তরুণদের মধ্যে ভারত বিদ্বেষ মনোভাব বাড়ছে

লিখেছেন লিখেছেন তূর্য রাসেল ১০ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:৫৩:২১ সন্ধ্যা



বর্তমানে তরুণদের মধ্যে ভারত বিদ্বেষ মনোভাব দিন দিন বাড়ছে। যার প্রমাণ দেখা যায় গত টি২০ বিশ্বকাপে। সাধারণত দেখা যায় বিজয়ী দল উল্লাসিত হয়। আনন্দ মিছিল করে। কিন্তু গত ফাইনাল খেলায় দেখা গেল পুরো উল্টো চিত্র। ভারতের পরাজয়ে দেশের পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে মিছিল হয়েছে। মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। এমনকি অনেক পাড়া মহল্লায় আনন্দ মিছিল করা হয়েছে হয়ছে। কিন্তু কেন?

ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত। আমদের দেশের বেশিরভাগ সীমান্ত জুড়েই রয়েছে ভারতের অবস্থান। কিন্তু ভারত এই ৪৩ বছরে একজন ভালো প্রতিবেশী প্রমাণে ব্যার্থ হয়েছে। উপরন্তু ভারত সবসময় আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে। যা তরুণ সমাজ ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। এ সরকারকে বলা হয় ভারতের খুব কাছের বন্ধু কিন্তু এ সরকারও ব্যার্থ হয়েছে নায্য দাবি আদায়ে। তিস্তার পানির কোন সুরাহা হয়নি। একের পর এক নদীতে বাধ দেওয়া হচ্ছে। আজ বাংলাদেশে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নদীগুলো পরিনত হচ্ছে মরা গাঙ্গে।

ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে স্থল পথ ও নৌপথ ট্রনজিট। তারা আদায় করে নিয়েছে বিদুৎ ট্রানজিট। কোলকাতার পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে সুন্দরবনে বন ধ্বংস্ব করে রামপাল কয়লা বিদুৎ স্থাপন করেছে।

বাংলদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য শান্তি বাহিনিকে অস্ত্র দিয়েছে, প্রশিক্ষন দিয়ে সাহায্য করেছে। যা তরুণ সমাজ এখনো মনে রেখেছে।

বাংলাদেশের সীমান্তে গড়ে তোলা হয়েছে হাজার হাজার ফেনসিডিল কারখানা। যা বাংলাদেশের যুব সমাজকে ধ্বংস্ব করার একটা নীল নকশা।

প্রতি বছর হাজার হাজার তরুণী পাচার হচ্ছে ভারতের পতিতালয় গুলোতে।

প্রতিদিন সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে পাখির মত। যা তরুণ সমাজের হৃদয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।

তারা অন্যায়ভাবে দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ। বাংলাদেশের পাওনা তিন বিঘা করিডোর তো দেয়নি, উপরন্ত ছিটমহলবাসীদের উপর করা হচ্ছে নির্মম নির্যাতন।

তারা এমনও বলেছে বাংলাদেশের সাথে ক্রিকেট খেললে তাদের খেলার মান কমে যাবে। ব্যাস্ত সূচির ওজুহাতে তারা বাংলাদেশের সাথে ক্রিকেট খেলতে চায় না।

ক্রিকেটে ভারতের দাদাগিরি মনোভাব তরুণদের পছন্দ হয়নি। শুধু ক্রিকেটে নয় বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে ভারতের দাদাগিরি মনোভাব তরুণদের পছন্দ হয়নি।

এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে তরুণদের কাছে যেটা সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে তা হচ্ছে খেলা চলাকালিন সময়ে বাংলাদেশের নাগরিকরা অন্য দেশের পতাকা বহন করতে পারবে না। কিন্তু ফাইনাল খেলায় অনেক বাংলাদেশী ভারতের পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেছে। তরুণদের কাছে মনে হয়েছে মূলত পাকিস্তানি সমর্থকদের ঠেকানোর জন্য এ নিয়ম করা হয়েছে।

ভারতের প্রতি তরুণদের বিদ্বেষ যে তুঙ্গে তা প্রমাণ হয়ছে এই বিশ্বকাপে। অনেক ভারত সমর্থককেও এবার ভারত বিরোধিতা করতে দেখা গেছে। তারাও উপরোক্ত যুক্তিগুলো দেখিয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৭৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

205788
১০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনার সাথে আমি ও একমত বাংলাদেশের তরুণ এখন ভারতের দাদাগিরীকে আর মানবে না
১০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
154683
তূর্য রাসেল লিখেছেন : ঠিক...
205795
১০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫০
বিন হারুন লিখেছেন : পিলাচ
205806
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৩
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:২৯
154694
তূর্য রাসেল লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
205821
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১৪
আঁধার কালো লিখেছেন : পিলাচ । পিলাচ । পিলাচ ।
205864
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের কিছু ভারতিয় দালাল ছাড়া এমনকি ভারতের অনেক বিশিষ্ট বুদ্ধিজিবিও এটা নিয়ে চিন্তা করেছেন যে ভারতের আচরন তার প্রতিবেশিদের তার প্রতি বিদ্বিষ্ট করে তুলছে। তাদের একজন ছিলেন খুশবন্ত সিং।
205942
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৫৯
মাটিরলাঠি লিখেছেন : আরো বাড়বে ইনশা-আল্লাহ।
206079
১১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : young generation has intelligence, they see how india kill us,they find all benefit from bangaldesh but donot give us any.
206083
১১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
আবদুল্লাহ বাংলাদেশী লিখেছেন : আমরা ভারতকে দুচোখে দেখতে পারি না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File