কেঁচো খুড়তেই বেরিয়ে এলো সাপ আওয়ামী নেতা ডাকাত বোরহানের চাচা ও বাপ!
লিখেছেন লিখেছেন কাজি সাকিব ২৩ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:৪৩:৪৮ সকাল
আশুলিয়ার ব্যাংক ডাকাতিতেও শিবির জড়িত!
এই ধরনের একটা নিউজ দেখে থমকে দাড়ালাম! বলে কি? নিউজ লিংকে যেয়ে দেখি সাহারা খাতুন পুলিশের ড্রেস পড়ে বসে আছে আর ভাবলাম তাহলে ঠিকই আছে সাহারা আর মখাদের পক্ষেই এসব বলা সম্ভব!
কিন্তু না ভালো করে খিয়াল করে দেখি না না এটাতো সাহারা না,তার মতই দেখতে কিন্তু পুরুষ ভার্সন পুলিশের এক ডিআইজি!
http://www.thedailystar.net/country/police-blames-ashulia-robbery-jamaat-sabotage-78685
ইদানীং আমি কেমন যেন হয়রান হয়ে যাই, ৭১ এও শিবির, শিবির ২০১৫তে,শিবির শাহাবাগে,শিবির শাপলা চত্ত্বরে,শিবির টেকনাফে,শিবির তেতুলিয়ায়,শিবির পহেলা বৈশাখে,শিবির রমনা বটমূলে, শিবির আকাশে,শিবির পাতালে,শিবির নদীতে,শিবির সমুদ্রে, শিবির বাংলাদেশে, শিবির আমেরিকায় ! শিবির সবজায়গায়! সারাদেশ আজ শুধু শিবিরময়!
আকাশে মেঘ হলেও দোষ শিবিরের, মেঘ থেকে বৃষ্টি হলেও দায়ী শিবির, বৃষ্টি না হয়ে মেঘ বাতাসে সরে গেলেও দায়ী শিবির, বৃষ্টি না হয়ে খড়া হলেও দায়ী শিবির!
সেই ছোটবেলা থেকে এমন লক্ষাধীক ঘটনায় শিবিরকে দায়ী হতে দেখলাম অথচ দায়িত্ব নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ বিতর্কহীণভাবে কোন একটি ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের দেখালো না !
অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে মিডিয়া আগে থেকেই টেমপ্লেট রেডি করে রাখে পারলে যে লঞ্চডুবিতে তিনশ জনের মৃত্যুর সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত, ট্রাক-বাস-টেম্পু ত্রিমুখী সংঘর্ষে বিশজনের মৃত্যুর সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত, রমজানের আগে সয়াবিন তেলের অগ্নিমুল্যের সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত, বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী কৃষকের মৃত্যুর সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত, কালবৈশাখীতে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্তের সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত, ধানমন্ডিতে যুবলীগ নেতার আত্বহত্যার সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত, ভারতে ধর্ষিতা ও নিহত বাংলাদেশী নারীর লাশ থেকে চোখ ও কিডনী গায়েবের সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত, সাগর রুনি হত্যার সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত, মুন্নী সাহাকে রাস্তার দরিদ্র ফুলবিক্রেতা মহিলা কতৃক 'জাউড়া' সম্বোধনের সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত, পদ্মা সেতু না হওয়ার সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত, পরিচালক দেওয়ান নজরুলের নতুন সিনেমা থেকে মিশা সওদাগরের বাদ পড়ার সাথে শিবিরের ছেলেরা জড়িত।
একবার ক্লাসের সবাইকে রচনা লিখতে বললেন শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীরা রচনা লিখে খাতা জমা দিল। কেউ গরু, কেউ কুকুর, কেউবা বিদ্যালয় নিয়ে রচনা লিখেছে। এক ছেলে লিখেছে কুমির নিয়ে।
অন্য রকম বিষয় দেখে শিক্ষক নড়েচড়ে উঠলেন। ছেলেটা লিখেছে, কুমিরের চোখ, কান, নাক, মুখ আর ধারালো দাঁত আছে। আর আছে ইয়া লম্বা একটা লেজ। সেই লেজে আছে খাঁজকাটা, খাঁজকাটা, খাঁজকাটা…..। বাকিটুকু শুধু খাঁজকাটা দিয়ে ভরা। শিক্ষক হুংকার দিলেন, এত খাঁজকাটা লিখেছিস কেন? ছেলেটার জবাব, লম্বা লেজে অনেক খাঁজকাটা তো তাই।
শিক্ষক বললেন, কাল গরু রচনা লিখে আনবি। পরদিন ২০ পৃষ্ঠার গরু রচনা পড়ে তো স্যার অবাক। লিখেছে, গরু গৃহপালিত প্রাণী ও শান্ত স্বভাবের। গরুটা নদীর ধারে পানি খেতে গিয়েছিল। একটা কুমির তাকে খেয়ে ফেলল। সেই কুমিরের চোখ, মুখ, কান, দাঁত আর ইয়া লম্বা একটা লেজ ছিল। সেই লেজে খাঁজকাটা, খাঁজকাটা, খাঁজকাটা…..। শিক্ষক পৃষ্ঠা উল্টান আর খাঁজকাটা দেখতে পান। খেপে গিয়ে বললেন, হতভাগা, এসব কী লিখেছিস? ছেলেটি বলল, স্যার বড় লেজে তো বেশি খাঁজ।
শিক্ষক বললেন, কাল আমাদের বাড়ি রচনা লিখে আনবি। পরদিন লিখেছে, আমাদের বাড়ি নদীর পাশে। একবার প্রবল বন্যায় আমাদের বাড়িতে কোমর সমান পানি উঠল। আর পানিতে ভেসে এল একটা কুমির। সেই কুমিরের চোখ, মুখ, কান, দাঁত আর ছিল ইয়া লম্বা একটা লেজ। সেই লেজে ছিল খাঁজকাটা, খাঁজকাটা, খাঁজকাটা…।
শিক্ষক স্তব্ধ হলেন। এই ছেলেকে যা লিখতে দেওয়া হয়, সবই কুমিরের লেজের খাঁজকাটা দিয়ে ভরা। এবার এমন রচনা লিখতে দেব, যেন কুমির না আনতে পারে। তিনি বললেন, এই পণ্ডিত, কাল ‘পলাশীর যুদ্ধ’ রচনা লিখে আনবি। পরদিন ছাত্রটি ‘পলাশীর যুদ্ধ’ লিখে এনে স্যারকে দিল। স্যার উৎসাহ নিয়ে পড়তে লাগলেন_১৭৫৭ সালে বিখ্যাত পলাশীর যুদ্ধ হয়। নবাবের সৈন্য বেশি হলেও সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় পরাজিত হন। নবাব জানতেন, মীর জাফর বিশ্বাসঘাতক। তার পরও তাঁকে সেনাপতির দায়িত্বে বহাল রেখে খাল কেটে কুমির এনেছিলেন। সেই কুমিরের ছিল চোখ, মুখ, কান, দাঁত আর ছিল ইয়া লম্বা একটা লেজ। সেই লেজে ছিল খাঁজকাটা, খাঁজকাটা, খাঁজকাটা…খাঁজকাটা।
আমাদের দেশের মন্ত্রি থেকে শুরু করে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, সবারই আছে এই খাজকাটা রোগ !! যে রচনাই লিখতে দেয়া হোক না কেন সেটা জামাত-শিবির-জঙ্গি দিয়ে শেষ করবে !!!
নিজেরা কোন একজন মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছে না,পরপর ৫দিন দেশের সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী আক্রমনের শিকার কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার নেই আর সকল কিছুতে জড়িয়ে দিচ্ছে শিবিরকে!
যাই হোক কেঁচো খুড়তেই বেরিয়ে এলো সাপ
আওয়ামী নেতা ডাকাতের চাচা ও বাপ!
আটক ডাকাত বোরহানের পরিবার শিবিরের সাথে জড়িত পুলিশ তা বললেও অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো বোরহানের আপন চাচা মৃধা মিন্টু গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার শংকরপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী সভাপতি!
এরই মাঝে জানা গেল ডাকাতির ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হয়ে গিয়েছে অথচ ঘটনার পর সেখানে পুলিশ বাদে অন্য কেউ যায়নি!
ঘটনার সময় ডাকাতদলের কোন সদস্য মুখোশ ব্যবহার না করায় স্বভাবতই সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ওপর নির্ভর করছিলেন তদন্তকারীরা।ঘটনার পরপরই ব্যাংকের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ ছুটে যান ব্যাংকের শাখাটিতে। বিধ্বস্ত বিমানের ব্লাক বক্সের মতোই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় তারা ভল্টের আগে প্রথমে ছুটে যান সিসি ক্যামেরার সার্ভার কক্ষে। সেখান থেকে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে হতাশ হন তারা। কারণ সেখানে অন্যান্য ফুটেজ থাকলেও ডাকাতির সময়কার একটি ফুটেজও নেই!
তবে কি ঘটনা জামায়াত শিবিরের নামে চালিয়ে দিতেই আওয়ামী পুলিশ পরিকল্পিতভাবে উধাও করেছে এই গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজ?
দায়িত্ব এড়াবার এ এক ভালো কৌশল! অনেকেই দেখলাম মজা করে জিজ্ঞাসা করতেছে তা ডিআইজী সাহেব আপনার সন্তাগুলো জন্মের পিছনে অবদান কি আপনারই না শিবিরেরই.........
বিষয়: বিবিধ
৩২১৮ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এদের এই খাঁজকাটা রোগ ভয়াবহ রকমের সংক্রামক রোগ!এই রোগের কারণে সত্যিকারের ভাইরাসগুলো পার পেয়ে যাচ্ছে কারণ যে কোন রোগেই ঔষধ যে একটিই দেয়া হচ্ছে শুধু!
এই খবর পাইলেন কই ? রেফারেন্স দেন তাড়াতাড়ি ।
খবর পাকাপোক্ত,সে এলাকার আমাদের এক ভাইই দিয়েছেন,এখনো নিউযে আসেনি তবে নিউজে প্রকাশিত হওয়া মাত্রই আপনাকে ইনফ্ররম করবো ইনশাল্লাহ!
নিশ্চয়ই মহান রাব্বুল আলামীনের মজলুমের হেফাজতকারী!
নিশ্চয়ই মহান রাব্বুল আলামীন মজলুমের হেফাজতকারী!
গিন্নীর এই একচোখা নীতিতে মাঝখান দিয়ে বাড়ি হয়ে যাচ্ছে উজার কারণ যে চুরি করে যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে গিন্নী তাকেই আড়াল করে নিরপরাধ কেষ্ট বেটাকে নিয়ে কেয়ামত করে দিচ্ছেন আর ঐদিকে আসল চোরেরা সিঁধ কেটেই যাচ্ছে!
সত্য কথা সম্ভবত তেতোই বেশী লাগে মিষ্টির চাইতে ) ) )
জাজাকাল্লাহ
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
হাসতে হাসতে শেষ .... মন্তব্য আর কি করব !!!
মন্তব্য করার দরকার নেই, আরো হাসুন, হাসলে নাকি আয়ু বাড়ে
মন্তব্য করতে লগইন করুন