আজ কোথায় দাড়াবে ছেলেগুলো?
লিখেছেন লিখেছেন তূর্য রাসেল ০৭ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:৫৭:৩৩ রাত
যখন তারা আন্দলন শুরু করে তখন অনেকেই পাশে ছিল। ছিল কিছু কাঁচা পাকা দাড়ি গোফওয়ালা ব্যাক্তি। যাদেরকে বলা হয় সুশিল সমাজ। বলা হয়েছিল আপনারা এখানে কেন? তরুণদের এখানে আপনারা কি করেন? তারা বলল আমরা এ তরুণদের অভিভাবক। কিন্তু আজ যখন ছেলেরা কঠিন সময় পার করছে তখন আর এই অভিভাবকদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজীব হত্যার পর প্রত্যেককে একটা করে গানম্যান দেওয়া হয়েছিল, দেওয়া হয়েছিল পুলিশী প্রটেকশন। আর আজ সেই পুলিশের গানের বাটের আঘাতে ছেলেদের পিছন লাল হচ্ছে।
মিডিয়া দিনের পর দিন তাদের কভারেজ দিয়েছিল। রাস্তা বন্ধ করে নাচানাচি করেছিল। একই কম্বলের নিচে তরুণ তরুণীরা ঘুমিয়েছিল। ছিল সুপেয় পানি, বিরানি আর শৌচাগারের ব্যবস্থা।
আজ আর কিছুই নেই। আছে পুলিশের প্যাদানী আর বৈরি আচরণ।
মিডিয়া গোটা বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল বিকল্প সরকার হিসেবে। আজ সে মিডিয়া তাদের নিউজ করতে কার্পণ্য করে।
যে রোকেয়া প্রাচী আবির্ভূত হয়েছিল তাদের একজন খুব কাছের হিতাকাংখি হিসেবে সেই প্রাচীর মূখে আজ অন্য সুর।
যাদেরকে সবাই জানত সৎ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে আজ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে টাকা আত্মসাতের।
আজ এ তরুণরা কোথায় গিয়ে দাড়াবে? আজ কেন সবাই তাদের পাশ থেকে সরে গেল? কিসের স্বার্থে? কি হবে এসব তরুণের? যেখানে স্বয়ং ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ। যে অভিযোগ করেছে খোদ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরাই।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তোমাদের কারণে ৬মে তে অগণিত নিরীহ আলেম খুন হল। তোমরা কি মনে কর তার ফল পাবে না?
প্রকৃত পক্ষে তোমরা তোমাদের কৃত কর্মের ফল ভোগ করবেই। যা ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছ...
তাহলে এই বুঝি আসল কারণ ?এই বুঝি হামলার আসল রহস্য ?রাজনৈতিক দল তৈরির মাধ্যমে দেশের মানুষ কে বোকা বানানো যাবে না। যেমনটা বানানো যায় নি মঞ্চ বানিয়ে ।উপজেলা নির্বাচনে সরকার সেটা বুঝে নতুন ফন্দি খুজতেছে আর সেই ফন্দির অন্যতম পন্থা তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ। আর সেই পন্থার অগ্রগতির জন্য এই হামলার নাটক মঞ্চস্থ করা ।
وَلا تَهِنُوا فِي ابْتِغَاءِ الْقَوْمِ إِنْ تَكُونُوا تَأْلَمُونَ فَإِنَّهُمْ يَأْلَمُونَ كَمَا تَأْلَمُونَ وَتَرْجُونَ مِنَ اللَّهِ مَا لا يَرْجُونَ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا (104
অর্থ: "আর তোমরা শত্রুদের পশ্চাদ্ভাবন ও মোকাবেলার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অলসতা করো না। যদি তোমরা আহত হয়ে থাকো (৫-৬ মে) তাহলে জেনে রেখো তারাও (তোমাদের বিরোধী নাস্তিক-কাফিররাও) কিন্তু তোমাদের মতোই আহত ও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে তোমরা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যে নিয়ামত ও পুরস্কারের আশা করো, ওরা কিন্তু তার ছিটে-ফোঁটাও পাবে না। আর নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।" (সূরা নিসা, আয়াত ১০৪)
শুধু তাই নয়, অতীতের সব ঘটনা গুলোই যেনো ঘুরে ফিরে বারবার আসছে...। বর্তমান শাহবাগীদের আদর্শিক গুরু ইহুদীদের যে অবস্থা হয়েছিলো ১৪শত বছর আগে ওদেরও সেদিন তাই হলো। আল্লাহ কত সুন্দরই না বলেছেন-
هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لِأَوَّلِ الْحَشْرِ مَا ظَنَنْتُمْ أَنْ يَخْرُجُوا وَظَنُّوا أَنَّهُمْ مَانِعَتُهُمْ حُصُونُهُمْ مِنَ اللَّهِ فَأَتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوا وَقَذَفَ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ يُخْرِبُونَ بُيُوتَهُمْ بِأَيْدِيهِمْ وَأَيْدِي الْمُؤْمِنِينَ فَاعْتَبِرُوا يَا أُولِي الْأَبْصَار
২. আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তিনিই তাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছিলেন প্রথমবার সমবেতভাবে। তোমরা ধারণাও করনি যে, তারা বেরিয়ে যাবে। আর তারা ধারণা করেছিল যে, তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু আল্লাহর আযাব এমন এক দিক থেকে আসল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি এবং তিনি তাদের অন্তরসমূহে ত্রাসের সঞ্চার করলেন, ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর আপন হাতে ও মুমিনদের হাতে ধ্বংস করতে শুরু করল। অতএব হে দৃষ্টিমান লোকেরা তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।" (সূরা হাশর, আয়াত ২)
মহান আল্লাহ ইহুদীদেরকে খায়বর থেকে বিতাড়িত করার সময় যেমন ওদের বাড়িঘর ওদের হাত দিয়েই ধ্বংস করেছিলেন, ভেঙ্গে চুড়ে একাকার করেছিলেন, একইভাবে বর্তমান শাহবাগীদেরকেও আজ তাদেরই গুরু ও আশ্রয়দাতারা মেরে-তাড়িয়ে শাহবাগ ছাড়া করছে।
কি অদ্ভুতভাবে মহান আল্লাহর ওয়াদাগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন