স্বত্বায় মেধায় অধরা অস্তিত্ব
লিখেছেন লিখেছেন বাঙালী তীরন্দাজ ১৭ মার্চ, ২০১৪, ০৯:০০:০৮ রাত
একটি ছবি! ফুটন্ত পদ্মের মতো একটি মুখ। বড় বড় চোখে নেশাধরা দৃষ্টি। স্বত্বায়, মেধায় সবখানে একটি অধরা অস্তিত্ব। একসময় মনের আয়নায় যে কচিপাতা সনাক্ত হতো, এখন কল্পনার অবয়বে তা একটি সাদা হাঁস। অনুভুতিতে এক অজানা জগৎ। অবাক বিস্ময়।
বসন্ত আসে যায়, সময় বদলায়। শরীর মনে কেবলই উথাল পাথাল। মন বসেনা কিছুতেই। সারারাত সারাদিন চোখে ভাসে দুটি মুখ। কোথাও যেনো একটা মিল আছে। অন্যরকম মিল।
কি অদ্ভুত সময়, কিছুই ভালোলাগেনা। নিস্তব্ধ রাত, পিন পতন নিরবতা। পৃথিবীটা যেনো এক নরকপুরী। বুকের হাঙ্গর কুমিরেরা নখের আচর লাগায়। রোমাঞ্চের পথে ছড়ানো ছিটানো অসংখ্য কাঁটা। দেহ মনকে অস্থির করে তুলে কী সব অনুভূতি। আলোথালু চুলে বাউল পথিক, কিসের সন্ধানে পাগল প্রায়? পথটাকে মনে হয় সর্ম্পুণ অপরিচিত। চলে গেছে অজানায়। কোন বাউল শিল্পীর একমাথা চুলের ফাঁক দিয়ে চলে যাওয়া সিথির মতো। এক অন্যরকম অনুভুতি। মনের আকাশে শুধু তারা হয়ে জ্বলে। মাঝে মাঝে মনটা উদাস হয়। সুর্যের মত চকচকে গায়ের রং। দেশলাইয়ের আগুন পেয়ে তার যেনো দিগুন বিকিরন হতো। এতো শুভ্রতাতো কেবল পূর্ণিমার চাঁদের। মানুষেরও কি হয়? ঘন চুলের সেই গন্ধ এখনো বুকের ভেতর স্পন্দিত হয়। শরীরের মধ্যে বয়ে যায় উতাল পাতাল ঝড়। হনুমানের মত বুক দিয়ে সেই ঝড় আটকানোর চেষ্টা চলে। অসাধারণ স্পর্শ কাতর স্নায়ুতন্ত্রীতে বার বার ধরা পড়ে সেই দিনগুলো। এতো শূভ্রতা, এতো সুন্দর্য্য আর কোমনীয়তা। ভাবতে ভাবতে মাথার ভেতরটা এলোমেলো হয়ে যায়। নীল বিষাদের রেখা ফুটে ওঠে চোখে মুখে। ভেতরের অস্থিত্বটাকে তোলপাড় করতে করতে ধীরে ধীরে সপ্নাচ্ছন্ন ঘোর কাটে বাস্তবের শিতলতায়।
বিষয়: বিবিধ
১২০০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন