চায়ের কাপ,রিংটোন ও অন্যান্য!
লিখেছেন লিখেছেন এহসান সাবরী ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:১৪:৪৫ রাত
এক কাপ চা বানানো যে এতো পরিশ্রমের কাজ কে বলবে! কিন্তু ইতুকে দেখলে এই মুহূর্তে সিদ্দীকা কবিরও বুঝি স্বীকার করে নেবেন চা বানানো সবচাইতে কঠিন কাজ! রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে চায়ে চিনি দিয়ে নাড়তে নাড়তে ইতু ভাবছিল বিভা বানায় কিভাবে চা! মনে মনে আরো একবার বৌটাকে ধন্যবাদ দিল।চা নিয়ে বসার ঘরে গিয়ে টিভি ছেড়ে দিয়ে চুমুক দিয়ে বুঝল চা ভালো হয়নি! একবার ভাবল ফেলে দিবে! পরমুহূর্তে মেজাজ খারাপ করে চুমুক দিল চায়ের কাপে। বউ বাপের বাড়ি গিয়েছে। পাগলিটা যে এত অল্পতে রাগ করে!! দুই বছরের সংসার ওদের! বিভা আদর করে ডাকে ইতু! ইতু আর বিভা!! বিয়ের পর দুই বছর কাটলেও এখনো মনে হয় দুই দিনও যায়নি! বিভা কপট রাগের ভাব দেখিয়ে বলে "পাগল!"বলে নিজেই আরো লজ্জা পেয়ে যায়! হঠাৎ করে খেয়াল করল ইতু চা শেষ। মেজাজের ব্যারোমিটার আরো বেড়ে চলতেছে ওর! রাতে বিভাকে বলেছিল পেত্নীর মত লাগছে ওকে! পাগলিটা বুঝেও না যে ওর রাগ রাগ চেহারা দেখলে ইতুর কি ভালো লাগে। তার চেয়ে ভালো লাগে পাগলিটার রাগ ভাঙাতে!কিন্তু পাগলিটা যে এত রাগ করবে কে জানে!সকালে উঠে সোজা বাবার বাড়ি! চায়ের কাপ ধুতে ধুতে ভাবল ইতু আচ্ছা পাগলিটার একটুও মন খারাপ করতেছেনা নাকি! এরমধ্যে কয়েকবার ফোনও দিয়েছে ইতু।রাগ করে ফোন অফ
করে দিয়েছে মেয়েটা! একটা টেক্সট ও করেছে!ইতুও জানে পাগলিটা বেশিক্ষণ রাগ করতে পারবেনা! নিজের ফোনটা টিটেবিলে রেখে বারান্দায় গেল ইতু! বেতের দোলনায় একা বসে শান্তি পেল না একবিন্দুও।কি যেন নাই!ও কেন
বুঝছেনা যে অসহ্য লাগতেছে। ভাবনার জাল ছিন্ন হল ফোনের রিংটোনে!নিশ্চিত পাগলিটার ফোন।একটুকরো হাসি ফুটে উঠল ইতুর মুখে। পরিতৃপ্তির হাসি নিয়ে দৌঁড়ে যাচ্ছে ইতু!ওর পাগলির ফোন! নিশ্চিত পাগলির ফোন!!
বিষয়: বিবিধ
১০৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন