পুরুষ দর্জি ও নারী; বাস্তবতা
লিখেছেন লিখেছেন তূর্য রাসেল ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:৫৩:৫২ সন্ধ্যা
তূর্য রাসেল: : কেউ বিষয়টা খারাপভাবে নিবেন না। উপরের ছবিটা দেখুন। ছবিটা বাস্তবতা বুঝানোর জন্য দিয়েছি। আমাদের দেশে অনেক মহিলা টেইলার্স আছে। প্রায় সব জায়গায় মহিলা টেইলার্স (যেখানে শুধুমাত্র মহিলা দর্জি থাকে) আছে। তারপরেও বেশিরভাগ মেয়ে পুরুষদের টেইলার্সে (যেখানে শুধু পুরুষ দর্জি থাকে) পোষাক বানাতে দিয়ে থাকে। কিন্তু কেন? ছবিটা একটু ভাল করে দেখুন। আমার একটা আপুকে আমি একবার প্রশ্ন করেছিলাম, "আপু তুমি তো মেয়েদের টেইলার্সে যেতে পার....কিন্তু যাওনা কেন?" আপু বলল, "নীলঞ্জনা টেইলার্সে ভাল ড্রেস বানায়।অন্য টেইলার্সে এত সুন্দর বানাতে পারে না।" আপুকে বললাম, "আপু বিষয়টা খুব দৃষ্টিকটু দেখায় যখন দর্জি মাপ নেয়"। আপু বলল, "কি করব বল এ ছাড়া তো উপায় নাই"। আমার আরেকটা আপু। উনি খুব পরহেজগার। বাইরে গেলে পর্দা করে বাইরে যান। মুখ ঢাকা থাকে। উনিও পুরুষ টেইলার্সে ড্রেস বানায়। তবে কি করে জানেন? নিজেই নিজের মাপ নেয়। আপুকে দেখি দর্জির সাথে ফোনে কনটাক্ট করে বাসা থেকে নিজেই নিজের মাপ নিয়ে যায়। আসলে ইচ্ছে থাকলে আল্লাহই উপায় দেখিয়ে দেন। আমার কাছে মনে হয় পুরুষ দর্জির কাছে মাপ নেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। যাইহোক আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে সকল পাপ কাজ থেকে দূরে রাখে। আমিন….
বিষয়: বিবিধ
৭৩১৬ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমারতো মেয়েদের ড্রেস "পুরুষের হাতে" বানানোটাতেও আমার রুচিতে বাধে।
যাদের কাছে "কাপড়ের সেলাই" এর চেয়ে "নিজের সম্ভ্রম কিংবা পর্দা"র মূল্য বেশি তারা কখনও পুরুষের কাছে নিজের ড্রেস বানাবে না।
মেয়েদের চুলের যেমন পর্দা করতে হয়, ড্রেসেরওতো পর্দা করতে হয়।
অনেক দিন হলো দেশের বাইরে । তাই দেশে গেলে কখনো খেয়াল করে দেখিনি দেশে কি যত্রতত্র মহিলা দর্জিওয়ালা মহিলা টেইলার্স আছে কিনা ? যাহোক, পরহেজগার মহিলাদের জন্য-ও নিজে-ই মাপ নিয়ে যেয়ে বা মাপসই জামা-কাপড় স্যাম্পল হিসেবে পুরুষ দর্জিকে দিয়ে জামা-কাপড় বানানোটা ফিতনা সৃষ্টির কারণ হয়ে যেতে পারে বলে আমি মনে করি ।
আমাদের দেশে (বিশেষত: গ্রামাঞ্চলে) এক সময় ঘরে ঘরে সেলাই মেশিন শোভা পেতো । সে কারণে এই উৎকট সমস্যাটি তখন মহামারী আকারে জন্ম-ই নিতে পারেনি। কালক্রমে গ্রামের মেয়েরা শহরে এসে সেলাই মেশিনকে "তালাক” দিয়েছে যার কারণে লজ্জা-শরমের বালাই ঘুচিয়ে "পরপুরুষের” সাথে নতুন করে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে হয়েছে -- যেমনটি দেখা যাচ্ছে এই ছবিটিতে ।
সবচেয়ে ভালো হয়, মহিলাদের সবার সময় ও সুযোগমতো সূচি ও সেলাই কর্ম শিখে রাখা -- বিশেষত: এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা পরবর্তী অবসর সময়ে। বাজারে এখন নানা ধরণের প্যাটার্ণ সৃষ্টিকারী ছোট ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন অনেক কম দামে পাওয়া যায় । বুদ্ধিমতী মেয়েরা এটা থেকে নতুন বন্ধুত্ব, দাওয়াহ এবং বাড়তি আয়ের একটা সুযোগ সৃষ্টি করে নিতে পারে। তাছাড়া নিজের ইচ্ছেমতো পছন্দের কাপড় দিয়ে নিজস্ব ডিজাইনের কাপড় তৈরী করে নিতে পারার মজা-ই আলাদা - অর্থ সাশ্রয়ের ব্যাপারটা তো আছে-ই। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে স্বামী, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে কর্ণকুহরে প্রশংসা বাক্য বর্ষিত হতে পারে । ভাইয়ার ছেঁড়া জামাটা সেলাই করে দিয়ে টু-পাইস-ও কামিয়ে নেয়া যাবে । এক সময় কিন্তু পাত্রী নির্বাচনের সময় সেলাই কর্ম জানা থাকাটা প্লাস পয়েন্ট হিসেবে দেখা হতো ! গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে পুঁতি দিয়ে সেলাই করা হস্তকর্ম দেয়ালে শোভা পেতো । দু:খিত, আমি টেইলারিং ছেড়ে একটু ভিন্ন প্রসঙ্গের-ও অবতারণা করে ফেললাম ।
আমি নারায়ণগঞ্জে সিঙ্গার বাংলাদেশ কোম্পানী (বিখ্যাত সেলাই মেশিন বিক্রেতা) থেকে সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত একজন পর্দানশীন মহিলার কথা জানি যিনি ঢাউস আকারের নোট বই প্রদান পূর্বক সেলাই-এর কাজ হাতে-কলমে শিক্ষা দেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে সনদ-ও প্রদান করেন । এই ধরণের সুযোগের সদ্ব্যবহার করা দরকার ।
টেইলার্স পছন্দ না হলে আপনার তো অপশন আছেই অন্যখানে যাবার । টুপিওয়ালা কি তাকে আটকে রেখেছিল ?
এখন ''এরাই ভাল বানায়'' সেটা যদি বেশী প্রাধান্য পায় তাহলে তো এই টুপি ধারীকে গালাগাল দেওয়া ঠিক না ।
সমস্যা আপুদের মাঝেই । কারণ এইসব পোশাক আশাক ও সাজসজ্জার ব্যাপারে ব্যাপারে তারা সবসময়ই এন্টি-ইসলামিক মনোভাব সম্পন্ন। তারা এরকম মনোভাবের বলেই তো এখন পাড়ায় পাড়ায় বিউটি পার্লার এসে গেছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন