আল্লাহ্ সব জায়গায় উপস্থিত থাকেন না, তিনি থাকেন আরশে

লিখেছেন লিখেছেন তূর্য রাসেল ১৭ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:৫১:০১ রাত



আমরা অনেকেই বলে থাকি আল্লাহ্ সব জায়গায় আছেন। কিন্তু কথাটা এভাবে বলা ঠিক নয়। আল্লাহ্ সব জায়গায় নেই। এটা আল্লাহর মর্যাদার পরিপন্থি। আল্লাহ্ সবজায়গায় থাকতে পারেন না। যেমন ধরুণ যদি বলা হয় আল্লাহ্ সব জায়গায় আছেন তাহলে তো আল্লাহ্ বেশ্যালয়, মদের বার যেখানে মদ পান করা হয় সেখানেও আল্লাহ্ আছেন, সিনেমা হলে আল্লাহ্ আছেন (নাওজুবিল্লাহ), কিন্তু ঐসব জায়গায় কি আল্লাহর থাকা সম্ভব? এটা কি আল্লাহর মর্যাদার খেলাফ নয়? এখন আপনি হয়তো কুরআনের সেই আয়াতটি বলতে পারেন যেখানে আল্লাহ্ বলেছেন, তোমরা যেখানে আমিও সেখানে, আল্লাহ্ তোমার ঘারের চেয়েও নিকটে আছেন।

কিন্তু অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন রহমান আরশে। তাহলে কি দুইটি বিপরীতমূখি আয়াত হয়ে গেল না? না, আয়াত দুইটাই ঠিক আছে। আল্লাহ্ আরশে আযিমে আছেন। কিন্তু উনার দৃষ্টি সব জায়গায় বিরাজমান, তার ক্ষমতা সবজায়গায় আছে, সব জায়গাতেই উনার কুদরত রয়েছে। অর্থাৎ তোমরা যেখানে আছো সেখানে আল্লাহর দৃষ্টি রয়েছে, তোমরা যেখানে আছো সেখানে আল্লাহর ক্ষমতা রয়েছে, তোমরা যেখানে আছো সেখানে আল্লাহর এলেম রয়েছে, প্রথম আয়াতে সেটাই বুঝানো হয়েছে।

আল্লাহ্ সব জায়গায় আছেন মানে তিনি সব জায়গায় বিরাজমান নন, তিনি সব জায়গায় উপস্থিত নন, তার দৃষ্টি উপস্থিত, তার ক্ষমতা উপস্থিত। তিনি দেখেন, তিনি শুনেন, তিনি জানেন। মূলত তিনি অবস্থান করছেন আরশে আযিমে।

বিষয়: বিবিধ

১৫০৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

275380
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৩০
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : এ ধরণের বিষয় নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়ে গেছে গত ১৪শ বৎসরে এবং এর সুন্দর জবাব ও দিয়েছেন- অনেক বড় বড় জ্ঞানী স্কলার। এনিয়ে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই। ইমাম আবু হানিফা বিষয়ক গ্রন্থ বা তার জীবনী পড়ুন! সম্ভবতঃ এর জবাব পাবেন!
275392
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:২৪
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : অনেক সুন্দর হয়েছে .।
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৫৮
219332
তূর্য রাসেল লিখেছেন : ধন্যবাদ
275395
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৪৪
এম_আহমদ লিখেছেন : আল্লাহ কোনো নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থাকার শিরকী ধারণা প্রচার করা কি ঠিক? তিনি এখানে অনুপস্থিত এবং সেখানে উপস্থিত, তিনি হাত-পা নাক মুখ সর্বস্ব হয়ে এক জাগায় আছেন অথচ তিনি আমাদের কণ্ঠনালীর চেয়েও নিকটে, আমরা যখন দুজন থাকি তখন তিনি হচ্ছেন তৃতীয় জন, তিনি দেখছেন, আমাদের কথা শুনছেন। ফেতনাবাজদের বক্তব্য হচ্ছে তার দেহ আছে হাত আছে মুখ আছে দেহ আছে এবং তিনি আকাশে আছেন। তবে তিনি আছেন যেমনভাবে তার জন্য থাকা শোভা পায়। আর জগতের সবকিছু দেখা ও জানা হচ্ছে তার জ্ঞানের ব্যাপার! তো কথার অনুযায়ী তার আকাশে থাকাটাও কেন তার জ্ঞানের ব্যাপার হবে না? আবার এটা কেন তাদের বক্তব্যের 'মতো' হতে পারবে না যে তিনি এখানে আছেন এবং সর্বত্র আছেন তবে তার থাকা, উপস্থিতি সবকিছু হচ্ছে যেভাবে তার জন্য শোভা পায় সেভাবে। তিনি যেমন তার সর্বত্র থাকাও তেমন। এসব মানুষের 'মতো' নয়। তিনি সীমাবদ্ধতার বাইরে। মানুষ তাকে যেভাবেই বর্ণনা করুন তিনি তাদের বর্ণনার ঊর্ধ্বে। তিনি কখনো হিন্দুদের গণ্ডীতে আবদ্ধ দেবতার মতো নন -নায়ূজুবিল্লাহ।

কিন্তু মূর্খ আলেমগণ পবিত্রতা ওঅপবিত্রতার বোঝতে না পেরে খোদাকে মানবিক নৈতিকায় ধারণ করছে। মানুয়ের জন্য শোয়ার খাওয়া হারাম -কিন্তু শোয়ার তার আপন প্রকৃতিতে হারাম বা মন্দ কিছু নয়। আল্লাহর সব সৃষ্টিই সুন্দর এবং ভাল। পেশাব পায়খানা খারাপ, কিন্তু তার উপাদানগত বস্তু ও বস্তুর প্রকৃতিগত অবস্থান হারাম বা মন্দ কিছু নয়। 'মানুষের জন্য' তার জীবন ও সুস্থ্যতার আল্লাহ অনেক কিছু হারাম/হালাম করেছেন। তার 'আমর' বা নির্দেশের কারণেই সেগুলো আমাদের কাছে হারাম বা হালাল এবং তার নির্দেশ পালন করতেই আমরা আদিষ্ট। আল্লাহ বস্তু জগতের অংশ নন যা হিন্দুরা মনে করে। সুতরাং তার সত্তাগত অবস্থান যেভাবে তার জন্য শোভা পায় সেভাবে থাকাতে তার অমর্যাদা চিন্তা করা বিশ্বাসের প্রতিকূল।
275398
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৫৮
তূর্য রাসেল লিখেছেন : কোরআনের আয়াত অনুযায়ী তিনি আরশে আযিমে আছেন। আরো ভালো বুঝার জন্য আপনি তাফসীরে ইবনে কাসির দেখুন।
275410
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই বিষয়টি অত গুরুত্বপুর্ন কিছু নয় যে সেটা নিয়ে বিতর্ক জরুরি। একটি ঘটনা আছে মুনশি মুহাম্মদ মেহেরুল্লাহর জিবনে। এক পাদ্রি তাকে মজলিশে এই কথাটিই বলে যে আল্লাহতায়লা যদি সর্বত্র বিরাজমান হন তাহলে তো তিনি অপবিত্র হয়ে যাবেন। মুনশি মেহেরুল্লাহ এর জবাবে একটি মাটির হাড়িতে পানি নিয়ে আসেন। পাদ্রিকে বলেন যে পানির ভিতর দেখতে। পাদ্রি স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রতিচ্ছবি দেখেন পানিতে। মুনশি মেহেরুল্লাহ তখন বলেন যে হাড়িতে পানি নয় বরং প্রশাব আছে এবং পাদ্রি অপবিত্র হয়ে গিয়েছেন!!
275412
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:২২
এম_আহমদ লিখেছেন : কোরানের আয়াতও তিনি সবখানে আছেন। ছবিতে যে বয়স দেখা যাচ্ছে এই বয়সে আপনি কতটুকু কোরান বোঝবেন। কোরানের আরশ কোথায়? আকাশ কোথায়? এই বস্তু জগতের প্রকৃতি কি? Universe কতটা? কোন universe -এর কোন আকাশ, কোন আরশ? আমরা কি কেবল তফসীরে ইবনে কাসীরে সীমাবদ্ধ? ইবনে কাসির কি লিখেছেন আর পড়ে আপনি কি বোঝেছেন সেটাই হবে প্রশ্ন। আল্লাহর দেখা, শুনা, এবং তার অবস্থান, তার গুণের নাম ইত্যাদি সংক্রান্ত ইবন কাসীরের সব ব্যাখ্যা একত্রে সামনে আনলে কী ধারণা প্রকাশ পায়?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File