আক্রোশ (পাঁচ)
লিখেছেন লিখেছেন আলোকিত প্রদীপ ২৪ মে, ২০১৪, ০১:১০:৩২ রাত
আগের পর্ব
৭
আয়শা বেশ কিছুক্ষন হল রহিমার ডিপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু রহিমাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না। অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তবে আয়শার অপেক্ষা করতে ভালোই লাগছে; যদিও রহিমার জন্য অনেক ভয় হচ্ছে। মেয়েটার আজকে ভাইভা তাই অনেক চিন্তায় ছিল। এখন হঠাৎ ফোন বন্ধ তাই খোঁজ নিতে আয়শা ওর ডিপার্টমেন্টের সামনেই চলে এসেছে। এখানেই ভাইভা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কয়েকটা মেয়ে এক সাথে দাঁড়িয়ে পড়ছে। আর কিছুটা দূরে স্যুটেড-বুটেড কিছু ছেলে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। ভাইভা উপলক্ষে তাদের পরা পোশাক তাদেরকে যেন ছাত্র থেকে চাকরিজীবী বানিয়ে দিয়েছে। বুঝা যাচ্ছে, পোশাক একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। আয়শা দেখল একটা মেয়ে একটা রুম থেকে বের হল আর অন্যান্য মেয়েরা তাকে ঘিরে ধরল। সবুজ বোরখা পরা একটা মেয়ে সে রুমে ঢুকে পড়ল। রুমটার পুরাতন কাঠের দরজার নেম প্লেটে একটা নাম জ্বলজ্বল করছে "সায়মা শামিন"।
আয়শা রহিমার থেকে সায়মা ম্যামের গল্প অনেক শুনেছে। সব সময় হাসি মুখে কথা বলে। বেশির ভাগ নাকি হালকা রঙের থ্রি পিস, লাল টিপ আর লাল লিপস্টিক দেয়া থাকেন। তবে তার মুখে হাসি থাকলেও সব সময় অনেক কঠিন কঠিন কথা বলেন। একবার এক পাঞ্জাবি পরা ছেলেকে তার পোশাক নিয়ে তিনি অপমান করছিলেন; তখন আর এক ছেলেকে হাসতে দেখে ক্লাস থেকে বের করে দেন। রহিমা বলেছিল ছেলেরা নাকি সায়মা ম্যামকে নিয়ে খুব আজে-বাজে ফিলিংসের কথা বলে। সায়মা ম্যামের অনেক ভয়ানক আচরণের কথা শুনেও আয়শা তাকে পুরোপুরি অপছন্দ করতে পারেনি। আয়শার সব সময় মনে হয়, 'কেউ যদি খারাপ হয়, আর আমি তার সম্পর্কে কথা বলতে গেলে বা তার কথা ভাবতে গেলে আমিও যদি সে পর্যায়ে চলে যাই। তাহলে সে মানুষ আর আমার মধ্যে কিবা পার্থক্য থাকে!'
আসসালামু আলাইকুম। আপু! আপনি এখানে? রহিমার গলা শুনে আয়শা পিছনে ফিরে বলল, হ্যারে আপু, তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে চলে আসলাম। রহিমা কি যেন বলতে শুরু করল, কিন্তু আয়শা ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল, কি ব্যাপার! তুমি কি কান্না করছ নাকি?
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন