বিয়ে করতে গেলে যে কয়টি বিষয় অবশ্যয় মনে রাখবেন
লিখেছেন লিখেছেন তূর্য রাসেল ২৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:০৫:৩৩ রাত
বিয়ে করতে গেলে আমদের চারটি বিষয় অবশ্যয় মনে রাখতে হবে। প্রথমত যে জিনিসটা দেখবেন তা হচ্ছে ছেলেটি বা মেয়েটি ধার্মিক কিনা, সে কতটুকু আল্লাহকে ভয় করে। কারণ একজন আল্লাহভীরু ছেলে বা মেয়ের পক্ষে কখনই অন্যায় কাজ করা সম্ভব হয় না। দ্বিতীয় যে জিনিসটা দেখবেন তা হচ্ছে সামাজিক মর্যাদা বা বংস্ব পরিচয়। এটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কারণ একজন ভালো বংস্বের ছেলে বা মেয়ে জানে অন্যকে কিভাবে সন্মান দিতে হয়। আপনার ফ্যামিলির সাথে যাকে বিয়ে করবেন তার ফ্যামিলি কতটুকু ম্যাচ করে তা অবশ্যয় দেখে নিবেন। না হলে আপনাকে সারাজীবন পস্তাতে হবে। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা বুঝতে সুবিধা হবে। একজন সেনাবাহিনির মেজর যিনি তার যোগ্যতাবলে মেজর পদে উন্নিত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই উনি বিয়ে করলেন অভিজাত এলাকায় অনেক উচু ফ্যামিলিতে। কিন্তু উনি উঠে এসেছেন গ্রাম থেকে, মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে। যাইহোক ছেলের বাবা যখন মেয়ের বাবার বাসায় যায় তখন মেয়ের পরিবার ছেলের বাবার সাথে তেমন ভালো আচরন করে না। অন্য আত্মীয়দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করে। এ নিয়ে ছেলে মেয়ের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হয়। পরিনামে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাই ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডটা অবশ্যয় দেখে নিবেন। আপনি কতটুকু তার বাবা-মাকে সন্মান করতে পারবেন আর সে বা তার ফ্যামিলি আপনার বাবা-মাকে সঠিকভাবে সন্মান দিতে পারবে কিনা তা অবশ্যয় দেখে নিবেন। কারণ প্রত্যেকেরই বাবা মা অত্যান্ত স্পর্শকাতর একটা বিষয়।
তৃতিয়ত যে জিনিসটা অবশ্যয় দেখবেন তা হচ্ছে অর্থনৈতিক অবস্থা। পারিবারিক সূখ শান্তির জন্য টাকার অবশ্যয় প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে মেয়েরা অবশ্যয় ছেলেদের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে নিবেন। আর ছেলেরা অবশ্যয় যে কাজটি করবেন তা হচ্ছে আপনার চাইতে কম অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পন্ন ঘরে বিয়ে করবেন। একটা উদাহরণ। ধরুণ আপনার বেতন ৩০,০০০ টাকা। আপনি বিয়ে করেছেন একটা ধনি পরিবারের মেয়েকে। যে সাধারণত ২০,০০০ টাকা মূল্যের শাড়ি পড়ে থাকে। সেন্ডেল পড়ে বিদেশী ব্রান্ডের। সংসারের খরচ বাদে তার জন্মদিন উপলক্ষে আপনি আপনার বেতন থেকে ১০,০০০ টাকা বাঁচিয়ে এবং বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে আরো ৫০০০ টাকা ধার করে মোট ১৫,০০০ টাকা দিয়ে একটা শাড়ি কিনলেন আপনার বউ এর জন্য। সারাদিন অফিস শেষে সন্ধ্যায় আপনার সেই কষ্টার্জিত টাকার শাড়ি কিনে বাসায় আসতেছেন আর ভাবতেছেন আজ আমার বউ শাড়ি পেয়ে নিশ্চয় অনেক খুশি হবে। হয়তো খুশিতে জড়িয়ে ধরবে। কিন্তু আপনি যখন বাসায় ফিরে শাড়িটি আপনার বউ এর হাতে তুলে দিলেন তখন আপনার বউ রাজ্যের বিরক্তি মুখের মধ্যে এনে শাড়িটি হয়তো আপনার দিকেই ছুড়ে দিয়ে বললো, এ শাড়ি তো আমাদের বাসার কাজের মেয়েও পড়ে না। আমার বাবার বাসার কাজের মেয়ে এর চেয়েও দামি শাড়ি পড়ে।
এর কারণ হচ্ছে সে আপনার বউ হওয়ার আগে তাকে তার বাবা জন্মদিন উপলক্ষে ২০,০০০-২২,০০০ টাকা মূল্যের শাড়ি কিনে দিত।
কিন্তু আপনি যদি এমন মেয়েকে বিয়ে করেন যার ১০,০০০-১২,০০০ টাকা মূল্যের শাড়ি পড়ে অভ্যাস তাকে যখন আপনি ১৫,০০০ টাকা মূল্যের শাড়ি কিনে দিবেন তখন সে খুশিতে আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে।
চতুর্থ যে জিনিসটা করবেন তা হচ্ছে ছেলে মেয়ে উভয় উভয়কে দেখে নেয়া। এটা অবশ্যয় করবেন। কখনও এ বিষয়টা বাবা-মা বা অভিভাবকদের উপর ছেড়ে দিবেন না। অভিভাবক তো অবশ্যয় পছন্দ করবে তার উপর ছেলে-মেয়ে একে অপরকে পছন্দ করতে হবে। আজ এ পর্যন্তই, আরেকদিন ছেলে-মেয়ে একে অপরকে কিভাবে দেখবে, কতটুকু দেখবে তা নিয়ে কথা বলব। সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ….
বিষয়: বিবিধ
১৪০৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বংশ মর্যাদা
ধার্মিকতা
শিক্ষাতগ যোগ্যতা
অর্থনৈতিক অবস্থা
ছেলে ও মেয়ে উভয়ের সৌন্দয্যতা ।
সম্ভ্রান্ত ঘরের সন্তান হোন না কেন ,
অনেক ডিগ্রী ধারী হোন না কেন ,
সুন্দর দেহ সৌষ্ঠবের অধিকারী হন না কেন
স্ত্রীকে যদি তার যথেচ্ছ লাক্সারী করতে দিতে না পারেন তাহলে আপনার দুনিয়াটা নরকে পরিনত হবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন