আক্রোশ (তিন)
লিখেছেন লিখেছেন আলোকিত প্রদীপ ০২ মার্চ, ২০১৪, ১১:৩৭:৩৭ রাত
আগের পর্ব
৪
যুক্তিহীন কথা শুনলে মেজাজ খারাপ হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। অজিত স্যারও এর ব্যতিক্রম না। প্রায়ই টক শো তে অজিত স্যারের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তখন তার ফরসা নাক লাল হয়ে ওঠে। তার ভক্তকুলের কাছে তিনি সিংহ-পুরুষ নামে পরিচিত। তবে তাকে অপছন্দ করা মানুষের সংখ্যাও কম না। তারাও তাকে গোঁফওয়ালা শেয়াল পণ্ডিত বলে। অজিত স্যার এসবে কিছু মনে করেন না। বেশ কয়েকদিন আগেই তিনি তার ভক্তকুল ছাড়া সকলকে মূর্খ উপাধি দিয়েছেন। অজিত স্যার জানেন তার ভক্তকুল ছাড়া সকলেই যুক্তিহীন কথা বলতে ওস্তাদ।
অজিত স্যারের নাক ক্রমাগত লাল হচ্ছে। তিনি নিবিড় ভাবে তার সামনে বসা মেয়েটিকে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন এই পিচ্চি মেয়ের এত সাহস কোথা থেকে এসেছে। এর আগের মেয়েটাতো কথাই ভালো ভাবে বলতে পারছিল না। আর এই মেয়ের কি তেজ।
তিনি বলেছিলেন একাশি সালের দিকে আমি যখন ভার্সিটিতে পড়তাম তখন এত হিজাব পরা মেয়ে দেখা যেত না। কিন্তু এখন এই প্রথা বেড়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন হল এটা বাড়ার কারণ কি! কেন বাড়বে! এই কথার উত্তরে এই মেয়ে কি বলল!
সে বলল, এখন স্যার সবাই ধীরে ধীরে তাদের নিজেদের সম্মান ও মুক্তির পথ সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। তাই হয়তোবা। অজিত স্যার ভাবতেই পারছেন না এই ধরণের ব্যাকডেটেড মেয়েরা এরকম একটা বিখ্যাত সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে-কিনারে ছড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে কয়েকদিন পর এটি জঙ্গীদের বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যাবে। অজিত স্যার এই ভয়াবহ সঙ্কট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে খুঁজতে নতুন প্রবেশকৃত মেয়েটির দিকে তাকিয়েই থমকে গেলেন। অজিত স্যারের নাক লালে লাল অদ্ভুত এক রক্তিম বর্ণ ধারন করেছে।
পরের পর্ব
বিষয়: বিবিধ
১৪০০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি তো শুরু থেকেই পড়ছি, সাথেই আছি ইনশা আল্লাহ্ (আপুই তো মনে হচ্ছে)
মন্তব্য করতে লগইন করুন