সম্মানে কেনা ভালোবাসা .....
লিখেছেন লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ জুনিয়র ২১ মার্চ, ২০১৪, ০১:৪৫:২২ রাত
মৌসুমি উঠে বসেছে ....
নিয়াজ সাহেব জানে এখনই মেয়েটা টাকা চাবে । কিন্তু এতো তাড়া কিসের ? মেয়েটা কি তার মানে বিবাহিত ! তার কি একটা বিবাহিত স্বামী আছে যে রাতের শেষে বউয়ের সঙ্গ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে !
- “ একটু বস মৌ , কথা বলি তোমার সাথে । ” নরম কণ্ঠে বললেন নিয়াজ সাহেব । উনার গা তখনও নরম বিছানায় এলানো ।
- আপনি আমায় মৌ ডাকলেন কেন ? আমার নাম তো মৌ না ...
- তোমার নাম তো মৌসুমিও না ; মৌসুমির কথাকে ধরে ফেললেন নিয়াজ সাহেব ।
-“ তা অবশ্য ঠিক । কিন্তু আপনি আমার আসল নাম জেনে কি করবেন ? আপনি আমায় ঘণ্টায় হাজার টাকা দিয়ে নিশ্চয়ই নাম জানার জন্য ভাড়া করেননি ? ” – এক চিলতে হাসি দিল মৌসুমি ।
নাহ এই মেয়ে দেখতে আকর্ষণীয় হলেও খুব একটা সহজ মাছ না – বুঝতে পারলেন নিয়াজ সাহেব । ৩ ঘণ্টার জন্য ভাড়া করেছিলেন মেয়েটাকে । মুলত ফিগার আর কোমর সমান লম্বা কালো চুল দেখেই পছন্দ করেছিলেন ।
৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়াজ সাহেবের ক্ষুধা কমেনি । আরও কয়েকবার মিলিত হতে ইচ্ছা করছে । কিন্তু মেয়েটার সময় জ্ঞান তাকে হতাশ করল । ঘুম থেকে হঠাতই উঠে গেল সে , নিশ্চয়ই এলারম দিয়ে রেখেছিল । আজকালকার পতিতাদের সাথে ছোট এলারম ঘড়িও থাকে তাহলে !
ইতিমধ্যে বিছানা থেকে উঠে গেছে মৌসুমি । তবে এখনও কাপড় পড়েনি । নগ্ন বুকটা সামনে রেখে হাতটা পেতে রেখেছে । ‘ আমার টাকাটা প্লিজ দ্রুত দেন । সময় শেষ ’
হাল ছেড়ে দিলেন নিয়াজ সাহেব , মেয়েটার গায়ে আরেকটু হাতাহাতি করে এক ফাঁকে টাকাটা হাতে গুছে দিলেন । মৌসুমির মুখটাও খুশি খুশি হয়ে গেল টাকা পেয়ে ....
কয়েক মিনিটের কাপড় পড়ে তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে গেল ।
**
হাতে সাড়ে তিন হাজার টাকার ওষুধ নিয়ে ব্যস্ত পায়ে বাসার দিকে হাঁটছে মৌসুমি । তবে এতো টাকার ওষুধ খাওয়ানোর পরেও অসুস্থ স্বামীর অবস্থা দিনকেদিন খারাপ হচ্ছে ।
কিন্তু তাই বলে একেবারেই হাল ছেড়ে দেয়নি সে ; বেশ কয়েক সপ্তাহ যাবত ইনকামের কিছু টাকা জমিয়েছে ।
তার খুব ইচ্ছা আগামী মাসেই স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য বড় এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে । তার প্রাণপ্রিয় লুতফুর পুরোপুরি সুস্থ হবে .....
বিষয়: বিয়ের গল্প
৮৩২১ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মতামত পড়ে ভয় পেলাম !
কিন্তু বাস্তবিক দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যাবে স্বামি বাচানোর জন্য ৩ঘন্টায় ৩হাজার টাকা ইনকাম করা অন্য ভাবে সম্ভব ও না...
সমাজে অনৈতিকতা ছড়িয়ে দেয়ার মুগ্ধকর প্রয়াস! অন্যায়-অগ্রহনীয় অসামাজিক কার্য্যকলাপ কে মহানতার প্রলেপ দিয়ে উপস্হাপন!
সাধুবাদ জানাতে পারলাম না আমিও!!
বেচারা স্বামী,নির্ঘাত আত্মহত্যা করে বসবেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন