মোবাইল ফোনের ইনকামিং লোকেশন চালু করা প্রসংগে।

লিখেছেন লিখেছেন মেঘমুক্ত আকাশ ১৮ মার্চ, ২০১৪, ০১:৪১:০৪ দুপুর

মোবাইল ফোনে মিসড কল দিয়ে যন্ত্রনা, গভীর রাতে জীনের বাদশার উদ্ভট ফোন, লটারীর মাধ্যমে বিভিন্ন পুরষ্কার তথা টাকা জেতার ঘটনা কমবেশী সবারই জানা। ডিজিটাল এ যুগে ডিজিটাল অপরাধ যে রকম বেড়েছে। তেমন অপরাধীদের সনাক্ত করার জন্যও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হচ্ছে। যা ব্যাবহার করে পুলিশ প্রশাসনও ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। পুলিশের এসফলতা চাহিদার তুলনায় অতি নগন্য। শুধুমাত্র আলোচিত ঘটনাগুলোই দেখা যায় মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সফলতা পেয়েছে। কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট(!) সমস্যায় পড়ছে। যা পুলিশের নিকট অভিযোগও করা যাচ্ছে। কারন তারাও ব্যাস্ত বড় বড় অপরাধীদের। মোবাইল বিল কমে যাবার ফলে এক শ্রেনীর বিকৃত রুচির কিছু লোক তৈরী হয়েছে। তারা মিস কল দিয়ে অন্য কোন উপায়ে নারী মোবাইল ব্যবহারকারীকে সন্ধান করে। এমন কিছু সমস্যা তৈরী হয় যা কাউকে বলাও যায় না আবার সহ্য করা যায়না। পড়তে হয় মানসিক যন্ত্রনায়। একবার ভেবে দেখুনতো আপনার কোন নিকট আত্মীয়কে কে কোন পুরুষ ফোন করে বাজে বাজে কথা বলে তখন কি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। কিছুই না, না পারবেন পুলিশে বলতে না পারবেন নিজে কিছু করতে। আজকাল পত্রিকার পাতাগুলো খূললেই এ ধরনের দুএকটি ঘটনার চুড়ান্ত পরিনতি আমরা দেখতে পাই। এ¬¬ক্ষেত্রে অবশ্য ফ্ল্যাক্সিলোডের বা ফোনকল ব্যবসায়ীরা এ ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছে। ইদানিং মোবাইল ক্রাইম মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। শুধু যে হুমকি, চাদাবাজি, প্রতারনা নয়, ফোনে অবৈধ সম্পর্ক তৈরী করে পারিবারিক ও সামাজিক অপরাধ করছে। এক্ষেত্রে সকল মোবাইল কোম্পানীগুলোকে পুলিশ প্রশাসন ও বিটিআরসির পক্ষ থেকে বাধ্য করা উচিত ইনকামিং কল বা ম্যাসেজ আসার সাথে সাথে মোবাইলে লোকেশন চলে আসা। অর্থাৎ কোন নাম্বার ও লোকেশন ম্যাসেজ বা কলগুলো আসছে। তাতে করে অপরাধীর অবস্থান নির্ণীত হলে অপরাধীকে সনাক্ত করাও সহজ হবে। তাহলে এধরনের অপরাধ করার সাহসও পাবে না। এ প্রযুক্তি চালু হলে আমাদের মিথ্যা কথা বলার প্রবনতাও কমে যাবে। কারন আমরা এক জায়গায় অবস্থান করে অন্য অবস্থানের কথা বলে থাকি। আর মিথ্যা হল সকল অপরাধের মা। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিনা মূল্যে এ প্রযুক্তি চালু করা প্রয়োজন এবং মোবাইল ফোনের সঠিক রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামুলক করা। রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামুলক করা হলে একাধিক সীম ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রন করা। মোবাইল সংক্রান্ত যে সকল অপরাধগুলো সংঘঠিত হয় তার সাথে মোবাইল কোম্পানী গুলোর পরোক্ষ সহযোগীতা রয়েছে। কারন তারা একটি মোবাইলের সীম বিক্রি করা পর্যন্তই তাদের দায়িত্ব শেষ।

বিষয়: বিবিধ

২৪২২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

194016
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : পিলাচ
194040
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫৩
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : ভালো প্রস্তাব; কিন্তু প্রভাইডারদের এটা তো সবার জন্যই কমনলি চালু করতে হবে। প্রাইভেসীর অজুহাতে করবে বলে মনে হয়না--তবে প্রমাণিত অভিযোগ পেলে প্রভাইডাররা পুলিশকে অনুরোধ করতে পারে শাস্তি দিতে, সিম বন্ধ করে লাভ নেই। আমি শত শত সিম বন্ধের ব্যবস্থা করেছি কিন্তু আবার সিম কেনে শয়তানী চালায়।
194063
১৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
মেঘমুক্ত আকাশ লিখেছেন : আপনি ঠিকই বলেছেন। নাম্বার ব্লক করেও লাভ নেই, তারা অন্য সীম ব্যবহার করে। আপনার কাছে কেউ ফোন করবে, তা কোথেকে করবে তা জানার অধিকার আছে, এতে প্রাইভেসির কোন অজুহাত নেই। এটা বর্তমানে কোম্পানীগুলোর মোবাইল ট্র্যাকারের ব্যবসা বন্ধ হবে, আর কি?????????
194077
১৮ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:০০
নীল জোছনা লিখেছেন : ভালো পরামর্শ কিন্তু কে শোনে কার পরামর্শ ।
194125
১৮ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
194398
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ব্যপারটা সম্ভব তবে কিছুটা ব্যায়সাপেক্ষ। এই বিষয়ে যা করা উচিত তা হলো মোবাইল ফোন কোম্পনি গুলির উদ্যোগ নেয়া।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File