দালাল মুনাফিক রাষ্ট্রপ্রধান দের হাত থেকে মুক্তি মিলবে কি?
লিখেছেন লিখেছেন কাজি সাকিব ০৫ আগস্ট, ২০১৪, ১১:১৫:৩০ রাত
গাজা ইস্যুতে বৃটিশ সরকারের অবস্থানের প্রতিবাদে সিনিয়র ফরেন অফিস মিনিস্টার ব্যারনেস সাইয়েদা ওয়ার্সী পদত্যাগ করেছেন!
http://www.theguardian.com/politics/2014/aug/05/lady-warsi-resigns-government-gaza-stance?CMP=fb_gu
কিন্তু অষ্টমাশ্চর্য সৃষ্টি করে সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি আব্দুল আজিজ আল আশ-শেখ গাজার প্রতি সমর্থনকে রাজনৈতিক বিদাত হিসেবে ফতোয়া প্রদান করেছেন!!
http://www.moroccoworldnews.com/2014/08/135880/saudi-grand-mufti-issues-fatwa-against-solidarity-marches-with-gaza/
লজ্জা!এর চাইতে বড় লজ্জা আর কিইবা হতে পারে?
গাজায় ইজরাইলীদের বর্বরতায় একজন ব্রিটিশ সাংসদ পদত্যাগ করে আর মুসলিম বিশ্বের গর্ব সৌদী গ্র্যান্ড মুফতি গাজার পক্ষে মিছিলকে হারাম অ্যাখ্যা দেন!
গোটা মুসলিম বিশ্ব আজ মুসলিম নামধারী দালাল দ্বারা শাসিত হচ্ছে!
أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَجَاهَدَ فِي سَبِيلِ اللّهِ لاَ يَسْتَوُونَ عِندَ اللّهِ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
sura at tawba:ayat 19
তোমরা কি হাজীদের পানি সরবরাহ ও মসজিদুল-হারাম আবাদকরণকে সেই লোকের সমান মনে কর, যে ঈমান রাখে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি এবং যুদ্ধ করেছে আল্লাহর রাহে, এরা আল্লাহর দৃষ্টিতে সমান নয়, আর আল্লাহ জালেম লোকদের হেদায়েত করেন না!
আমাদের আজ দুর্ভাগ্য যে যেই সৌদী সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল সেই তারাই আজ ব্যস্ত নিজেদের রাজবংশের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আমেরিকার তেলবাজিতে!
أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تُتْرَكُواْ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللّهُ الَّذِينَ جَاهَدُواْ مِنكُمْ وَلَمْ يَتَّخِذُواْ مِن دُونِ اللّهِ وَلاَ رَسُولِهِ وَلاَ الْمُؤْمِنِينَ وَلِيجَةً وَاللّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
Sura at tawba:ayat 16
তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদের ছেড়ে দেয়া হবে এমনি, যতক্ষণ না আল্লাহ জেনে নেবেন তোমাদের কে যুদ্ধ করেছে এবং কে আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মুসলমানদের ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছে। আর তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত!
আজব এক সমাজ যেখানে হাজার হাজার নিরীহ দুধের বাচ্চা আর মা-বোনদের মেরে ফেললে তাতে কিছু যায় আসে না কিন্তু তার বিনিময়ে রকেট মারলে খুব লাগে!
যেখানে রাতের আঁধারে আলেমদের হত্যা করলে কিছু যায় আসে না কিন্তু তার বিনিময়ে গাছ উপরে ফেললে জঙ্গীবাদের ঘ্রাণ পাওয়া যায়!
যেখানে বুলডোজার দিয়ে বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়ে যৌথবাহিনী নির্বিচারে দেড় শতাধিক মানুষ মেরে ফেললে কিছু যায় আসে না কিন্তু তারা প্রতিবাদে একটি মিছিল করলেই স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়!
আজ সময় এসেছে কাফের-মুশরিক আর মুনাফিকদের সকল ষড়যন্ত্র দ্বীপ্ত পদভারে মোকাবেলা করে নতুন এক সুর্য উদিত করার! সিদ্ধান্ত আজ আমাদের হাতে আমরা কি চিরকাল ঐ সকল মুনাফিকদের গোলামী করে যাবো না বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করবো আমরা মুসলমান!
বিষয়: বিবিধ
৫৮৭২ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি এক সময় জামায়াতের ছাত্র সংগঠণের সাথে যুক্ত ছিলাম । তারাও পর্যন্ত আমাকে বাস্তব জীবনে এবং এই সাইটে রেহাই দিচ্ছে না ।
আমি আলোচিত বিষয়ে বরাবরই সোচ্চার ছিলাম । আজ মনে হচ্ছে আমি এই সাইটে একা নই ।
আমার এই লেখাগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন সৌদি আরব রাজতান্ত্রিক অত্যাচারী শাসকরা ইসলামের নাম ব্যবহার করে এবং মুসলিমদের ধর্মানুভতি ব্যবহার করে দিনের পর দিন অবৈধভাবে শাসন ক্ষমতা ব্যবহার করে মুসলিম বিশ্বকে দ্বিধা-বিভক্ত করে রেখেছে ।
আমার এসব লেখা পড়ুন , তাহলে অনেক বিষয় আপনার স্পস্ট হয়ে যাবে -
১. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50510
ভুয়া খলিফা আবু বাকর আল বাগদাদী, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র ওহাবী-সালাফিদের অশুভ কার্যক্রম
২. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50358
ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও মক্কার শাসক শরিফ হোসাইনের প্রধান ভূমিকা এবং ওহাবী-সালাফি মতবাদ (পর্ব : ১ )
৩. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/49624
সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসকদের উৎখাত করা মুসলিমদের ঈমানি দায়িত্ব
৪. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/42639
মুসলিম অস্তিত্ববিরোধী ও ইসলামবিনাশী ইসরাইল ও ভারতের স্বাধীনতা লাভে সৌদি আরবের প্রধান ভুমিকা এবং মিশরের ইসলামী গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতে সৌদি আরব ও ওহাবী ধর্মব্যবসায়ীদের কার্যক্রম ( ১ম পর্ব )
৫. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/32530
রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ধর্ম বিশ্বাস হলো ওহাবীবাদ ও সেক্সীজম (১ম পর্ব)
৬. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27711
ইসলাম ও মানবতার দুষমণ এবং ইসলামবিনাসী শক্তির তাবেদার সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস
৭. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/13231
রাজতন্ত্র ইসলামে হালাল বিশেষ করে সৌদি আরবের জন্য (৯৯% কপি পেস্ট)
৮. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1209#.U96ox6N3zSk
সৌদি আরবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের উপর চলছে অত্যাচার ( নিউজপোস্ট )
আশা করি আমার সাথেই থাকবেন ।
জাজাকাল্লাহ খাইর ।
আপনার এই কথা সঠিক নয় । আমি আপনাকে বিনীতভাবে বলছি, জামায়াতে ইসলামী সব সময় সৌদি আরবের অন্যায় ও অন্যায্য কাজকে সমর্থন করে এসেছে ।
১৯৭১ সালে এই সৌদি আরব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো । আর জামায়াতে ইসলামীও । বাংলাদেশকে যাতে সৌদি আরব স্বীকৃতি না দেয় এজন্য ১৯৭৫ সালের ১৭ অগাষ্টের আগ পর্যন্ত জামায়াতের নেতারা চেষ্টা করেছে । আর সৌদি আরবও তখন বাংলাদেশকে মুসলিম দেশ হিসেবে ভাবা দুরে থাক, স্বাধীন দেশ বলে মনে করতো না । জামায়াতের লোকদের দ্বারা পরিচালিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে সৌদি আরবের ৬৫ % শেয়ার আছে । আর এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় ভুমিকার রেখেছিলো সৌদি আরবের আল রাজি গ্রুপ ।
বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে এখানেই থেমে গেলাম ।
আল্লাহ চাহেত, অদুর ভবিষ্যতে "দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী রাজতান্ত্রিক সৌদী আরবের অন্যায় কাজকে বরাবরই সমর্থন করার পাশাপাশি জামায়াত পরিচালিত হয় সৌদি আরবের ওহাবী মতাদর্শ দ্বারা" এই শিরোনামে লেখা তৈরী করে প্রদর্শণ করবো ।
আশা করি আমার সাথেই থাকবেন ।
ব্যাপারটা জামায়াতের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নয় বরং যার যেটা ভালো সেই ভালোটাকে গ্রহন আর খারাপটাকে বর্জনেরই সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ড!
পাপীকে নয় পাপকে ঘৃণা করতেই আমরা পছন্দ করি,কারণ পাপ কোনদিন পূণ্য হবে না কিন্তু পাপী পূণ্যবান হতে সময় লাগে না!
এবং এখনো মনে প্রাণে চাই সৌদী বাদশাহরা ক্ষমতালোভ ভূলে গিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য যেন কাজ করেন!
আপনি বলেছেন :ইসলামের প্রচার ও প্রসারে সৌদী এ ধরনের বহু কাজ করেছে এবং আজো করছে যার মাঝে রয়েছে মুসলিম এইড,রাবেতা আলমের মত শতশত মানবকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান!
উত্তরে বলছি : এসব মানবকল্যানের চেয়ে ব্যবহার হয় সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদ প্রচার ও প্রসারের কাজে ।
আপনি বলেছেন :
ইসলামের অনেক আইনও শুধুমাত্র সৌদীতেই বাস্তবায়িত হয়! এ সকল ঘটনাকে আপনি এভোয়েড করে যেতে পারবেন না!
উত্তরে বলছি :
ইসলামের অনেক আইন ও কাজ পশ্চিমা বিশ্বেও বাস্তবায়িত হয় । এজন্য কি পশ্চিমা বিশ্বকে আমরা পুজনীয় ও সম্মানের আসনে বসাবো ?
আপনি বলেছেন :
সেসকল জনকল্যাণমুখী কাজ সৌদী বাদশাহরা করছেন বলেই জামায়াত তার বিরোধীতা করার কোন দরকার পড়ছে না!
উত্তরে বলছি : সৌদি আরব আর জামায়াত একই গোয়ালের গরু । তারা একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষন করে । তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা ।
আপনি বলেছেন :
যেটা গ্রহনযোগ্য নয় তা নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা হতে পারে কিন্তু তাই বলে তাদের অন্যান্য ভালো কার্যক্রমকেও তো আপনি বরবাদ করে দিতে পারেন না !
উত্তরে বলছি : সৌদি আরবের যে সব ভাল কাজ আছে তার বিপরীতে খারাপ কাজের পরিমান এতই বেশী যে এক পাল্লায় ভাল কাজ আর অপর পাল্লায় খারাপ কাজ রাখলে খারাপ কাজের পাল্লাই ভারী হবে ।
সৌদি আরব সৃষ্টি হয়েছে বৃটিশ, আমেরিকা, ফ্রান্স আর ইহুদীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই । মুসলিমদের উচিত সৌদি আরবের বিরোদ্ধে জিহাদ করে সৌদি আরব নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মুছে ফেলা ।
সৌদি নেতৃত্ব নয় ইরানের নেতৃত্বই পারে সমগ্র দুনিয়ার নির্যাতিত মুসলিম দের বাঁচাতে। আপনি এই কথার সাথে কতটুকু একমত?
উত্তরে বলছি :
সৌদি আরবের নেতৃত্বে সমগ্র দুনিয়ার নির্যাতিত মুসলিমরা উদ্দার পাবে না বা সৌদি আরব এই ক্ষেত্রে কোন কার্যকর ভুমিকা নিবে না ।
সৌদি আরব সৃষ্টি হয়েছে বৃটিশ, আমেরিকা, ফ্রান্স আর ইহুদীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই । মুসলিমদের উচিত সৌদি আরবের বিরোদ্ধে জিহাদ করে সৌদি আরব নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মুছে ফেলা ।
কারণ মুসলিম বিশ্বে উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতিই নয়, আধ্যাত্মিকভাবে জাগরণের পেছনে সৌদি আরব সবচেয়ে বড় বাধা ।
সৌদি আরবের বিরোদ্ধে কথা বলা বাংলাদেশে আগে অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল । আমি নিজে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির করতাম । ছাত্র শিবিরের ছাত্র সংবাদ নামক মুখপাত্র আছে । সেখানে আমি টানা তিন বছর লিখতাম ।এমন কি ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির কাছে আসা অনেক প্রশ্নের উত্তর আমি নিজে লিখে দিতাম ।
আমি বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করতাম সৌদি আরবের সংগঠণ WAMY ও রাবেতা আলম আল ইসলামী-সহ অনেক সংগঠণের সাথে শিবিরের নিবির সম্পর্ক । এর কারণ অনুসন্ধান করতে যেয়ে আমি শিবিরের লোকদের রোষানলে পড়লাম । আপাতত এতটুকু বল্লাম ।
আর কওমী মাদ্রাসাগুলো চলো সৌদি আরবের ভিক্ষার টাকায় । কওমী মাদ্রাসার লোকরা সৌদি বাদশাহদের পুজা করে । এই ব্যাপারে আর ভাল কোন শব্দ খুজে পেলাম না ।
আমি ১.সৌদি আরবের ধর্মবিশ্বাস ও অপকর্ম এবং ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরবের ভুমিকা ২. সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদ , জামায়াতে ইসলামীর মওদুদি মতবাদ এবং কওমী মাদ্রাসার দেওবন্দী মতবাদ বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও সংস্কৃতির জন্য কেন ক্ষতিকর ৩. বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্হায় হতে সত্যিকার ইসলাম শিক্ষা যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা - শিরোনামে তিনটা বই লেখার হাত দিয়েছিলাম ৫ বছর আগে । প্রথমেই প্রচন্ড রোষানলে পড়ি । বাধ্য হয়ে কাজ বাদ দেই । বই লিখেছিলামও । কিন্তু বই ছাপানোর কথা বলে পান্ডলিপি গায়েব করে দেয় । আবার নতুন করে লিখছি । নিজের টাকা থাকলে অনেক আগে বইগুলো বাজারে আসতো । উপরন্তু কর্মক্ষেত্রেও প্রচন্ড বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকি । তার উপর ইদানিং মোবাইল ও নেটে হত্যার হুমকি পাচ্ছি । পরিবারের সদস্যদের এই বিষয়টি জানাইনি ।
আমি সব সময় সত্য কথা নির্ভয়েই বলে থাকি ।
ইরান ১৯৭৮ সালে ইসলামী সাধারণতন্ত্র পরিনত হওয়ার পর বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে জোড়ালো ও কার্যকরভাবে ভুমিকা রাখছে যা বর্তমানে ইসরাইলের গাজার গণহত্যার ঘটনার সময় লক্ষ্য করা গেছে । আমি ইসলামী সাধারণতন্ত্র ইরানের এই ভুমিকাকে সব সময়ই ইতিবাচকভাবে দেখে থাকি। আমি আশা করি, ইসলামী সাধারণতন্ত্র ইরান বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে জোড়ালো ভুমিকা রাখার পাশাপাশি সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্য হতে অত্যাচারি রাজতান্ত্রিক ও অমুসলিম শাসক সম্প্রদায়কে উৎখাত ও সমুলে বিনাস সাধন করার প্রচেষ্টাকে জোড়দার করবে । কারণ বর্তমান সময়ে এই কাজটাই মুসলিমদের জন্য সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে ।
ওয়ামী,রাবেতা এসবের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিতসার মত মৌলিক উপকার সাধন হতেই আজীবণ দেখে আসছি কোনদিন আপনার ঐ কল্পিত ওয়াহাবী কিংবা সালাফী খুঁজে পাইনি,আমরা ইসলাম চর্চা করি সরাসরি কোরান-হাদীশ থেকেই কোন মতবাদের ভিত্তিতে নয়!সুতরাং আপনি মুখস্থ কিছু বলে দিলেই বা চাপিয়ে দিলেই হলো না!
ইসলামের অনেক আইন ও কাজ পশ্চিমা বিশ্বেও বাস্তবায়িত হয়ে থাকলে তার জন্য আমরা অবশ্যই সে সকল আইনের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো,কেননা আইন যেই বাস্তবায়ন করুক তা যদি হয় কোরআন সম্মত তবে তা আল্লাহরই আইন যা মানতে আমি-আপনি সকলেই বাধ্য!আর ইসলামের শিক্ষাই হচ্ছে এটা যে ভালোর ভালোটা গ্রহন করো আর খারাপটা ত্যাগ করো!এখানে গোঁড়ামির কোন সুযোগ নেই!
জামায়াতের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা হলে ৫% ভোট পেয়েও আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকতো না,জামায়াতই থাকতো!সব জেনেও না জানার ভান করবেন না!জামায়াতের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা হলে বারংবার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আমেরিকা+ইইউ বিএনপিকে জামায়াতের সংগ ত্যাগ করতে বলতো না!সর্বপরি জামায়াতের আরব মিত্র ইখওয়ানের সাথে আমেরিকা কি করছে তা জেনেও যখন কেউ ঐ সকল আবল-তাবল বলে বড়ই অদ্ভুত লাগে!
সমগ্র মুসলিম বিশ্বই আজ নয় বহুকাল আগে থেকেই ইয়াহুদীদের ষড়যন্ত্রের মাঝে আবদ্ধ,এমনকি আপনিও যে সেই ষড়যন্ত্রেরই ফসল নন সে ব্যাপারে দেখবেন অন্য একজনের মানতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে!তাই একরোখা ঘৃণা পরিহার করুন!
আপনি বলেছেন বিশ্ব মুসলিমের জন্য ইরানই হচ্ছে আশীর্বাদ!আমিও তাই বিশ্বাস করতাম কিন্তু সিরিয়ার কমিউনিষ্ট কসাই বাশারের ধীকৃত কর্মসূচীর প্রতি ইরানের যেই একরোখা সমর্থন দেখেছি তার পরে আর সে বিশ্বাস রাখতে পারছি না!শুধুমাত্র আমেরিকার বিরোধীতা করলেই ইসলামের আশ্রয়দাতা হয়ে যাওয়া যায় না,তাহলে বামপন্থীরাই হত সবচাইতে বড় ইসলামিষ্ট কারণ তারাও ইরানের মতই আমেরিকার বিরোধীতা করে আর রাশার পক্ষাবলম্বন করে!আর যাহা আমেরিকা তাহাই রাশা!
আরেকজন ভাই বললেন জামায়াত নাকি রাজতন্ত্রের সমর্থক,হাসবো না কাঁদবো?জামায়াত রাজতন্ত্র চাইলে মাওলানা মওদুদী রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে অত বই লিখল কেন?জামায়াত আলাদা রাজনৈতিক দল গঠন করলো কেন যা রাজতন্ত্রের বাহকদের মতানুযায়ী রাজনীতি হারাম!আজো সৌদী ইসলামিক সেন্টারের মাধ্যমে মতিউর রহমান মাদানীকে দিয়ে সারা বিশ্বে কেন জামায়াত বিরোধী তথা রাজনীতি বিরোধী প্রচারনা চালাচ্ছে?
আমি নিজেও চাই যাতে আমারই ভুল হয় সৌদী গ্র্যান্ড মুফতির নয়!কারণ আমার বুঝার ভূলে খুব বেশি কিছু হবে না কিন্তু তিনার মত একজন প্রজ্ঞাবান লোকের ভুল বুঝার জন্য অনেক ক্ষতির আশংকা রয়েছে!
যে কারণে এ কথা বলা তা হচ্ছে উনি ইসরাইলী হামলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট করে কিছু বলার মত শৌর্য্য-বীর্জ দেখাতে না পারলেও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিল-র্যালী করাকে বিদা'ত আখ্যা দিয়ে আমাদের ধন্য করেছেন!
আর ঐ যে আর্থিক সাহায্যের কথা বললেন তো সেটা আর দুদিন বাদে দেখবেন জাতিসংঘ,ওয়ার্ল্ড ব্যাংক,আইকা জাইকা আরো কত কেই দিবে,তাতে কিইবা আসে যায়!১০ দিন পেরোলেই আবার ইজরাইলীরা হামলা করবে,আরো শত-সহস্র মানুষ মারবে,আরো কিছু ভূমি দখল করবে শেষে আবার অনেকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে ওদের ধন্য করবে!এভাবেই চলতে থাকবে!
তাই বলছিলাম যে ফিলিস্তিনিদের জন্য সৌদী গ্র্যান্ড মুফতির মত একজন ব্যক্তির কাছে দু-পয়সার সাহায্য আমরা চাই না,আমরা চাই মুসলিমদের পক্ষে একজন সাহসী সুলতান-সালাহ-উদ্দীন আইয়ুবী!
একাকী মানুষ ভাই দেখুন তিনি ইজরাইলীদের বর্বর হামলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে একটি টু শব্দও করলেন না অথচ মাঝখান থেকে ফিলিস্তিনি নির্যাতিত মানুষের স্বপক্ষে দেশে-দেশে পরিচালিত বিক্ষোভ মিছিলকে অতিরঞ্জিত তথা বিদা'ত বলে আখ্যা দিয়ে দিলেন!
কেন,কি কারণে উনার সেখানে গা জ্বললো,আমারতো মনে হয় উনার নিজেরও উচিত ছিল হেরেম শরীফ থেকে সমগ্র বিশ্বের সকল মুসলিমদের অংশগ্রহনে একটি বিক্ষোভ করার যাতে কাফিরদের প্রতি স্পষ্ট বক্তব্য থাকবে যাতে তারা মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ করে,মসজিদ্গুলোতে হামলা বন্ধ করে!
এবং তা যদি তিনি করতে পারতেন তবেই এক সেকেন্ডে সকল কাফিরদের ভিত নড়ে উঠতো, তা না করে তিনি উলটো যারা করেছেন সেই কাজ তাদের তিরষ্কার করলেন!
বিশ্বাস করেন যতদিন পর্যন্ত আমাদের আলেমরা ইসলামকে মসজিদের কোণা থেকে বের করে তা রাষ্ট্র-সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে না দিবেন ততদিন পর্যন্ত মুসলিমেরা এভাবেই মার খেতে থাকবে!
আর সৌদীর প্রতি অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রই এমনিতেই সহানুভূতিশীল সেটা তাদের যোগ্যতার কারণে নয়,রাসূল সাঃ এবং ইসলামের স্মৃতি বিজরিত তীর্থস্থান হওয়ার কারণে! তবে সৌদী হোক আর ইরানই হোক যেই হোক না কেন মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে যেই কেউ একজন এগিয়ে আসলেই খুশি,তবে সৌদী বাদশাহরা যেমন সে আশায় গুড়ে বালি দিয়ে যাচ্ছে সিরিয়ায় বাশার ইস্যুতে ইরানও তেমনিভাবেই আশায় গুড়ে বালি দিয়েছে!যাই হোক সে অন্য আলোচনা!
আর ওয়ার্সী ম্যাম মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন গাজার প্রতি সরকারের নীতির কারণে । উনি ভুলে গেছেন যে তার দলই কিন্তু সরকারে ।
সরকার হিসেবে এবং দল হিসেবে নীতি কি ভিন্ন হবে ?
তবে মিসেস ওয়ার্সি যতটুকু করেছেন সাধুবাদের দাবি রাখে!আমাদের গ্র্যান্ড মুফতিরা যখন বিতর্কিত কথা বলে ফেলছেন সে সময় ব্রিটিশ কোন মন্ত্রী ফিলিস্তিনের জন্য পদত্যাগ করবে আমার কাছে এটাই অপ্রত্যাশিত!আবার সকল জায়গা থেকে পদত্যাগ করে ফেললে অনেক সময় ষড়যন্ত্রকারীদের ইচ্ছাই পরোক্ষভাবে বাস্তবায়িত হয়ে যায়!
অন্যদিকে মুনাফিক হিসাবে মুফতি সাহেব ইসরাইলের আনুগত্য স্বীকার করেছেন।
তবে যতদুর যাচাই করেছি তাতে এই নিউজটা কোন ভূল নয় বরঞ্চ দুঃখজনক হলেও সত্য! আমরা আমাদের ইচ্ছেতেই হোক আর অনিচ্ছাতেই হোক ইয়াহূদীদের ষড়যন্ত্রে আমাদের পড়তেই হচ্ছে!
আল্লাহপাক মুসলমানদের রক্ষা করুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন