আমরা যে কালেমা পড়ি তা কি ভুল??? (ভিডিও সহ দেখুন)
লিখেছেন লিখেছেন তূর্য রাসেল ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:২২:৩৬ সন্ধ্যা
বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। এমন একটি বিষয় নিয়ে লেখার দুঃশাহস আমার ছিল না। কিন্তু আজ ড. মুফতি আবুল কালাম আযাদ এর কথা শুনে বিষয়টি নিয়ে লিখতে অনুপ্রাণিত হলাম। উনাকে আমার উস্তাদ মানি। যারা উনার সমন্ধে জানেন তাদেরকে আর নতুন করে বলার কিছু নাই। যাইহোক মূল বিষয়ে আসি। ও... তার আগে একটা হাদিস বলি। হাদিসটি আমরা অনেকেই জানি। এ হাদিসটি বাংলাদেশে খুবই প্রচলিত। হাদিসটি হচ্ছে, হযরত আদম (আ)-কে যখন তার ভুলের জন্য জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হল এবং পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেওয়া হল তখন আদম (আ) আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে ক্ষমা চাইতে লাগলেন। কিন্তু আল্লাহ্ তা'আলা ক্ষমা করছেন না। একদিন উনি আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করলেন, "হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে মুহাম্মদের ওসিলায় ক্ষমা করে দাও।" তখন আল্লাহ্ বললেন, "হে আদম, তুমি মুহাম্মদকে কিভাবে চিন?" আদম (আ) বললেন, "হে আল্লাহ্, আমি তোমার আরশের নিচে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' লেখা দেখেছিলাম, নিশ্চয় মুহাম্মদ তোমার অনেক প্রিয় বান্দা তাই তোমার নামের পাশে উনার নাম লেখা ছিল।" তখন আল্লাহ্ বললেন, "তুমি ঠিক বলেছ, সত্যিই মুহাম্মদ আমার খুব প্রিয় বান্দার নাম, তুমি যেহেতু মুহাম্মদ নামের ওসিলায় ক্ষমা চেয়েছো তাই তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম।"
এই ছিল হাদিসটি। এটাই একমাত্র হাদিস যাতে কালেমা এভাবে লেখা আছে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ'। তবে শুনে আশ্চর্য হবেন এ হাদিসটি জাল হাদিস। এই একটি মাত্র হাদিসে এভাবে কালেমার উল্লেখ আছে। আর কোন হাদিস বা কোরানের আয়াতে এমন কিছু পাওয়া যায় না।
কিছুদিন আগে আমার এক ফ্রেন্ড যে ফারুকী ভক্ত, আমাকে বললো, মাওলানা তারেক মনোওয়ার কালেমাকে অস্বিকার করেছে, সে তখন আমাকে একটি ভিডিও লিঙ্ক দিল, যা নিচের লিঙ্কে দেখতে পাবেন
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আমিও ভিডিওটি দেখে খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম। আমিও প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে আমি খোজ খবর নিলাম, বড় বড় আলেমদের সাথে যোগাযোগ করলাম। তারপর নিশ্চিত হলাম আসলেই তাই। আমরা যে কালেমা পড়ি তা কোথাও উল্লেখ নাই, একটি মাত্র হাদিসে উল্লেখ আছে কিন্তু সেটাও জাল হাদিস।
তবে অনেক আলেম আমরা যে নিয়মে কালেমা পড়ি সেটাকে নিষেধও করেন না। আবার অনেকে নিষেধ করেন। তাদের মতে এটা বিদআত। আবার কারও কারও মতে এটা শিরক এর পর্যায়ে চলে যায়। কারণ আল্লাহ্ এবং মুহাম্মদকে পাশাপাশি একসাথে উচ্চারণ করা হয়।
আজ এ পর্যন্তই, আল্লাহ্ আমাদেরকে সঠিক ইসলাম বুঝার এবং পালন করার তওফিক দান করুক, আমিন.....
বিষয়: বিবিধ
১৬৩২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন