আর কোনদিন ভাইটি দু'পায়ে দাঁড়াবে না !
লিখেছেন লিখেছেন কাজি সাকিব ১৭ জুন, ২০১৪, ০৯:১৮:১৫ রাত
স্থানঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সময়ঃ১৬ জুন,মধ্যাহ্ন
ছাত্রলীগ নামক একদল সশস্ত্র মানুষখেকো হায়েনা রক্তের নেশায় উন্মাদ হয়ে ঝাপিয়ে পড়লো তাদেরই স্বজাতি,সহপাঠি শিবির নেতা রাসেল ভাইয়ের উপর!
ছিল না দুনিয়াবী কিংবা বৈষয়িক কোন বিষয়ে দন্দ,ছিল না পারিবারিক কোন শত্রুতা!
অথচ ক্ষুদার্থ হায়েনারা চাপাতি-রামদার উপুর্যপরী আঘাতে বন্য জংলী জানোয়ারের ন্যায় রাসেল ভাইয়ের গোড়ালী থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে ফেললো,তাতেও তাদের রক্ত পিপাসা মিটেনি কুপিয়ে দেহ থেকে হাতটিও বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চেয়েছিল !
জঙ্গলেও যে বর্বরতা চলে না তাই যেন প্রত্যক্ষ করলো গতকাল মতিহারের রক্তাক্ত মাটি!
হিংস্র পশুগুলো যাওয়ার সময় দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন রাসেল ভাইয়ের বুকে গুলি করে পৃথিবী থেকে নাম মুছে ফেলতে চাইলো !
http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=NDcwNTA=&s=MQ==
প্রকৃতির কি নিষ্ঠুরতা!
দুদিন আগেও যেই রাসেল ভাই দু'পায়ে হেটে হেটে মসজিদে যেতেন,ক্যাম্পাসের ছোট-বড় সকলকে ডেকে ডেকে নিয়ে যেতেন মসজিদে,যে রাসেল ভাইয়ের দুপায়ের পদচারণায় মতিহার চত্ত্বর প্রাণ ফিরে পেত সেই রাসেল ভাই #আর_কোনদিন #দুপায়ে_সোজা_হয়ে_দাড়াতে_পারবেন_না!
যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত :
বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরপরই শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে পূর্ব এবং পশ্চিম গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগ ক্যাডারেরা।
এ সময় ওই বিভাগের শিবির নেতাকর্মীদের আটক করতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ ওই ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। সে সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৈহিদ আল তুহিনের নেতৃত্বে দলীয় ক্যাডারেরা পুলিশের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলুকে আটক করে পুলিশ ও ছাত্রলীগ।
এর আগে বেলা পৌনে ১টার দিকে শিবির নেতা রাসেলকে বিশ্ববিদ্যালয় শহিদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে থেকে আটক করে ছাত্রলীগ।
পুলিশের সামনে তিন ঘণ্টা আটকে রাখার পর বিকেল ৪টা ৭ মিনিটে পুলিশ, সাংবাদিক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনে শহীদুল্লাহ কলা ভবনের ভেতরে রাসেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে তার ডান পা কেটে নেয় ছাত্রলীগ ক্যাডারেরা। এ সময় তার বুকে তিনটি গুলি করে ছাত্রলীগ। ক্যাডারেরা দ্রুত সটকে পড়ে।
ঘটনার সাথে যারা সম্পৃক্ত :
রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, কৌশিক আহমেদ, সহসভাপতি তন্ময় আনন্দ অভি এবং ছাত্রলীগ নেতা সুসময়, ডন, রিনেট শিবির নেতা রাসেলকে শহীদুল্লাহ কলা ভবনের ভেতরে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার পা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতা রুনু এবং কিবরিয়া অগ্রণী ভূমিকা রাখে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।আর ছাত্রলীগ সভাপতি সন্ত্রাসি তুহিন পিছন থেকে সকল নির্দেশ দেয় বলে জানা গিয়েছে!
আর কতকাল চলবে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু পশুর দানবীয় উল্লাস!
যদিও এখন পর্যন্ত কোন মানবাধিকার সংস্থার মেকি কান্না শোনা যায়নি এই ব্যাপারে !
ছাত্রলীগ নামক এই পশুদের হাতে আজ সমগ্র ছাত্রসমাজ জিম্মি হয়ে পড়েছে !
এখন প্রয়োজন একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা সকল জুলুমের বিরুদ্ধে,সকল বর্বরতার বিরুদ্ধে !
বিষয়: বিবিধ
৭৩২৫ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দেশ যে কোন রকমের লীগ মুক্ত হলেই সন্ত্রাস মুক্তও হয়ে যাবে!
আল্লাহ আমাদের এদের হাত থেকে কবে যে মুক্তি প্রদান করবে!
দিন আমাদেরও আসবে। তবে সেদিন যেন পশু না হয়ে যাই। জবাব হবে অন্য দিক দিয়ে। শহীদ ও আহত ভাইদের জন্য আল্লাহর দরবারে সর্বোচ্চ সম্মান কামনা করছি।
ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদেরই হবে!
ছাত্রলীগ নামক অভিশাপ যতদিন এদেশ বাসীর পিছু না ছাড়ছে ততদিন এদেশবাসীর মুক্তি নেই!
পাশাপাশি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারি মানুষ খেকু হিংস্র হায়েনার উগ্র জংগীবাদি আওয়ামী গুন্ডাদের হাত থেকে দেশ ও জনগন কে বাঁচানোর জন্য দেশের ঙ্ঘানী গুনী সুশীল সমাজের লোকদের প্রতি আহব্বান করছি।
সঠিক কথা বলুন ,ন্যায়ের পক্কে লড়োন ।
আমাদের তথাকথিত একচোখা সুশীল সমাজের সত্যের পক্ষে লড়ার অনিহার জন্যই সমাজের আজ এ অবস্থা!আল্লাহ সকলকে বুঝ দান করুক!
থেকে শিবিরের রক্তে লাল হয়ে যাচ্ছে। এই
রক্তের বিনিময়ে সবুজ চত্তর বাতেল মুক্ত হবে।
ইনশা আল্লাহ। ছাত্রলীগকে টেইক কেয়ার করা
উচিৎ।
ইনশাল্লাহ এ রক্তের বিনিময়েই কালেমার পতাকা সবার আগে উড্ডয়ন হবে রক্তাক্ত মতিহার চত্তর থেকে!
নিশ্চয় আল্লাহ সর্বোত্তম হেফাজতকারী!
পশুদের পশুত্বের শেষ কি নেই ?
স্বজনের আঁখি থেকে যা
পড়ে গড়িয়ে
অভিশাপের বহ্নিশিখা হয়ে
বাতিলের মসনদ যেন
দেয় পুড়িয়ে
জালিমের জুলুমের কবে হবে অবসান ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন