নারী স্বাধীনতা আসলে কি? খায় না মাথায় দেয়?
লিখেছেন লিখেছেন কাজি সাকিব ০৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:১১:৪২ সন্ধ্যা
তোবা গার্মেন্টসের এক নারী শ্রমিকের উপর
বীর-বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়া এক শ্রমিক লীগের মাস্তান!
তথাকথিত নারীবাদি আর মানবাধিকার নেত্রীরা আবারো নিশ্চুপ!
জয় নারীবাদ,জয় নারী স্বাধীনতা!
হে বাংগাল নারী! মার খাও,এগিয়ে যাও!
এর আগেও বহুবার প্রগতিশীল আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবিদার আওয়ামী-যুব-ছাত্রলীগের লাঠিয়ালদের পৈশাচিকরুপে মা-বোনদের উপর হামলে পড়তে দেখেছি সুপ্রীমকোর্ট,সাতক্ষীরা,ঢাবিসহ নানা জায়গায়!
যে সকল ঘটনাগুলোতে মা-বোনদের সম্ভ্রমের 'স'টাও রক্ষা করা হয়নি অথচ এর একটিতেও আমরা আমাদের দেশের নারী স্বাধীনতা-নারী স্বাধীনতা বলে চিল্লিয়ে কান ফাটানো চুলটানা কামাল সম্প্রদায়ের কাউকে দেখিনি কোন একটি টু শব্দও করতে!তাহলে আসলে তারা কিসের নারী স্বাধীনতার কথা বলে?
শুধুমাত্র কয়েকজন একত্রে বসে কোরআন চর্চা করছিল সে অপরাধেই এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ছাত্রী সংস্থা নামক একটি সংগঠনের বহু বোনদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যাদের কারো বিরুদ্ধেই কোন অপরাধ কোনবারই প্রমাণতো দূরের কথা অভিযোগও করতে পারেনি!
অথচ তাদের দিনের পর দিন জেলে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল,হিজাব খুলতে বাধ্য করানো হয়েছিল!সে সময়ও দেখিনি কোন নারীবাদি ইবলিশের ম্যাতকার!
কাউকে জোর করে হিজাব পড়ালে এদের রুহ উড়ে যাবার উপক্রম হয় কিন্তু কেউ হিজাব পড়তে চাইলেও তাকে জোর করে খুলতে বাধ্য করালে আবার আনন্দের ঢেকুড় তোলে এরা!
চুলটানা কামাল আর খুশী কবির তোমাদের নারী স্বাধীনতার মানে বুঝতে আর আমাদের বাকি নেই,নারীকে উলংগ করাতেই তোমরা স্বাধীনতার গন্ধ খুঁজে পাও পাশ্চাত্যের দালালেরা!
নারী স্বাধীনতা নামক তোমাদের ঐ স্লোগানের আড়ালেই লুকিয়ে আছে তোমাদের কদর্য চেহারা যার উদ্দেশ্য একটাই ইসলামের বিরোধীতা করা!
বিষয়: বিবিধ
৫৬৭৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আওয়ামী লীগের ছোঁয়া পেতে চায় তারা নানা বাহানায় ।
তারাতো আবার সিভিলাইজড প্রগতিশীল পিপল তাই ধর্ষণকেই বুঝি সাহিত্যের ভাষায় নারী স্বাধীনতা বলে!
সহমত জ্ঞাপন করলাম।
এরূপ স্বাধীনতাকামীদের দৃষ্টিতে নারী স্বাধীনতা বলতে সমস্ত নারীকে অপ্রয়োজনে হলেও ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসতেই হবে – যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরানী হিসেবে মানুষের বাড়ীতে (অফিসে) বুয়া, গার্মেন্টস-কর্মী, পি.এস, এক্সিকিউটিভ, ডাইরেক্টর হিসেবে কাজ করতে হবে; যাতে করে সমাজের মূল ভিত্তি পরিবার, যা এতদিন যাবত সযতনে নারীরা লালন করেছে এবং এখনও অনেকে চেষ্টা করছে, নামক অর্গানাইজেশন সমূলে ধ্বংস হয়!
নারী বিরোধী আপনি শুধু তখন-ই যখন নিজের স্ত্রীকে/বোনকে/ বলবেন, ঘরে তোমার কোন অভাব না থাকা স্বত্ত্বেও পরিবার নামক অর্গানাইজেশনের এক্সিকিউটিভ-ডাইরেক্টর থকে অব্যহতি নিয়ে, কেন স্বামী/ভাই/পিতা ছাড়া একা একা দাসী হিসেবে মানুষের বাড়ীতে (অফিসে) গিয়ে সারাদিনসাজুগুজু করে কাটিয়ে বান্দী-গিরি করতে চাও?
উপরের আমার কমেন্ট-টা মুছে দেন, কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকার কারণে!
আপনি তখনি উদার,মুক্তমনা আর প্রগতিশীল হতে পারবেন যখন আপনি আপনার মা কিংবা বোন অথবা স্ত্রীকে নিজের খাবার টেবিলে খাদ্য পরিবেশনাকে মিনমাইন্ডেড মনে করলেও সেই তাদেরকেই যখন এরোপ্লেনে আম-জনতাকে একটু জুস প্লিজ বলে ট্রলি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখলে গর্বিত হয়ে উঠবেন!
এসব রাস্তার মক্ষীরানিরা যখন নারী স্বাধীনতার অথবা নারীর অধিকারের কথা মূখে উচ্চারণ করে তখন দেশের সচেতন বিদ্ধান চিন্তাশীল ব্যক্তিদের বুঝা কঠিন নয় যে তারা আসলে না নারী স্বধীনতার কথা বলছে আর না তারা পকৃত নারীত্বের প্রতিনিধিত্ব করছে! আমাদের সমস্যা হচ্ছে কিছু মানুষ এদেরকে প্রকৃত নারী হিসেব গণ্য করতে উদারতার পরিচয় দিয়ে থাকে।
নারীবাদি নাম ধারন করা কপালে বড় বড় টিপ দিয়ে ঘুরে বেড়ানো এরা আসলে ভোগবাদী পুরুষ সমাজের জন্য দালাল হিসেবেই কাজ করে যাচ্ছে নারীকে আরো সহজলভ্য করার অভিপ্রায়ে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন