসলিম বিশ্ব বিশাল এলাকা জুড়ে একজন খলিফার নেতৃত্বে ছিল তখন প্রত্যেকটি এলাকার কৃষ্টিক ও অর্থনৈতিক স্বাধিনতা ছিল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File