তাবলিগী জামায়াতের প্রধান কিতাব ফাজায়েলে আমলের মারাত্মক ভূল-পর্ব:১
লিখেছেন লিখেছেন তূর্য রাসেল ১১ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৭:২৯:৩৬ সন্ধ্যা
তাবলিগী জামায়াতের প্রধান কিতাবে অনেকগুলো আজগুবী কিচ্ছা কাহিনী রয়েছে। এ পর্বে ফাজায়েলে কোরআন থেকে কিছু কেচ্ছা আপনাদের শুনাবো। যা শুনলে আপনি নিজেই বুঝবেন কাহিনীগুলো বানোয়াট ও গাঁজাখুরী। সহিহ বুখারী শরিফে মহানবী (সা) তিনদিনের কমে কুরআন খতম করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু ফাজায়েলে আমলে একটা গল্পে বলা হয়েছে হযরত ওসমান (রা) নাকি বেতরের এক রাকায়াতে পুরা কুরআন খতম করতেন(!!!???), এটা কিভাবে সম্ভব আপনিই চিন্তা করেন। রাত হয় কয় ঘন্টায়? আর ৬৬৬৬ টি আয়াত পড়তে কত সময় লাগতে পারে আপনিই বলুন? যারা খতমে তারাবী নামায পড়েছেন তারা সহজেই বুঝবেন এটি কতটা বানোয়াট কথা। তাবলিগী জামায়াত এমন একজন বিশিষ্ঠ সাহাবীকে নিয়ে মিথ্যা গল্প তৈরি করেছেন।
ঐ একই পৃষ্টায় আরো দুইজন সাহাবী সমন্ধে বলা হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন এক রাকায়াতে এক খতম আর অন্যজন দুই রাকায়াতে এক খতম কোরআন খতম করতেন(!!!!!!!?????????) ।
পরের পৃষ্টায় আরেকটি আজগুবি কাহিনি বলা হয়েছে, যেমন হযরত ছোলায়েব বিন এতর নাকি এক রাতে তিন খতম কুরআন তেলায়াত করতেন!!!!
অন্য একজন বুযর্গ সমন্ধে বলা হয়েছে উনি নাকি প্রতি দিন ৮(আট) খতম কোরআন তেলাওয়াত করতেন!!!!!
এটা কিভাবে সম্ভব আপনারাই বলুন? যদি কুরআনের আয়াত ৬৬৬৬ হয় তবে ৮ দিয়ে গুন দিন এবং মোট মিনিট দিয়ে ভাগ দিন। এখান থেকে খাবার, বিশ্রাম আর নামাযের সময়গুলো বিয়োগ করবেন। তবুও কি আপনি হিসাব মেলাতে পারবেন?
এ ধরণের অনেক বানোয়াট গাঁজাখুরি গল্প ঢুকানো হয়েছে ফাজায়েলে আমলে। তাদের এই মিথ্যা গল্পে ব্যাবহার করা হয়েছে বড় বড় সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী এবং বিশিষ্ঠ বুযুর্গগণকে।
এবং আরেকটি জিনিস খেয়াল করবেন উনাদের গল্পগুলোর কোন রেফারেন্স নাই।
এইসব বানোয়াট গল্প শুনে সহজ সরল প্রাণ মুসলমানরা খুশিতে আলহামদুলিল্লাহ্ বলে লাফিয়ে উঠে। কিন্তু এসব কেচ্ছা শুনে মুসলমানদের নাওজুবিল্লাহ পড়া উচিত। কারণ যে এধরণের এবাদত করে সে মুহাম্মদ (সা) এর নির্দেশের বাইরে গিয়ে এবাদত করছে, যা নাজায়েজ। কারণ আপনাকে মাগরিবের নামায তিন রাকায়াত পড়তে বলা হয়েছে তাই বলে আপনি কি চার রাকায়াত নামায পড়বেন? এতে আপনার নামায হবে?
বিষয়: বিবিধ
২১১৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সংস্কার প্রয়োজন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন